বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ফাল্গুন ৭ ১৪৩১, ২০ শা'বান ১৪৪৬

ব্রেকিং

‘হয়রানি করতে’ খালেদাকে নাইকো মামলায় জড়ানো হয়: আদালতের পর্যবেক্ষণ নাইকো দুর্নীতি: খালেদা জিয়াসহ আট আসামিই খালাস বাকি ৫ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ল কুয়েটে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন ২৭তম বিসিএস: নিয়োগবঞ্চিত ১১৩৭ জনের বিষয়ে রায় বৃহস্পতিবার সমাজ সংস্কারে দেশের আলেম সমাজকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা সৌদি আরবে ভবন থেকে পড়ে বাংলাদেশি যুবক নিহত বাইডেন আমলে নিযুক্ত সকল এটর্নিকে বরখাস্তের নির্দেশ ট্রাম্পের অন্তহীন ভোগান্তিতে শহীদ ইমনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে সব বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত হামাস

তালেবানের বিজয়: আল্লাহর সাহায্যের এক নিদর্শন

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংসের যে নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছিল, তার এখনো পর্যন্ত স্বাধীনভাবে কোনো তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনার অজুহাতে, ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর আমেরিকা তার মিত্র ৪৫টি দেশের সৈন্যবাহিনী নিয়ে "ইসলামি আমিরাত আফগানিস্তান"-এর তালেবান সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়। তারা এই ভিত্তি দাঁড় করায় যে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ওপর হামলা আল-কায়েদা এবং ওসামা বিন লাদেন করেছিলেন এবং ওসামা বিন লাদেন আফগানিস্তানে অবস্থান করছেন। আমেরিকা তালেবানদের শর্ত দেয় যে, ওসামা বিন লাদেনকে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে, নতুবা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪:৩৬

পরিযায়ী পাখি : শুধুই উপভোগ নয়

পরিযায়ী পাখী’- এই শব্দদুটির মধ্যে আছে অনেক কথা। কাকে বলে পরিযায়ী পাখি? বিজ্ঞানের ভাষায় নির্দিষ্ট প্রজাতির কিছু পাখির প্রতি বছর বা কয়েক বছর পরপর একটি নির্দিষ্ট সময় বা ঋতুতে অন্তত দুটো অঞ্চলের মধ্যে আসা-যাওয়াকে পাখি পরিযান বলে।

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৩

প্রহসন:ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি:শান্তিচুক্তি না যুলুমের বৈধতাচেষ্টা

গত ২৮ জানুয়ারি উন্মোচিত এ কথিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার নাম দেয়া হয়েছে ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি বা শতাব্দীর সেরা চুক্তি। তবে আন্তর্জাতিক বিশ্ব এ চুক্তিকে দেখছেন শতাব্দীর সেরা যুলুম হিসেবে। এর মধ্যে মূলত ইহুদীবাদী আগ্রাসনকে বৈধতা দিয়ে ফিলিস্তিনকে সবদিক থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:৪১

ওলী হওয়ার মাপকাঠি ঈমান ও তাকওয়া

স্মরণ রেখ, যারা আল্লাহর বন্ধু তাদের কোনো ভয় থাকবে না এবং তারা দুঃখিতও হবে না। তারা সেইসব লোক, যারা ঈমান এনেছে এবং তাকওয়া অবলম্বন করেছে। তাদের দুনিয়ার জীবনেও সুসংবাদ আছে এবং আখেরাতেও।

সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০২
সিরিয়ায় স্বৈরাচারী বাশারের পতন

অবশেষে দীর্ঘ প্রায় অর্ধ শতাব্দী পর সিরিয়া থেকে একনায়ক ও স্বৈরাচারী আসাদ পরিবারের শাসনের সমাপ্তি ঘটল। গত ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশের হাসিনার মতোই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বাশার আলআসাদ। দামেশকসহ পুরো সিরিয়ার নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষরা স্বস্তির নিশ্বাস নিয়েছে সেদিন। একইসাথে আবারও প্রমাণিত হল, পৃথিবীর যেখানেই স্বৈরশাসকরা মাটি কামড়ে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার জন্য যতই কঠিন দূর্গ তৈরি করুক, সাধারণ জনগণের ওপর যতই নির্দয়তা ও নির্যাতন করুক, একদিন আগে বা পরে তাদের পতন অনিবার্য।

রোববার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:১৯
অমানবিক : ধিক! শত ধিক!

