ব্রেকিং
ইসলামী ব্যাংকিং-এ শরীআহ্ বোর্ড: কিছু কথা
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ দীন। মানব জীবনের সকল সংকটের ভারসাম্য ও টেকসই সমাধান তাতে বিদ্যমান। বর্তমানে আধুনিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগ ব্যাংকিং ব্যবস্থা। পৃথিবীর নানা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাংকিং ব্যবস্থার সাথে যুক্ত। এতে সন্দেহ নেই, বিদ্যমান ব্যাংকিং কাঠামো বস্তুত পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার গর্ভ থেকে সৃষ্ট। এক পক্ষ থেকে সঞ্চয় গ্রহণ করে অপর পক্ষের কাছে সেটি বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে কেবল মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করা, মূল ব্যবসায় সম্পৃক্ত না হওয়া আদতে ইসলামী আর্থিক নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ইসলামী অর্থনীতির দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী বিদ্যমান ব্যাংকিংয়ের যে বাস্তবিক প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলো বহুমাত্রিক প্রক্রিয়ায় সমাধান করার কথা বলে। শুধু একক পদ্ধতি তথা ব্যাংকিং প্রক্রিয়ায় সমাধান করার চিন্তু ইসলামী অর্থনীতিতে সমর্থিত নয়। এ আলোচনাটি মূলত `ব্যাংকিং কাঠামোর ইসলামী করণের সঠিক পদ্ধতি` শিরোনামের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই শিরোনামে ইনশাআল্লাহ সামনে কোনো এক সুযোগে আলোচনা করা যাবে।
রোববার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫১কুরআন ও হাদীসে ‘‘জি হা দ শব্দের প্রায়োগিক ক্ষেত্র কী?
কুরআনে কারীম ও হাদীসের মাঝে যত স্থানে পরিস্কার শব্দে কিতাল ফী সাবীলিল্লাহ শব্দ আসছে, সেসব আয়াত বা হাদীস কেবলমাত্র কিতাল তথা সশস্ত্র জিহাদের ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হবে। অন্য কোন অর্থে তা ব্যবহার করা জায়েজ নয়।
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৪কুরআন-হাদীসের ভুল বা অপব্যাখ্যার ব্যাপারে শরী‘আতের নির্দেশ
হিদায়াত কাকে বলে? আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়াতে দুটি রাস্তা চালু করেছেন, একটি হিদায়াত এবং জান্নাতের রাস্তা। আর অপরটি গোমরাহী এবং জাহান্নামের রাস্তা। পবিত্র কুরআনে পাকে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন, إِنَّا هَدَيْنَاهُ السَّبِيلَ إِمَّا شَاكِرًا وَإِمَّا كَفُورًا ‘আর আমি তাকে [মানুষকে] পথ দেখিয়েছি, হয়তো সে কৃতজ্ঞ হয়েছে, অথবা অকৃতজ্ঞ । [সূরা দাহর; ৩]
সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৫২অপেক্ষার মুহূর্তগুলো কাটুক যিকির-ইস্তিগফারে
অনেক সময় কিছু কথা হৃদয়ের গভীরে রেখাপাত করে। জীবনকে করে সুন্দর ও অর্থবহ। এই তো ক’দিন আগে শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসামানী দামাত বারাকাতুহুমের স্বহস্তে লিখিত একটি চিরকুট দৃষ্টিগোচর হল। ৫ মুহাররম ১৪৩৯ হিজরী তারিখে লেখা সংক্ষিপ্ত একটি উপদেশবাণী। হযরত তাতে লেখেন— بسم اللہ الرحمن الرحیم زندگی کے لمحات بڑے قیمتی ہیں، انہیں تول تول کر اللہ تعالی کی رضا کے کاموں میں صرف کریں۔ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। জীবনের মুহূর্তগুলো অত্যন্ত মূল্যবান। মেপে মেপে সেগুলো আল্লাহর সন্তুষ্টির কাজে ব্যয় করুন। মাত্র দুটি বাক্যের একটি উপদেশ। জীবনকে সফল করার জন্য হয়তো এরচে বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই।
শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৬নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
