রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৫ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

ফিলিস্তিন মুক্তি জিহাদ ॥ শায়েখ সুদাইসের ফিতনা তত্ত্ব এবং আলেমদের দরবার ঘনিষ্ঠতা

মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ

 আপডেট: ০৭:০১, ১২ জানুয়ারি ২০২৪

ফিলিস্তিন মুক্তি জিহাদ ॥ শায়েখ সুদাইসের ফিতনা তত্ত্ব এবং আলেমদের দরবার ঘনিষ্ঠতা

ডক্টর আব্দুর রহমান বিন আব্দুল আযীয আসসুদাইস। যিনি শায়েখ সুদাইস নামে অধিক পরিচিত। এই ক’বছর আগেও যিনি ছিলেন লাখো মুসলমানের প্রাণের ব্যক্তি। যার তিলাওয়াতের ভক্ত পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ মানুষ। হারামে মক্কীতে গেলে মানুষ প্রতীক্ষায় থাকত কোন্ বেলায় শায়েখ সুদাইস বা শায়েখ শুরাইম নামায পড়াবেন। কখন কোন্ জুমায় তাদের কোনো একজন খুতবা দেবেন। তাঁদের একজন শায়েখ শুরাইম তো ক্ষমতাবানদের বিরাগভাজন হয়ে অবসর নিয়ে নিয়েছেন আর অপরজন শায়েখ সুদাইসের কথা আজকে এখানে বলতে হচ্ছে একটি দুঃখজনক ও অনাকাঙ্খিত বিষয় নিয়ে। সে কথায় পরে আসছি।

সবাই জানেন, শায়েখ আব্দুর রহমান আসসুদাইস অত্যন্ত মেধাবী ব্যক্তি। মাত্র ২২ বছর বয়সে মসজিদুল হারামের কনিষ্ঠ ইমামের খেতাব পেয়ে ১৪০৪ হিজরীতে নিয়োগ পান। একই বছর জুমার খুতবাও দেন।

এরপর পার হয়ে গেছে বহু বছর। মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি উসূলুল ফিকহের ওপর পিএইচডি ডিগ্রিও অর্জন করেন। অত্যন্ত দক্ষ ও জনপ্রিয় এ ব্যক্তিত্বের জীবনে হঠাৎই পরিবর্তন আসে। যখন সৌদি আরবে বর্তমান বাদশা সালমান বিন আব্দুল আযীয ক্ষমতা কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন আনেন। নিয়মিত অলিউল আহদ বা যুবরাজকে সরিয়ে দিয়ে তাঁর ছেলে মুহাম্মাদ বিন সালমান (এমবিএস)-কে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেন। সে থেকে যদিও নামে বাদশা সালমান ক্ষমতায় রয়েছেন, কিন্তু বিশ্বব্যাপী এটাই প্রসিদ্ধ যে, কার্যত দেশ চালাচ্ছেন যুবরাজ এমবিএস।

এমবিএস ক্ষমতায় আসার পর সৌদি আরবের শত বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য বদলে দিয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে নিষিদ্ধ থাকা বহু অনৈসলামিক কার্যকলাপের বৈধতাই দেননি, সেসবের অনেক কিছু চালুও করেছেন। সে এমবিএসই সৌদি হারামাইন শারীফাইনের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ‘হারামাইন প্রেসিডেন্সি’র প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন শায়েখ আব্দুর রহমান আসসুদাইসকে। এ নিয়োগ পাওয়ার কিছুদিন আগে থেকেই শায়েখ সুদাইসের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। বিশ্বব্যাপী এবং খোদ সৌদি আরবের অনেক আলেমের পক্ষ থেকে বাদশা সালমান ও তার ছেলে এমবিএসের ইসলামবিরোধী কার্যকলাপের ব্যাপক সমালোচনা হলেও সুদাইস সাহেব শুধু অকুণ্ঠ সমর্থনই জানাননি তাদেরকে; বরং একদিন তিনি মসজিদে হারামে তাঁদের পক্ষে দীর্ঘ খুতবাও দিয়েছেন। সেখানে তিনি এমবিএসকে এ যুগের মুহাদ্দাস বা মুজাদ্দিদ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