মাঘের ক্রান্তিকাল। বসন্ত আসি আসি করছে। দ্বিপ্রহরেও সূর্যের অসহনীয় তাপ। চাঁদপুরের একটি বিদ্যালয়ে খুশির আমেজ। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে নানা আয়োজন। এদিক-সেদিক রঙিন ফিতে উড়ছে। মাঠের একপাশে শামিয়ানা। তার নিচে সারি সারি আসনে উপবিষ্ট অতিথি ও দর্শকবৃন্দ। স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান সভাপতির আসন অলংকৃত করে আছেন। মধ্যমাঠে শিশুদের একটুখানি জটলা। স্কুলের স্কাউট সদস্যরা কোনোকিছুর কসরত করছে। খানিক বাদে বিষয়টা পরিষ্কার হল। শিশুরা দুই সারিতে মুখোমুখী হয়ে একে অন্যের হাতে হাত রেখে মানবসেতু তৈরি করেছে। উপস্থাপক এটাকে পরিচয় দিয়েছেন প্রতীকি পদ্মাসেতু বলে । আরেক শিশু সারি সারি হাতের ওপর উপুড় হয়ে শুয়ে সেতুর পাটাতন রচনা করল। আর সেতুর দ্ইুপাশে দুই শিক্ষার্থী উঁচু হয়ে হাত ও হাঁটু মাটির ওপর রেখে আরোহণ ও অবতরণের সিঁড়ি বনে গেল। ব্যস, কোনো রকম কেউ এটা পাড়ি দিলেই সেতুর ষোলকলা পূর্ণ হয়। বিরল সম্মান ও কৃতিত্বের এই কর্মখানা আঞ্জাম দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হল অনুষ্ঠানের মোস্ট ইম্পর্টেন্ট পার্সন সভাপতি মহোদয়কে। প্রথমে একটু গাইগুঁই করলেও সবার অনুরোধে নিমরাজি হলেন। তিনি একজন জনপ্রতিনিধি। তাঁর দুই নয়ন মানে এলাকাবাসীর উন্নয়ন। জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার বাস্তবায়নই তো পরম আরাধ্য তাঁর জীবনের! অতএব এতগুলো মানুষের অনুরোধ তিনি কীভাবে উপেক্ষা করেন!! সুতরাং সেতুর পাটাতন অমসৃণ এবং ভিত্তি নড়বড়ে হলেও কেবল জনতার মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি রাজি হলেন। এবং শেষতক কোনোরূপ দুর্ঘটনা ছাড়াই নির্বিঘ্নে নির্ঝঞ্ঝাটে প্রবল করতালির মধ্য দিয়ে স্বপ্নের পদ্মাসেতু সফলভাবে পাড়ি দিলেন। আর সাথে উন্মুক্ত করে দিলেন বিতর্ক আর নিন্দার প্রশস্ত এক দরজা। বার্ষিক প্রতিযোগিতার যেমন খুশি তেমন সাজো পর্বে শিশুরা চাষা-চাষী যেমন সাজতে পারে তেমনি পদ্মাসেতু-মানবসেতুও বানাতে পারে। তাই বলে সভাপতি সাহেব শক্ত চপ্পলসমেত অমন বিশাল দেহ নিয়ে শিশুদের নরম কোমল পিঠ মাড়িয়ে যাবেন! নৈতিকতার এ কেমন সংজ্ঞা? রুচি ও শিষ্টাচারের কেমন অধঃপতন হলে শিশুদের কাঁধ ও পিঠকে মাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব?! এখানে মূলত তিনটা পক্ষ। সেতু তৈরিকারক শিশুদের দল, আরোহণকারী সভাপতি আর দুপাশ থেকে সহায়তাকারী অন্যান্য শিক্ষক ও আয়োজকবৃন্দ। এই ঘটনায় সরাসরি শিশুদের দায়ী করা মুশকিল। কারণ তাদের সহজাত মস্তিষ্কে এ ধরনের উদ্ভট কাজকর্মের আনাগোনা অস্বাভাবিক। এটা স্কাউট অথবা স্কুল কর্তৃপক্ষের আবিষ্কার, যা সরল শিশুদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তথাপি শিশুদের মধ্যে ন্যায়-অন্যায়ের মৌলিক একটা পার্থক্যবোধ থাকা