কবি নজরুল বলে গেছেন-বিশ্বে যা-কিছু মহান্ সৃষ্টি চির-কল্যাণকর,অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। হ্যাঁ। কবি সত্য বলেছেন। নারীর অবদান ধরিত্রীতে পুরুষের চেয়ে কোন অংশেই কম নয়। কিন্তু সর্বযুগেই নারীরা ছিল অধিকার বঞ্চিত। নানাভিদ বঞ্ছনার শিকার। এখনো নারী অধিকারের নামে নারীকে জাহেলী যুগের সেই পণ্য করার প্রতিযোগিতাই পরিলক্ষিত হয়। আমরা এ প্রবন্ধে সংক্ষেপে ইসলাম আসার পূর্বে নারীদের অবস্থা তুলে ধরবো। তারপর ইসলাম এসে নারীদের কোন স্থানে উন্নীত করেছে তাও উল্লেখ করবো ইনশাআল্লাহ।
শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০৮মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না
গত শতাব্দীর পৃথিবীতে আলো ছড়ানো এক মনীষী—মাওলানা সায়্যিদ আবুল হাসান আলী নদভী রাহ.। ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর শুক্রবার জুমার নামাযের কিছুক্ষণ আগে তিনি ইন্তেকাল করেছিলেন। সারা জীবন যেমন আলো ছড়িয়েছেন মাওলানা নদভী, তাঁর মৃত্যুর দৃশ্যটিও ছিল তেমনি হৃদয়ছোঁয়া। জুমার নামাযের প্রস্তুতির জন্যে খাদেম এসে গোসল করিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর তিনি স্বাভাবিক অভ্যাস মোতাবেক সূরা কাহফ তিলাওয়াত করবেন। কিন্তু কুরআন কারীম হাতে নিয়ে তিলাওয়াত শুরু করলেন সূরা ইয়াসীন। ১১তম আয়াতটি যখন তিলাওয়াত করলেন— اِنَّمَا تُنْذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّكْرَ وَ خَشِيَ الرَّحْمٰنَ بِالْغَيْبِ فَبَشِّرْهُ بِمَغْفِرَةٍ وَّ اَجْرٍ كَرِيْمٍ. [অর্থাৎ তুমি কেবল তাকেই সতর্ক করতে পারবে, যে কুরআন অনুসরণ করে এবং দয়াময় আল্লাহকে না দেখে ভয় করে, তাই তাকে তুমি ক্ষমা ও সম্মানজনক পুরস্কারের সুসংবাদ দাও]—তখনই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন এ মনীষী! ভাবা যায়, কত সুন্দর মৃত্যু! আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে আগত ক্ষমা ও সম্মানজনক পুরস্কারের সুসংবাদ পড়তে পড়তে চলে গেলেন আল্লাহ তাআলারই সান্নিধ্যে। এমন মৃত্যু কে না চায়!
বুধবার, ১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৩৭আদর্শ মুসলিম নেতার বৈশিষ্ট্য
নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ এক দায়িত্ব। সবাই এ কাজ পারে না বা সবার দ্বারা সম্ভব হয় না। ইসলামেও এর গুরুত্ব অপরিসীম এবং এটি গুরুত্বপূর্ণ আমানতও বটে। একজন নেতার মধ্যে নির্দিষ্ট গুণাবলি থাকা জরুরি।
মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৪গান ও বাদ্যযন্ত্র : ইসলামী দৃষ্টিকোণ
আমার এক ছাত্র এসে বলল, উস্তাদ! গান শোনা তো জায়েয হয়ে গিয়েছে। এই বলে সে একটি মাসিক পত্রিকার রেফারেন্স দেখাল। আরেক ছাত্র বলল, উস্তাদ! ড. ইউসুফ কারযাভী তো বাদ্যসহ গানকে জায়েয বলেছেন! গান-বাজনার পক্ষে কেউ এই যুক্তি দেন যে, দফ ছিল তৎকালীন আরবের বাদ্যযন্ত্র। আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন তা আরো উন্নত হয়েছে। এমনকি কেউ কেউ এমন কথাও বলেন যে, বিয়ে-শাদিতে গান-বাজনা করা সুন্নত। কিছুদিন পর আমার সেই ছাত্র এসে বলল, উস্তাদ! বাদ্যসহ গান জায়েয, এটা শোনার পর গানের প্রতি আমার সংকোচ কেটে গেছে। কেমন আনন্দ আনন্দ লাগছে। এই বিষয়ে আপনিবিষয়টি আমি অনুধাবন করলাম এবং সুস্পষ্টভাবেই বুঝতে পারলাম যে, এ অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত শোনার চেয়ে প্রিয় শিল্পীর গান শোনাই তার কাছে বেশি ভালো লাগবে। আর ইবলিস শয়তান তো এটাই চায় যে, আল্লাহর বান্দা কুরআন থেকে দূরে থাকুক। এজন্যই তো আবু বকর রা. গানবাদ্যকে শয়তানের বাঁশি বলে আখ্যায়িত করেছেন।
মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮আহলে কুরআন সজল রোশানের ‘রিলিজিয়াস মাইন্ডসেট’ বই পর্যালোচনা!
