শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, কার্তিক ১৭ ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

সততা ও ক্ষমাশীলতার এক বিরল দৃষ্টান্ত

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (১২৬৩-১৩২৮ খ্রি.) অষ্টম হিজরির মুসলিম সংস্কার ও বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁকে এই উম্মতের শ্রেষ্ঠ মেধাবী বলা হয়। তিনি আজীবনের শত্রুকেও যেভাবে ক্ষমা করেছেন, তা দেখে সত্যিই অবাক হতে হয়। তিনি যেভাবে মানুষকে বলেছেন, ‘আমি তাকে মাফ করে দিয়েছি।’  বাস্তবে তিনি এই কথার মূর্তপ্রতীক ছিলেন।

মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩, ১০:০৪

কীভাবে আমরা দ্বীনের পথে অগ্রসর হব

দুটি বিষয়ে করণীয়  ১. নিজের ইলমের বিষয়ে করণীয়। ২. নিজের ঘর ও পরিবারের বিষয়ে করণীয়। 

বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৮

ফিরাঊনের লাশ; আমাদের শিক্ষা

একজন শাইখ মিসরের যাদুঘর পর্যটন করতে গেলেন। ফিরাঊনের মমিকৃত লাশকে অবলোকন করার সময় তিনি দেখতে পেলেন যে, একজন পর্যটক ফিরাঊনের লাশের সাথে কথা বলে চলছে। তিনি চুপচাপ শুনতে থাকলেন। ঐ ব্যক্তি ফিরাঊনকে সম্বোধন করে বলছে, হে ফিরাঊন! আমি তোমার দ্বারা ১০টি শিক্ষা গ্রহণ করেছি। 

শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২২

একজন মুমিনের ঘরের ১৩টি বৈশিষ্ট্য

বাসা-বাড়িতে বসবাস আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আল্লাহ তাআলা বলেন, وَاللّهُ جَعَلَ لَكُم مِّن بُيُوتِكُمْ سَكَنًا ‘আল্লাহ করে দিয়েছেন তোমাদের গৃহকে অবস্থানের জায়গা।’ (সূরা আন নাহল ৮০) একজন মুমিন হিসেবে আমাদের বাসাবাড়ি কেমন হওয়া উচিত, কেমন হলে আমাদের বাসা কিংবা বাড়িটা দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান শত্রু তথা জিন ও শয়তান থেকে নিরাপদ থাকবে এবং বিপরীতে আল্লাহ তাআলার রহমত আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে, এ নিয়ে আলোচনা পেশ করা হল–

বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:১৯
আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত ঘৃণিত যারা

আমাদের সমাজে এমন কিছু দুর্ভাগা রয়েছে, যাদের আল্লাহ তাআলা অত্যন্ত ঘৃণা করেন। আল্লাহ তাআলা এই ধরনের ব্যক্তিদের সঙ্গে কিয়ামতের দিন কোনো ধরনের কথা বলবেন না। তাদের প্রতি দয়ার দৃষ্টিতেও তাকাবেন না।

মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২১
যে আয়াত শুনে এক ইহুদি ইসলাম গ্রহণ করেন

তাফসিরে কুরতুবিতে অদ্ভুত এক ঘটনা এসেছে। তা হলো, একদিন ওমর ফারুক (রা.) মসজিদে নববীতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ এক রোমান ব্যবসায়ী এসে ঠিক তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে বলল, ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশাহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসুলুল্লাহ’। ওমর ফারুক (রা.) জিজ্ঞেস করলেন কী ব্যাপার, কী হলো তোমার? সে বলল, আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মুসলমান হয়েছি।

বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩, ১৪:৩০

অনুপম এক আত্মজীবনী

জীবনের খেলাঘরে থেকে নিয়ে জীবনের শিলান্যাস পর্যন্ত কোনো বই চাটগামীর আত্মজীবনীর ধারেকাছেও আসবে না।

সোমবার, ৫ জুন ২০২৩, ২৩:২৯

আল্লামা ইয়াহইয়া রহ.`র বর্ণাঢ্য জীবনী

শিক্ষকতা জীবনের শুরু থেকে আজ অবধি তার মেধা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা দিয়ে উর্দুখানা থেকে দাওরায়ে হাদীস ও তাফসির জামাত পর্যন্ত মানতেক, উলূমে হাদীস, উলূমে ফিক্বহ, উলূমে তাফসীর, উলূমে ফারায়েযসহ পর্যায়ক্রমে প্রায় সকল কিতাবের অধ্যাপনা করে আসছেন।

সোমবার, ৫ জুন ২০২৩, ১৮:০৯

সময়ের এক সমুজ্জ্বল তারকা আল্লামা আব্দুল হাই পাহাড়পুরী রহ.