এরপর যখন তাকে ‘হারামাইন প্রেসিডেন্সি’র প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ দেওয়া হয়, যেটি অত্যন্ত মর্যাদাসম্পন্ন ও প্রভাবশালী পদ তখন থেকে তিনি হারামাইনের নিয়মনীতিতেও ব্যাপক পরিবর্তন আনেন। করোনার সময় অনেক অস্বাভাবিক কথা-বার্তা তাঁর মুখ থেকে শোনা যায় এবং হারামাইনের বিধিনিষেধের পেছনে শায়েখ সুদাইসের ভূমিকাই বড় ছিল। অসংখ্য ফটোগ্রাফারও তিনি নিয়োগ দিয়েছিলেন। যারা সারাদিন হারামাইনের  বিভিন্ন ছবি উঠাত। রাতে হারামাইনের সাইটে আপলোড করা হত। তিনিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি ‘আলআমীন’ খেতাব দিয়েছেন এমবিএসকে। তিনি মিলিয়ে মিলিয়ে বলেন, ‘খাদিমুল হারামাইনিশ শারীফাইন, অলিউ আহদিহিল আমীন’। তাঁকে অনুসরণ করে সৌদি আরবের পত্র-পত্রিকাগুলো এমবিএসের নামের সাথে এসব শব্দ পরবর্তীতে ব্যবহার করা শুরু করে।

আজকে যে বিষয়ে আমরা আরজ করতে বাধ্য হচ্ছি, সেটির পূর্বে ভূমিকাস্বরূপ এ কথাগুলো বলার প্রয়োজন ছিল, যেন বিষয়টা বুঝে আসে। কয়েক দিন আগে একাধিক ব্যক্তির পক্ষ থেকে একটি ভিডিও ক্লিপ আসে। যার মধ্যে শায়েখ সুদাইস বর্তমান ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রাম বা মুক্তি জিহাদকে ফিতনা বলছেন। মুসলমানদেরকে এ নিয়ে মাথা ঘামাতে নিষেধ করছেন। তাদেরকে শুধু দুআ করতে নির্দেশ দিচ্ছেন। তাদের বিষয়ে সরকার যা করে সেটার দিকে রুজু করতে বলছেন। আলেমদের কথা শুনতে বলছেন। তাঁর মূল বক্তব্য ছিল এমন

وتعلمون ما حلّ بإخواننا في فلسطين، وما أيضا يجب علينا تجاههم من الدعاء لهم، وينبغي على المسلمين ألا تجعلهم هذه الفتن والأحداث متفرقين، فيجب عليهم الرجوع إلى ولاة أمرهم، والرجوع إلى علمائهم، وألا يخوضوا فيما ليس من حقهم الخوض فيه.

আলেম বলতে শায়েখ সুদাইস ওনার মতো আলেমদের কথা হয়তো উদ্দেশ্য করেছেন, যারা তাদের উলাতুল আমর (ক্ষমতাসীনগণ)-এর প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সহযোগী হয়ে থাকেন। এখন স্বাভাবিক কারণেই পৃথিবীব্যাপী যাদের কাছেই এ বার্তা গিয়েছে তাদের মনে কেমন আঘাত লেগেছে, কেমন কষ্ট লেগেছে তা তো বলাবাহুল্য।

অবশ্য এমন কথা তার কাছ থেকে নতুন কিছু না। কয়েক বছর থেকেই তিনি এমন করে আসছেন। এর আগে যেমন বললাম, তিনি এমবিএসকে মুজাদ্দিদ আখ্যা দিয়েছেন।

কয়েক বছর আগে তিনি গেলেন আমেরিকা সফরে। সেখানে তিনি আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করলেন।  তখন সৌদি আলআখবারিয়া টেলিভিশনকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বললেন, ‘আমাদের বাদশা সালমান এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মিলে বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।’

যে আমেরিকা এবং ট্রাম্পরা বিশ্বের মুসলমানদের ওপর জুলুম-নির্যাতনে মূল ভূমিকা পালন করে আসছে, সুদাইস  সাহেব কর্তৃক তাদের এমন প্রশংসা করা, তাদেরকে শান্তির দূত আখ্যা দেওয়া মুসলমানদের হৃদয়ে চরম আঘাত দিয়েছিল তখন।

করোনাকালে যখন হারামাইনে বিভিন্ন প্রকারের বিধিনিষেধ চালু করলেন তখন তিনি বললেন, ‘আমরা আল্লাহর ঘরকে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা করার জন্য এসব ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ এধরনের কথাবার্তা তাঁর থেকে নতুন নয়। অথচ কে না জানে, তিনি আগে কেমন ছিলেন? এ কয়েক বছর আগেও যারা হারামাইন সম্পর্কে খোঁজ-রাখেন তারা দেখেছেন, শায়েখ সুদাইস বিতিরের কুনুতে, খতমের দুআয় এবং জুমার খুতবায় ফিলিস্তিনের মুজাহিদদের জন্য কত দুআ করেছেন। জালেম ইহুদীদের ধ্বংসের জন্য কত বদদুআ করেছেন। এসব কার না জানা! এমন তো হয়নি যে, ইসরাইলী ইহুদীরা হঠাৎ ভালো হয়ে গেছে। এমনও হয়নি যে, ফিলিস্তিনীরা হঠাৎ খারাপ হয়ে গেছে। এগুলোই ভাবনার বিষয়। তাহলে কেন তিনি ফিলিস্তিনী মুক্তি-জিহাদকে ফিতনা বললেন।