এমনি এক মুনকিরীনে হাদীস হলো সজল রোশান। যার মোহনীয় উপস্থাপনা এবং শব্দের মারপ্যাঁচে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। মানুষকে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস থেকে দূরে সরাতে তার কসরতের অন্ত নেই। বই লিখেছেন ‘রিলিজিয়াস মাইন্ডসেট’ নামে।
সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০০সূরা তাকাসুরের শিক্ষা
সূরা তাকাসুরের পাঠ― اَلْهٰىكُمُ التَّكَاثُرُ، حَتّٰی زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ، كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُوْنَ، ثُمَّ كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُوْنَ،كَلَّا لَوْ تَعْلَمُوْنَ عِلْمَ الْیَقِیْنِ، لَتَرَوُنَّ الْجَحِیْمَ، ثُمَّ لَتَرَوُنَّهَا عَیْنَ الْیَقِیْنِ، ثُمَّ لَتُسْـَٔلُنَّ یَوْمَىِٕذٍ عَنِ النَّعِیْمِ. অনুবাদ : (পার্থিব ভোগসামগ্রীতে) একে অন্যের ওপর আধিক্য লাভের প্রচেষ্টা তোমাদেরকে উদাসীন করে রাখে। যতক্ষণ না তোমরা কবরস্থানে পৌঁছ। কিছুতেই এরূপ সমীচীন নয়। শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে। আবারও (শোন), কিছুতেই এরূপ সমীচীন নয়। শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে। কক্ষনও নয়। তোমরা নিশ্চিত জ্ঞানের সাথে যদি একথা জানতে (তবে এরূপ করতে না)। তোমরা জাহান্নাম অবশ্যই দেখবে। তোমরা অবশ্যই তা দেখবে চাক্ষুষ প্রত্যয়ে। অতঃপর সেদিন তোমাদেরকে নিআমতরাজি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে (যে, তোমরা তার কী হক আদায় করেছ?) -সূরা তাকাসুর (১০২) : ১-৮
রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:২৮সূরাসমূহের নামের অর্থ (৩৬-৪৯)
৩৬। সূরা ইয়া-সীন : يٰسٓ (ইয়া-সীন)-এর অর্থ আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। এগুলো আলহুরুফুল মুকাত্তাআত। সূরাটির প্রথমেই يٰسٓ শব্দ রয়েছে। সূরার শুরুতে ইরশাদ হয়েছে— يٰسٓ، وَ الْقُرْاٰنِ الْحَكِيْمِ، اِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِيْنَ، عَلٰي صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ. ইয়া-সীন। হেকমতপূর্ণ কুরআনের শপথ! নিশ্চয়ই তুমি রাসূলগণের একজন। সরল পথে প্রতিষ্ঠিত। —আয়াত : ১-৪ এ সূরা সম্পর্কে এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে— مَنْ قَرَأَ يٰسٓ فِي لَيْلَةٍ ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللهِ غُفِرَ لَهٗ. যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রাতে সূরা ইয়া-সীন পড়বে, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। —সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ২৫৭৪ প্রথম আয়াতে উল্লেখিত ইয়া-সীন (يٰسٓ) শব্দ থেকেই সূরাটির নামকরণ হয়েছে ‘সূরা ইয়া-সীন’।
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৭সৃষ্টির বৈচিত্র্যে স্রষ্টার পরিচয়
বৈচিত্র্যময় আমাদের পৃথিবী। বিচিত্র সব সৃষ্টি দিয়ে নিপুণভাবে সাজানো এই বসুন্ধরা। আল্লাহর সৃষ্টিরাজির সর্বত্রই রয়েছে বৈচিত্র্যের ছোঁয়া। প্রাণীজগৎ, উদ্ভিদ ও জড়জগৎ সবখানেই ছড়িয়ে আছে রূপ ও বর্ণের বিচিত্রতা। আল্লাহ তাআলা কুরআন কারীমে ইরশাদ করেন— وَ مَا ذَرَاَ لَكُمْ فِی الْاَرْضِ مُخْتَلِفًا اَلْوَانُهٗ اِنَّ فِیْ ذٰلِكَ لَاٰیَةً لِّقَوْمٍ یَّذَّكَّرُوْنَ. এমনিভাবে তিনি তোমাদের জন্য রংবেরঙের যে বস্তুরাজি পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছেন, তা তাঁর নির্দেশে কর্মরত আছে। নিশ্চয়ই যারা শিক্ষাগ্রহণ করে, সেইসব লোকের জন্য এর মধ্যে নিদর্শন রয়েছে। —সূরা নাহ্ল (১৬) : ১৩
শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১২সূরাসমূহের নামের অর্থ (২৪-৩৫)
২৪। সূরা নূর : ‘নূর’ অর্থ ‘আলো’। সূরাটির ৩৫ নম্বর আয়াতে নূর শব্দটি কয়েকবার উল্লেখিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ পৃথিবী ও আকাশের নূর’। তারপরে তাঁর নূরের দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ যাকে চান তাকে তাঁর নূরের দিকে পথ দেখান’। সেখান থেকেই সূরাটির নাম ‘সূরা নূর’।
শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৮ওজনে হেরফের ॥ আমি কি আল্লাহর সামনে দাঁড়াব না?