গ্রামের ছোট্ট এক তালেবে ইলম। পিতার সঙ্গে ঢাকায় এসেছে। ঢাকা শহর তখনো অতোটা ঝামেলাপূর্ণ হয়ে ওঠেনি এখন যতোটা, তবুও কেউ একান্ত বাধ্য না হলে শহরের পথ ধরতেন না। তালিবে ইলমের পিতা তেমনি বাধ্য হয়ে শহরে এসেছেন।

শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:৪৪

হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মাদ রফী উসমানী রাহ.

গত জুমাবার দিবাগত রাতে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম বড় ফকীহ এবং পুরো দুনিয়ার অনন্য ব্যক্তিত্ব, দারুল উলূম করাচির ছদর হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মাদ রফী উসমানী আখেরাতের সফরে রওয়ানা হয়ে গেছেন।

সোমবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:৩৯

বড়দের বিনয়

শায়খুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী হাফিযাহুল্লাহ। বিশ্ববরেণ্য শীর্ষ আলেমেদ্বীন। সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন জরিপে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে যার নাম বারবার উঠে এসেছে। জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অসাধারণ পাণ্ডিত্য, দীন ইসলামের খেদমতে নিবেদিত প্রাণ হওয়ার পাশাপাশি চারিত্রিক বিনয় তাঁর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, ২১:১৮

হযরত মাওলানা নুরুল ইসলাম রাহ. আল্লাহ তাঁর কবরকে নূরান্বিত রাখুন

আল্লাহ তা‘আলা হযরত মাওলানা রহ.কে যে বিচিত্র গুণাবলীতে ভূষিত করেছিলেন তা আমাদের সময়ের মানুষের মধ্যে একসাথে খুব কম পাওয়া যায়। দেখতে-শুনতে যেমন সুদর্শন, সুবেশী ছিলেন, তেমনি ছিলেন সুরসিক, সদালাপী। ইলমী যোগ্যতার পাশাপাশি নিজ উস্তাদ ও মুরব্বিদের জন্য বলা যায় ফেদা ছিলেন। বহু দেশ সফর করেছেন, অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির সাক্ষাত ও সাহচর্য পেয়েছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেইসব সাক্ষাত ও অভিজ্ঞতার কথা বলতেও পারতেন। তার জীবন সত্যিকার অর্থেই একটি বিচিত্র কর্মময় জীবন ছিল, যার দাস্তান সংরক্ষণ করা সম্ভব হলে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য তা অনেক বড় পাথেয় হতে পারে।

বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২, ০৬:২৫

বাবাকে যেমন দেখেছি

সম্ভবত ১৪২১ হিজরীর কথা। তখন মারকাযুদ দাওয়াহ ছিল মুহাম্মাদপুরের ১/৫ সাতমসজিদ রোডের ভাড়া বাড়িতে। সে সময় শাইখুল হাদীস হযরত মাওলানা আজিজুল হক রাহ. মারকাযে তাফসীরে কুরআনের উপর কিছু বিশেষ দরস প্রদান করেছেন। ইফতেতাহী দরসে শাইখের পরিচয় তুলে ধরে মেজ ভাইজান (হযরত মাওলানা আবদুল মালেক ছাহেব দা. বা.) একপর্যায়ে বললেন, আল্লামা তাজুদ্দীন সুবকী রাহ. ‘তবাকাতুশ শাফিইয়্যাতিল কুবরা’ গ্রন্থে ইমাম গাযালীর ব্যাপারে বলেছেন, ‘কারো সঠিক পরিচয় ও ব্যক্তিত্বের স্বরূপ যথাযথ ব্যক্ত করা তখনই সম্ভব হয়, যখন জীবনী লেখক আলোচিত ব্যক্তির সম মর্যাদার হয়। আর আমি তো তা নই...।’ বাবার ব্যাপারে আজ লিখতে গিয়ে সে কথাটিই মনে পড়ছে। এরপরও বাবাকে নিয়ে এ লেখার পেছনে কারণ দুটি : এক. প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ইমাম সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা এবং সালাফে সালেহীনের অনেক থেকেই এ কথা বর্ণিত হয়েছে, ‘নেককারদের আলোচনাকালে রহমত নাযিল হয়।’ তাই ভাবলাম, এ লেখার কারণে আর কিছু না হোক, আল্লাহর কিছু রহমত তো আমি হতভাগার ভাগ্যে জুটবে ইনশাআল্লাহ। দুই. আমার জানা ও দেখা মতে বাবা ছিলেন আহলে দিল ও কালবে সালীমের অধিকারী মানুষ। ভাবলাম, আমার মতো ‘মারীযুল কল্ব-রুগ্ণ হৃদয়ে’র মানুষ তাঁকে নিয়ে কিছু আলোচনার বরকতে কলবের ইসলাহ ও সংশোধনের কিছু ব্যবস্থা হবে ইনশাআল্লাহ।

বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২, ২৩:১২

মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাক ওবায়দী রাহ. কিছু স্মৃতি কিছু কথা

বিগত কয়েক বছরে আরব-আজমের অনেক বড় বড় ব্যক্তিত্বকে আমরা হারিয়েছি। কাছাকাছি সময়ে এদেশের অনেক বুযুর্গ আখেরাতের মুসাফির হয়ে গেছেন। গত ২২ সফর ১৪৪৩ হিজরী, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ রোজ বৃহস্পতিবার আসরের নামায পড়ে কামরায় এসে টেলিগ্রামের قناة أخبار الوفيات (ইন্তেকালের সংবাদ বিষয়ক একটি গ্রুপ)-এ সংবাদ পেলাম- توفي قبل قليل العالم الرباني الشيخ إسحاق العبيدي رحمه الله تعالى. إنا لله وإنا إليه راجعون. اللهم أكرم نزله وأدخله الفردوس. وألهم من بعده الصبر الجميل. কিছুক্ষণ আগে ইন্তেকাল করেছেন আলেমে রব্বানী হযরত মাওলানা ইসহাক ওবায়দী রাহ.। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। হে আল্লাহ তাকে সম্মানজনক আতিথ্য দান করুন। হে আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন। তাঁর রেখে যাওয়া সবাইকে সবরে জামীলের তাওফীক দান করুন।

সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২, ২২:১০

চলে গেলেন হযরাতুল উস্তায মাওলানা আবদুল হালীম বোখারী রাহ.

উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন, দেশের শীর্ষস্থানীয় দ্বীনী প্রতিষ্ঠান আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া’র মহাপরিচালক, আল-হাইআতুল উলয়া কওমী শিক্ষাবোর্ডের স্থায়ী কমিটির সদস্য, আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশের মহাসচিব, আমাদের সকলের মুরব্বি ও রাহবার হযরাতুল উস্তায মাওলানা আবদুল হালীম বোখারী রাহ. গত ২০-১১-১৪৪৩ হি./২১-৬-২০২২ ঈ. মঙ্গলবার সকাল ৮:৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম ‘সিএসসিআর’ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। إنا لله وإنا إليه راجعون، إِنّ لِلهِ مَا أَخَذَ، وَلَهُ مَا أَعْطى، وَكُلّ شَيءٍ عِنْدَهُ بِأَجَلٍ مُسَمّى. ইন্তেকালের খবর মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে।

সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২৩:০৮

পাহাড়পুরী হুযূর রাহ.: কিছু স্মৃতি কিছু অনুভূতি

পাহাড়পুরী হুযূর রাহ. ছিলেন সত্যিকার অর্থেই এক পাহাড়। সারাটি জীবন যিনি নিজ আদর্শে অটল থেকেছেন ঈমানী দৃঢ়তায়। আর অসংখ্য শঙ্কিত প্রাণকে আগলে রেখেছেন তাঁর ছায়ায় পরম নিশ্চয়তায়। অশান্ত ও সন্ত্রস্তকে করেছেন শান্ত ও আশ্বস্ত। ব্যথিতকে দিয়েছেন সান্তনা। পীড়িতকে উপশম। আহতের ক্ষতে মলম এবং দিকহারাকে দিশা!...

শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬:৪১