শনিবার ১০ মে ২০২৫, বৈশাখ ২৭ ১৪৩২, ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

রাজনীতি

তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে

ওএনপি২৪ নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: ২২:৩৮, ৯ মে ২০২৫

তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে

তারেক রহমানের অভিযোগ—অন্তর্বর্তী সরকার স্বৈরাচারের দোসরদের নিরাপদে দেশত্যাগে সহায়তা করছে

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অভিযোগ করেছেন, সংস্কারের নামে সময় ক্ষেপণ করে অন্তর্বর্তী সরকার হয়তো পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের নিরাপদে দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকার এসব দোসরদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করতে চাচ্ছে কি না, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে ঢাকার ফার্মগেটে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার পুনর্মিলনী ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, সরকার অত্যন্ত কৌশলে বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে পলাতক স্বৈরাচারের সহযোগীদের পুনর্বাসনের উদ্যোগও থাকতে পারে—যা মানুষের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি করছে।

তিনি ২০১৩ সালে গুম হওয়া বিএনপি নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, আজও তাঁর খোঁজ মেলেনি। অথচ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুমনের বোনের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে, যা প্রশাসনের অজ্ঞতার অজুহাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। অপরদিকে, পলাতক স্বৈরাচার সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতির নির্বিঘ্নে দেশত্যাগ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

তারেক বলেন, “তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম, প্রশাসন সুমন সম্পর্কে জানত না। তবে সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগ সম্পর্কে যদি না জানে, তাহলে প্রশ্ন আসে—এই সরকার আসলে জানে কী?”

তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। তবে সরকার দায়িত্ব পালনে কতটা সক্ষম, তা নিয়ে সমাজে সংশয় দেখা দিয়েছে।

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আধুনিক রাষ্ট্রে নাগরিক পরিচয় সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু হিসেবে নির্ধারিত হয় না। এভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করা একটি অমার্জনীয় অপরাধ।

তারেক রহমান আরও বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ একসঙ্গে অংশ নিয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনেও সকল ধর্মের মানুষ ভূমিকা রেখেছে। দেশের মালিক জনগণ—তাই বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সব ধর্ম মানুষকে ভালো হতে শেখায়, বিভাজন নয়। স্বাধীনতার চেতনায় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্য ধরে রাখা জরুরি।

বাংলাদেশ খ্রিষ্টান ফোরামের সভাপতি জন গমেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ত্রুজ ওএমআই, বিএনপি নেতারা আবদুস সালাম, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, এ কে এম ফজলুল হক মিলন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অনিল লিও কস্তা।