দরবার-ঘনিষ্ঠতার খেসারত

সবাই এটা বোঝেন, বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব, যাঁর তিলাওয়াত, ওয়াজ, খুতবা, মজলুমদের পক্ষে অবস্থান নেওয়া ও দুআর জন্য বিশ্বব্যাপী সুনাম ছিল। মানুষের কাছে যিনি অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন। আজকে তাঁর এ অবস্থা হল কেন? এটার মূল কারণই হচ্ছে সরকারের অতি ঘনিষ্ঠতা। এটা জানা কথা, বর্তমানের অধিকাংশ মুসলিম সরকারই ইসলামবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত। সৌদি আরবে বাপ-বেটা ক্ষমতায় এসে অনেক কিছু বদলে দিয়েছেন। অনৈসলামিক কার্যকলাপের জায়গা করে দিয়েছেন। সময় যত যাচ্ছে ততই সেখানকার দ্বীনী পরিবেশ খারাপ হচ্ছে। যারা এসব ইসলামবিরোধী কাজ করছে, যোগ্য আলেমরা যদি তাদের অতি ঘনিষ্ঠ হয়ে যান, তো সেটা শুধু তাদের দ্বীন ও ঈমানের ব্যাপারেই ক্ষতিকর হয় না; বরং গণমানুষের মধ্যেও এর খারাপ প্রভাব পড়ে।

এই সুদাইস সাহেবের কথাই ধরা যাক। তিনি তো এসব করে পদপদবিও পেয়েছেন। তাতে কী হয়েছে? তাঁর পদ তো রক্ষা হয়নি। এমনকি সে সংস্থা-ই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ‘রিয়াসাতু শুউনিল হারামাইনহারামাইন প্রেসিডেন্সি’ বিলুপ্ত করে খুব ছোট পরিসরে গঠন করা হয়েছে, ‘রিয়াসাতুশ শুউনিদ দ্বীনিয়্যা বিলমাসজিদিল হারাম ওয়াল মাসজিদিন নাবাবী’। তাঁকে এ সংস্থার প্রধান করা হয়েছে, যা মুফতীর মতো একটি পদ। তাও বিজ্ঞজনেরা বলছেন, সৌদি কেন্দ্রীয় ফতোয়া বোর্ডকে দুর্বল করার জন্য মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববী কেন্দ্রিক আরেকটা ফতোয়া বিভাগ তৈরি করা হয়েছে। এত কিছু করে, এত ঘনিষ্ঠতা অর্জন করে, প্রতিদিন সুদাইস সাহেবের হাসির ছবি প্রচার করে কোনো লাভ হয়নি। যারা জোর-জবরদস্তি ক্ষমতায় থাকে, দ্বীন-ঈমানের ক্ষতি করে, তাদের অতি ঘনিষ্ঠতা তাদের নিজেদের মান সম্মানের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে উঠে সেটি। বিভিন্ন দেশে আমরা এমনটাই দেখে আসছি।

এ দেশেও এমন প্রবণতা আছে। একসময় এদেরকে ‘উলামায়ে সু’ বলা হত। বাংলাতে তাদেরকে সাধারণত দরবারি আলেম বলেই আখ্যা দেওয়া হয়।

এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো, দরবারি না হওয়ার অর্থ এমন নয় যে, সরকারের পেছনে লেগে থাকতে হবে, সার্বক্ষণিক ঝগড়া-বিবাদ করতে হবে। না, আপনি সামর্থ্যরে বাইরে ঝগড়া-বিবাদ করতে যাবেন কেন? অসম লড়াই তো আপনি করতে যাবেন না। দাওয়াতের প্রয়োজন হলে নিজের ইস্তিগনা রক্ষা করে, কোনো পদ-পদবির আশা না করে এসব কিছু না নিয়ে তা করবেন। সেটা তো ভালো চিন্তা। কিন্তু যদি এমন হয়, আমি কারো প্রশংসা করতে গিয়ে দুনিয়াতেই তাকে জান্নাতী বলে দিলাম, কাউকে পারলে বাবা-মা ডাকলাম, ফাসিক-ফুজ্জারদেরকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিলাম। আমার হাস্যকর কথা ও প্রশংসা শুধু ক্ষমতাবান ও তার উপস্থিত অনুসারীগণই শুনল না; বরং তা ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল দুনিয়াব্যাপী। আর তা দেখে ভাল মানুষেরা দুঃখে ভেঙে পড়ল আর অনেকেই বাছ-বিচার না করে ধিক্কার দিল পুরো আলেম সমাজকে।

