শবে কদর উপলক্ষে বিশেষ পদ্ধতির কোনো নামায আছে কি না?

এক ব্যক্তি রমযানের শেষ দশকে ইতেকাফ করেছিল। তিন দিন পর তিনি অযু ইস্তেঞ্জার প্রয়োজন ছাড়া শুধু সাধারণ গোসলের জন্য মসজিদ থেকে বের হন এবং মসজিদের অযুখানায় গোসল করেন। জানার বিষয় হল, ইতিকাফ অবস্থায় সাধারণ গোসলের জন্য মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েয আছে কি না? বের হলে ইতিকাফ নষ্ট হবে কি না?

গত রোযার ঈদে মাঠে যেতে দেরি হওয়ায় আমার ও আমার ছোট ভাইয়ের ঈদের নামায এক রাকাত ছুটে যায়। তারপর ইমাম সাহেবের সালাম ফেরানোর পর আমরা আমাদের ছুটে যাওয়া নামায পূর্ণ করি।

রমযানে আমি একদিন রোযা অবস্থায় সফর শুরু করি। সফরে যেহেতু রোযা ভেঙে ফেলার সুযোগ আছে, তাই কোনো ওযর ছাড়াই আমি রোযাটি ভেঙে ফেলি। হুজুরের কাছে জানতে চাই, আমার এ কাজটি কি ঠিক হয়েছে? আমার ওপর কি এর কাফফারা ওয়াজিব হবে?

গত রমযানের ১০ তারিখে আমি পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী জমি থেকে ধান কেটে আনি। সেদিন অনেক গরম পড়েছিল। ফলে দুপুর ২টার দিকে আমি প্রচণ্ড পিপাসায় কাতর হয়ে পড়ি। আমার পক্ষে আর স্থির থাকা সম্ভব হয়নি। একপর্যায়ে আমি পানি পান করে ফেলি। মুহতারামের নিকট আমার জানার বিষয় হল, আমাকে কি এখন সে রোযার কাযা করলে চলবে, নাকি এর কাফফারাও আদায় করতে হবে?

আমার কয়েক রাকাত তারাবীর নামায ছুটে যায়। ছুটে যাওয়া রাকাতগুলি ইমামের সাথে বিতর আদায়ের পর পড়ে নিয়েছি। কিন্তু আমার জানা নেই যে, ছুটে যাওয়া তারাবীর নামাযগুলো বিতরের আগে পড়তে হয় না পরে পড়তে হয়। সুতরাং আমার জানার বিষয় হল, আমার নামায সহীহ হয়েছে কী?

খতম তারাবীর বিনিময় দেওয়া-নেওয়া দুটোই নাজায়েয। হাদিয়ার নামে দিলেও জায়েয হবে না। এক মাসের জন্য নিয়োগ দিয়ে বেতন হিসাবে দিলেও জায়েয নয়। কারণ এক্ষেত্রেও প্রদেয় বেতন তারাবীহ এবং খতমের বিনিময় হওয়া স্বীকৃত। মোটকথা, খতম তারাবীর বিনিময় গ্রহণের জন্য হিলা অবলম্বন করলেও তা জায়েয হবে না।

কেউ তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিলে ওই স্ত্রী তার জন্য সম্পূর্ণ হারাম হয়ে যায় এবং ওই স্ত্রীর সাথে তার বিবাহ সহীহ হয় না। কিন্তু যদি মহিলার অন্যত্র বিবাহ হয় এবং দ্বিতীয় স্বামীর সাথে তার সহবাসও হয় এরপর ওই দ্বিতীয় স্বামীর মৃত্যু ঘটে কিংবা দ্বিতীয় স্বামী তাকে তালাক দেয় তাহলে ইদ্দত শেষে সে ইচ্ছা করলে প্রথম তালাকদাতা স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে।

শীতকালে আমি সাধারণত কাপড়ের মোজা পরে এর ওপর চামড়ার মোজা পরি। জানার বিষয় হল, এভাবে কাপড়ের মোজার ওপর চামড়ার মোজা পরা অবস্থায় চামড়ার মোজার ওপর মাসেহ করা কি সহীহ হবে?

গত কয়েক সপ্তাহ আগে মোটরসাইকেল এক্সিডেন্টে আমি মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পাই। বেশ কিছুদিন হাসপাতালে থাকার পর আমি এখন মোটামুটি সুস্থ। তবে ডাক্তার আমার মাথার ব্যান্ডেজ খুলতে এবং তাতে পানি লাগাতে নিষেধ করে দিয়েছে। এমতাবস্থায় আমার গোসল ফরয হয়েছে। এখন আমি কীভাবে পবিত্রতা অর্জন করব?

হুজুর, বিতির নামাযে আমি প্রায় সময়ই সন্দেহে পড়ে যাই যে, নামায দুই রাকাত হয়েছে, না তিন রাকাত। পরে দুই রাকাত ধরে নিয়েই নামায শেষ করি এবং শেষে সাহু সিজদা করি। সেদিন এ ব্যাপারে একজন আলেমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন যে, বিতির নামাযে এরকম সন্দেহে পড়লে দ্বিতীয় রাকাত এবং তৃতীয় রাকাত উভয় রাকাতেই কুনুত পড়তে হবে। হুজুরের কাছে জানতে চাই, উক্ত আলেম কি ঠিক বলেছেন? বিতির নামাযে এরকম সন্দেহ হলে আমার কী করা উচিত?

হুজুর, বিতির নামাযে আমি প্রায় সময়ই সন্দেহে পড়ে যাই যে, নামায দুই রাকাত হয়েছে, না তিন রাকাত। পরে দুই রাকাত ধরে নিয়েই নামায শেষ করি এবং শেষে সাহু সিজদা করি। সেদিন এ ব্যাপারে একজন আলেমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন যে, বিতির নামাযে এরকম সন্দেহে পড়লে দ্বিতীয় রাকাত এবং তৃতীয় রাকাত উভয় রাকাতেই কুনুত পড়তে হবে। হুজুরের কাছে জানতে চাই, উক্ত আলেম কি ঠিক বলেছেন? বিতির নামাযে এরকম সন্দেহ হলে আমার কী করা উচিত?

প্রশ্ন: আমি একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার কাজে আমাকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সফর করতে হয়। চার রাকাত বিশিষ্ট ফরয নামাযে তো আমি কসর করে থাকি। এখন জানার বিষয় হল, ফরয নামাযের আগ-পরের সুন্নতের ক্ষেত্রে আমার কী করণীয়? এগুলো না পড়লে কি কোনো সমস্যা হবে?

আমাদের গ্রামের মসজিদের ইমাম সাহেব একদিন এশার নামাযের তৃতীয় রাকাতে ভুলে সূরা ফাতেহা শেষ পর্যন্ত উচ্চৈঃস্বরে পড়ে ফেলেন এবং এ কারণে সাহু সিজদা আদায় করেন। জানার বিষয় হল, এ কারণে কি সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়েছিল? এক্ষেত্রে নামায শেষে সাহু সিজদা করা কি ঠিক হয়েছে?

আমি একটি মসজিদের মুআযযিন। একদিন ফজরের সময় ঘুম থেকে জাগতে দেরি হয়ে যায়। তখন আমি গোসল ফরয অবস্থায় ছিলাম। কিন্তু আযানের সময় হয়ে যাওয়ার কারণে গোসল করার পূর্বেই আযান দিই। এরপর পুনরায় আযান দোহরাইনি। হুজুরের কাছে জানতে চাই, আমার উক্ত আযান কি সহীহ হয়েছে, নাকি পুনরায় দোহরানো উচিত ছিল?

গত কয়েকদিন আগে আমাদের সবার ফজরের নামায কাযা হয়ে যায়। পরে আমরা জামাতের সাথে ফজরের নামাযের কাযা আদায় করি। এবং নামাযে কেরাত জোরে পড়ি। পরে মনের মধ্যে খটকা লাগল যে, নামাযে কেরাত জোরে পড়া ঠিক হল কি না? বিষয়টির সঠিক সমাধান জানাবেন। আরেকটি বিষয়, কাযা নামাযের নিয়ত কীভাবে করতে হয়। কাযা শব্দ উল্লেখ না করে নামায পড়ে নিলে নামায আদায় হয়ে যাবে কি না?