কুরআন কারীমের ৮৩ নম্বর সূরার নাম ‘সূরা মুতাফ্ফিফীন’। এর আরেকটি নাম ‘সূরা তাতফীফ’। এ সূরার প্রথম নয় আয়াতে আল্লাহ তাআলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে সতর্ক করেছেন। কুরআন কারীমের শাশ্বত শৈলীতে— وَیْلٌ لِّلْمُطَفِّفِیْنَ، الَّذِیْنَ اِذَا اكْتَالُوْا عَلَی النَّاسِ یَسْتَوْفُوْنَ، وَ اِذَا كَالُوْهُمْ اَوْ وَّ زَنُوْهُمْ یُخْسِرُوْنَ، اَلَا یَظُنُّ اُولٰٓىِٕكَ اَنَّهُمْ مَّبْعُوْثُوْنَ، لِیَوْمٍ عَظِیْمٍ، یَّوْمَ یَقُوْمُ النَّاسُ لِرَبِّ الْعٰلَمِیْنَ، كَلَّاۤ اِنَّ كِتٰبَ الْفُجَّارِ لَفِیْ سِجِّیْنٍ، وَ مَاۤ اَدْرٰىكَ مَا سِجِّیْنٌ، كِتٰبٌ مَّرْقُوْمٌ. দুর্ভোগ তাদের জন্য, যারা মাপে কম দেয়, যারা মানুষের নিকট থেকে যখন মেপে নেয়, পূর্ণমাত্রায় নেয়, আর যখন অন্যকে মেপে বা ওজন করে দেয় তখন কমিয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:০৮সূরাসমূহের নামের অর্থ (১৬-২৩)
নাহল অর্থ ‘মৌমাছি’। সূরাটির ৬৮-৬৯ আয়াতে মৌমাছির কথা রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, তোমার প্রতিপালক মৌমাছির অন্তরে এই নির্দেশ সঞ্চার করেন যে, পাহাড়ে, গাছে এবং মানুষ যে মাচান তৈরি করে তাতে নিজ ঘর তৈরি কর। তারপর সব রকম ফল থেকে নিজ খাদ্য আহরণ কর। তারপর তোমার প্রতিপালক তোমার জন্য যে পথ সহজ করে দিয়েছেন, সেই পথে চল। (এভাবে) তার পেট থেকে বিভিন্ন বর্ণের পানীয় বের হয়, যার ভেতর মানুষের জন্য আছে শেফা। নিশ্চয়ই এসবের মধ্যে নিদর্শন আছে সেই সকল লোকের জন্য, যারা চিন্তা-ভাবনা করে।
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:২৩সূরাসমূহের নামের অর্থ (১-১৫)
কুরআন কারীমের প্রতি মুমিনের ভালবাসার একটি প্রকাশ এও যে, কুরআন বিষয়ক পরিচিতিমূলক তথ্যগুলো তার জানা থাকবে। এ ধরনেরই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, কুরআন কারীমের সূরাসমূহের নামের পরিচয় এবং সূরাসমূহের আলোচ্য বিষয়ের পরিচয়। দ্বিতীয় বিষয়টি একটু দীর্ঘ। তার কিঞ্চিৎ আলোচনা তাফসীরে তাওযীহুল কুরআনে প্রতি সূরার শুরুতে রয়েছে। নামের পরিচয়ের বিষয়টি তুলনামূলক সহজ। নির্ভরযোগ্য অনূদিত কিছু সংক্ষিপ্ত তাফসীরগ্রন্থের সাহায্য নিয়ে নিম্নোক্ত লেখাটি তৈরি করেছেন জনাব কামরুল আনাম খান। পরবর্তীতে সম্পাদনা ও পরিমার্জন করেন মাওলানা ফজলুদ্দীন মিকদাদ। আশা করি পাঠক এ লেখা দ্বারা সূরাসমূহের নাম বিষয়ে একটি সাধারণ ধারণা অর্জন করতে পারবেন। এ সংখ্যায় লেখাটির অংশবিশেষ প্রকাশিত হল। -সম্পাদক]
বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৪