২৫ কিলোমিটার যানজট, ২৪ ঘণ্টায় পারাপার ৬৪ হাজার যানবাহন

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিক্রমহাটি এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে তীব্র যানজট
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ এবং পথে একাধিক যানবাহন বিকল হওয়ার কারণে টাঙ্গাইল শহর বাইপাস থেকে যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কিছু সময়ের জন্য ঢাকামুখী লেন বন্ধ রেখে উভয় লেন ব্যবহার করে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন পারাপারের ব্যবস্থা নেয়।
ট্রাফিক বিভাগ জানায়, গত বুধবার থেকে এই মহাসড়কে স্বাভাবিকের তুলনায় তিনগুণ বেশি যানবাহন চলাচল করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ শুক্রবার ভোর পর্যন্ত যমুনা সেতু থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত অন্তত ২৫ থেকে ৩০টি যানবাহন বিকল হয়ে পড়েছে। এর ফলে যানজট আরও প্রকট আকার ধারণ করে।
যমুনা সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট হারুন অর রশীদ জানান, আজ ভোরে সিরাজগঞ্জগামী যানবাহনগুলোর গতি কমে যাওয়ায় টোল প্লাজা পর্যন্ত যানজট পৌঁছে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছু সময় টোল আদায় বন্ধ রাখতে হয় এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঢাকামুখী যান চলাচল বন্ধ রেখে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন পার করা হয়।
সকাল ৯টার দিকে টাঙ্গাইল শহর বাইপাস থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত দীর্ঘ যানবাহনের সারি দেখা যায়। এক বগুড়াগামী ট্রাকচালক লতিফুর রহমান জানান, ভোর ৪টায় গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে রওনা দিয়ে পাঁচ ঘণ্টায় মাত্র এক ঘণ্টার পথ অতিক্রম করতে পেরেছেন।
টোল প্লাজা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত) যমুনা সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন পার হয়েছে এবং এতে মোট ৪ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, ‘অতিরিক্ত যানবাহনের চাপের কারণে যান চলাচল ধীরগতিতে হচ্ছে। তবে যানজট নিরসনে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।