যারা প্রকাশ্যে দ্বীন-ঈমানের, ইসলামী প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষতি করে, আলেম-উলামার বিপক্ষে অবস্থান নেয়, তাদের ওপর নির্যাতন করে, নিয়ন্ত্রন করার পিছনে লেগে থাকে। তাদের সামনেই যখন উল্টো তাদেরকে ইসলামপ্রিয় আখ্যা দেওয়া হয় তখন ফেরেশতাগণ কী লেখেন! আল্লাহ তাআলার দেওয়া ইলমকে ব্যবহার করা হল মিথ্যার জন্য। অথচ যিনি বলছেন তিনিও বিশ্বাস করেন, আমি সত্য বলছি না। শুধুই একটু পদ একটু হালুয়া-রুটি!

যাহোক, এই কাজগুলোর কারণে মুসলমানদের ক্ষতি হয়। যিনি করছেন তারও ক্ষতি হয়। তারা হয়তো বোঝে না, কিন্তু তাদের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও কাছের লোকেরাও দরবারী মানসিকতার লোকদের ধিক্কার দেয়। আর এটা চলতে থাকে বংশ পরম্পরায়। আর যত আন্তরিকতা ও ঘনিষ্ঠতা তাদেরকে দেখানো হোক ফাসেক-ফুজ্জার ক্ষমতাবানরা যে চূড়ান্ত বিচারে আপনাকে শুধু ব্যবহারই করবে এবং প্রয়োজন শেষে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করবে তা তো ইতিহাস দেখলেই বুঝে আসে। কুরআনের বাণী حَتّٰی تَتَّبِعَ مِلَّتَهُمْ কার অজানা। 

কেউ কেউ ওজর পেশ করে থাকেন যে, অনেকে চাপে পড়ে এগুলো করে থাকে। আসলে কি তাই? এটা হচ্ছে সাধ্য না থাকায় প্রতিবাদ প্রতিরোধ থেকে বিরত থাকা। আরেকটি হচ্ছে ইসলাম, ইসলামী লোকজন ও ইসলামী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিকৃত, নিয়ন্ত্রণ ও কোণঠাসা করা লোকদের তারীফে ভাসিয়ে দেওয়া। এমনকি দুআয় হাত তুলে আল্লাহর কাছেও অনেকে সুর তুলে ক্ষমতাবানদের মিথ্যা গুণগান গেয়ে থাকে, যেন আল্লাহকেও তারা বাস্তবতা পরিপন্থি জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করছে। তো এসবও কি চাপে পড়ে! আসলে শরীর ও মুখের ভাষাই তো সবকিছু জানান দিয়ে দেয়, যে কোনটি চাপে করা হয়, আর কোনটি সুবিধা ভোগের জন্য আগ বাড়িয়ে অসতর্কভাবে করা হয়।

এই নিবন্ধের উদ্দেশ্য কাউকে টার্গেট করা নয়; বরং আমাদের সতর্ক থাকা, আল্লাহ তাআলা যাদেরকে দু-চার কলম ইলম-কালাম দিয়েছেন, তারা যেন সতর্ক থাকি। নিজেদের ইস্তিগনা রক্ষা হয়। পদ-পদবি, অর্থকড়ি এগুলোর কোনো কিছু যেন আমাদের মূল থেকে সরাতে না পারে। কোনো রকমের লোভ-লালসার মধ্যে যেন আমরা না পড়ি এবং আমাদের কোনো ধরনের ক্রিয়াকলাপ যেন জাতিকে ভুল পথে পরিচালিত না করে। ইসলামী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিত্বের ব্যাপারে তাদের মাঝে অনীহা ও ঘৃণা সৃষ্টি না হয়। এসব কিছু আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

نہ لالچ دے سکے ہرگزتجھے سکوں کی جھونکاریں

تیرے دست توکل میں ہے استغناء کی تلواریں۔

তোমাকে যেন কখনো লালায়িত না করে অর্থ-কড়ির ঝংকার,

তোমার তাওয়াক্কুলের হাতে আছে অমুখাপেক্ষিতার তালোয়ার।

আলকাউসার

মন্তব্য করুন: