আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ

বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত সরকার। একই সঙ্গে দেশটিতে দ্রুত অবাধ, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র রাণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “সঠিক আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি উদ্বেগজনক পদক্ষেপ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিসর সংকুচিত হওয়া নিয়ে ভারত স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে অবিলম্বে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সকল অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা জোরালোভাবে সমর্থন জানাচ্ছি।”
এর আগে, ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চলমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব ধরনের কার্যক্রম সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সোমবার এ সংক্রান্ত একটি সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যেকোনো ধরনের প্রচার, গণমাধ্যম বা অনলাইনে প্রকাশনা, মিছিল, সভা, সমাবেশ ও সম্মেলনসহ যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হল।”
পরদিন নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত করে, যার ফলে দেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথও বন্ধ হয়ে যায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের এ পদক্ষেপকে বিএনপি স্বাগত জানিয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আওয়ামী লীগের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার এই সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী ও সঠিক।”