জরুরি। যাতে জোরপূর্বক কোনো অন্যায় কাজ তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হলেও বিনয়ের সাথে তা অস্বীকার করতে পারে। বিস্ময়ের ব্যাপার হল একজন জনপ্রতিনিধি কতটা সহজে এমন জঘন্য কাজ করলেন! কথিত সেতুর পাটাতনে তাঁর ছেলেকে যদি শুইয়ে দেয়া হত তিনি কি আপন ছেলেকে মাড়িয়ে যেতেন? একই কাজ পরের ছেলের বেলায় কীভাবে করলেন!? এ ঘটনায় চারদিকে প্রবল সমালোচনা শুরু হওয়ার পর তিনি বলছেন, স্বেচ্ছায় এই কাজ করেননি। সবার অনুরোধেই তিনি মানবসেতুতে উঠেছেন। এমনকি সেতু পার হয়ে শিশুদের ৫০০০ টাকা পুরস্কারও দিয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, শিশুরা যদি তাঁর অমন ভারি শরীরের বোঝা বহনে অক্ষম হত এবং তিনি আকাশপাতাল প্রকম্পিত করে স্বপ্নের পদ্মাসেতুসমেত ভূপাতিত হতেন তখনও কি তাঁর পকেট হতে পুরস্কারের কড়কড়ে নোটগুলো বেরিয়ে আসতো? সেই পরিস্থিতির জন্য তিনি কাকে দায়ী করতেন! সভাপতি সাহেব বলছেন, সেতুতে তিনি নিতান্ত অনিচ্ছায় উঠেছেন। কিন্তু তাঁর মুখাবয়বে ‘নিতান্ত অনিচ্ছার ছাপ ছিল একেবারে অনুপস্থিত; বরং সফলভাবে সেতু পাড়ি দেয়ার শেষ পর্যায়ে দন্তরাজি প্রর্দশন করে যে ভূবনভুলানো হাসি তিনি হেসেছেন, স্বয়ং নীল আর্মস্ট্রং চন্দ্রবক্ষে অবতরণের পরেও এমন হাসি দিয়েছেন কি না সন্দেহ। তাছাড়া অবিবেচক কিছু মানুষ অনুরোধ করল অমনি তিনি তরতর করে সেতু বেয়ে শিশুদের কাঁধ পিঠ ও বাহু মাড়িয়ে উঠে গেলেন। বাস্তবতা যদি এমনই হয়, ভালোমন্দ বিবেচনা না করে মানুষের অনুরোধ চোখবুজে পালন করে যাওয়াই যদি তার স্বভাব হয় তবে তাঁর জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়। অবশ্য দেশের শতকরা ৮৫ ভাগ জনপ্রতিনিধিই যে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ নন সে কথা ঘোষণা করে এক শিল্পপতির মত তাঁদের রোষের পাত্রে পরিণত হওয়ার ইচ্ছা আমার নেই। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি জেনে থাকবেন, আদালত শিশুদের কাঁধে অতিমাত্রায় ভারি স্কুলব্যাগ নিষিদ্ধ করেছে। তিনি হয়ত ভেবেছেন আদালত ভারি স্কুলব্যাগই না নিষিদ্ধ করেছে, শিশুদের কাঁধে আস্ত ভুড়িফাঁপা বয়স্ক মানুষের আরোহণ তো নিষিদ্ধ করেনি। অতএব তিনি তো বেআইনি কিছু করছেন না! তিনি এটাও জেনে থাকবেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদ-। অতএব এই সুযোগে শক্ত জুতো দিয়ে শিক্ষার্থীদের পৃষ্ঠদেশ মাড়িয়ে তিনি হয়তো পরীক্ষা করছিলেন জাতির মেরুদ- কতখানি শক্ত হল। যাই হোক, জনপ্রতিনিধির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা  তো মুশকিল। আদর্শ জাতি ও সমাজ গঠনে শিক্ষকের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। অথচ আলোচ্য ঘটনায় ঐ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জনপ্রতিনিধির তোষামোদ ও চাটুকারিতায়  যে ভূমিকা পালন করেছেন তা সত্যিই বেদনাদায়ক। প্রথমত সভাপতিকে কথিত পদ্মাসেতুতে আরোহণের জন্য পীড়াপীড়ি করলেন। এরপর দু’পাশ হতে হাত ধরে নেতাকে সেতু পারাপারে সহায়তা করলেন। সর্বশেষ সফলভাবে সেতু পাড়ি দেয়ার জন্য তুমুল করতালির মাধ্যমে তাকে অভিবাদন জানালেন। শিক্ষকের এ কী চরিত্র! কোথায় ছাত্রদের শেখাবেন অন্যায় প্রতিরোধের মন্ত্র, উল্টো নিজ ছাত্রদের সাথে অমানবিক আচরণে উল্লসিত হয়ে করতালিতে ফেটে পড়ছেন! প্রধান শিক্ষক মহাশয় আরো ক’ধাপ এগিয়ে। নেতার পক্ষে সাফাই গেয়ে বললেন; এটা নতুন কিছু না। প্রতি বছরই এমনটা হয়ে থাকে। নিন্দুকেরা এখন এটা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। বাঃ বাঃ কী চমৎকার! একটা অন্যায় বহুদিন ধরে চলে আসছে। সেটা বন্ধের চেষ্টা না করে উল্টো এটাকেই বৈধতার দলীল বানিয়ে বসেছেন। যেন একটা অন্যায় বহুদিন ধরে চলতে থাকলে সেটা ন্যায় হয়ে যায়! কী বিচিত্র যুক্তি আমাদের প্রধান শিক্ষকের!! খোলাসা কথা হচ্ছে, সরলমতি শিক্ষার্থীদের বলির পাঁঠা বানিয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক নেতাদের মনোরঞ্জনের অপচেষ্টা নতুন কিছু না। এমন ঘটনাও ঘটেছে- মন্ত্রী মহোদয় স্কুল পরিদর্শনে আসবেন। ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তার দু’পাশে গ্রীষ্মের উত্তপ্ত গরমের মধ্যে সারি বেধে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছে। ছাতিফাটা রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে একাধিক ছাত্রছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছে। পরের দিন জাতীয় দৈনিকগুলোতে ফলাও করে সে সংবাদ ছাপা হয়েছে। তথাপি শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি করা ঐসব লোকের চরিত্রে পরিবর্তন আসেনি। যেমন পরিবর্তন আসেনি চাঁদপুরের সাম্প্রতিক ঘটনার পরেও। এত আলোচনা সমালোচনা আর নিন্দাঝড়ের পরেও লোকগুলোর কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙেনি। ২৯ শে জানুয়ারি হুবহু একই ঘটনা ঘটেছে জামালপুরের মেলান্দহে আরেকটি উচ্চবিদ্যালয়ে। আগেরজন হেঁটেছিলেন পিঠের ওপর দিয়ে আর স্কুলের  জমিদাতা এই নবাবজাদা হাঁটলেন কাঁধের ওপর দিয়ে। ইনি হয়ত ছাত্রদের সাথে একটু কৌতুক করে দেখলেন, স্কুলের জন্য জমি দান করলাম, ছাত্রদের কাঁধ কেমন শক্ত হল দেখা দরকার। যেই কাঁধ আমার মত একজন মানুষের ভার সইতে না পারে, বড় হয়ে কী করে ১৬ কোটি মানুষের বোঝা বইতে পারবে!   এইসব কৌতুকপ্রিয় চাটুকার শিক্ষক, পদলোভী ম্যানেজিং কমিটি আর রম্যরসিক পাতিনেতারা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন- আপন কর্মকাণ্ডে তাঁরা অনড়, পাহাড়সম অবিচল। শত নিন্দা, সমালোচনা অথবা মানবিক মূল্যবোধ কোনোকিছুই তাদের টলাতে পারবে না এতটুকুও। আহ, এই অবিচলতা যদি হত কল্যাণের পথে! এই অটলতা যদি হত দেশের উন্নয়ন আর সমৃদ্ধিতে!

শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:৪৭

বর্তমান মাযার ও কবর পূজা এবং মুর্তিপূজা সাদৃশ্যতা

হযরত নূহ আ: এর সময় প্লাবণে সকল কাফের মৃত্যু বরণ করার পর সবাই ছিল মুসলমান। তারপর এই মুসলমানদের মাঝে কিভাবে শিরক ঢুকল? এ ব্যাপারে হযরত শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দেসে দেহলবী রহ: তার সুবিখ্যাত তাফসীরের মূলনীতির গ্রন্থ “আল ফাউজুল কাবীর”ও তাফসীরের বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে মুসলমানদের মাঝে শিরক প্রবিষ্ট হবার যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা নিম্নরূপ- নুহ আ: এর মৃত্যুর পর তার তিন ছেলের বংশধর সবাই সঠিক পথে ছিল। কিন্তু তাদের মৃত্যুর পর দ্বীনের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমতে থাকে। ধীরে ধীরে এমন এক প্রজন্ম আসল যারা শুধু এতটুকু জানে যে তারা মুসলমান। আর তাদের পূর্বসুরী ছিলেন অনেক ভাল ও বুযুর্গ। কিন্তু পূর্বসূরী বুযুর্গদের কোন গুণ তাদের মাঝে ছিলনা।

শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:০৯

মুসলিম রাষ্ট্রে অমুসলিমদের অধিকার!

মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৭

মানসিক শক্তি বৃদ্ধি লাভের উপায়

মানসিক বা রুহানি শক্তি বলতে সাধারণত মানুষের আত্মিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক শক্তিকে বোঝায়, যা একজন ব্যক্তিকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন, আত্মা পবিত্র করা এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৭

দ্বীন ও শরীয়তের আধুনিকীকরণের আড়ালে বিকৃতিসাধন

বিগত শতাব্দীতে ইসলামী বিশ্ব নানা ফেতনা ও অস্থিরতার শিকার হয়েছে। তন্মধ্যে মুসলিমদের জন্য সবচে বিপজ্জনক ও কঠিন পরীক্ষা ছিল মডার্নিজম বা ইসলামের নবরূপায়ণের ফেতনা। এই ফেতনা বিস্তার ও ভয়াবহ রূপ লাভ করার কারণ হল, তা মানবীয় জযবা ও ঝোঁক-প্রবণতাকে প্রবল আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছিল। নতুবা এই ফেতনার ধ্বজাধারীদের কাছে তেমন কোনো যৌক্তিক দলীল বা দার্শনিক ভিত্তি ছিল না।

রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৩২

শায়েখ সুদাইসের ফিতনা তত্ত্ব এবং আলেমদের দরবার ঘনিষ্ঠতা

ডক্টর আব্দুর রহমান বিন আব্দুল আযীয আসসুদাইস। যিনি শায়েখ সুদাইস নামে অধিক পরিচিত। এই ক’বছর আগেও যিনি ছিলেন লাখো মুসলমানের প্রাণের ব্যক্তি। যার তিলাওয়াতের ভক্ত পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ মানুষ। হারামে মক্কীতে গেলে মানুষ প্রতীক্ষায় থাকত কোন্ বেলায় শায়েখ সুদাইস বা শায়েখ শুরাইম নামায পড়াবেন। কখন কোন্ জুমায় তাদের কোনো একজন খুতবা দেবেন। তাঁদের একজন শায়েখ শুরাইম তো ক্ষমতাবানদের বিরাগভাজন হয়ে অবসর নিয়ে নিয়েছেন আর অপরজন শায়েখ সুদাইসের কথা আজকে এখানে বলতে হচ্ছে একটি দুঃখজনক ও অনাকাক্সিক্ষত বিষয় নিয়ে। সে কথায় পরে আসছি।

শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৫

প্রধানমন্রী শেখ হাসিনার ওমরা পালন

সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৫৪

অল্প দানে বেশি মিলে

মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১৯:২৯

শান্তির ধর্ম একমাত্র ইসলাম

সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:১৮

দ্বীনের পথে

মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৫:৪০

সতিত্ব রক্ষায় পর্দার গুরুত্ব

পর্দা শব্দটি ইসলামের বিধিবিধানের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ইসলাম মানুষের জন্য এমন কিছু ফরজ নিয়মকানুন করে দিয়েছে যা পালনে বেহেশতি সুখ পৃথিবীতেই অনুভূত হয়। আর এর লঙ্ঘনের ফল হয় অশান্তি আর চিরস্থায়ী জাহান্নাম।

বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৩৯