ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞা সীমান্ত বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো এবং মূল ভূখণ্ডের স্থলবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্যের আমদানিতে ভারতের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান।
তিনি বলেন, “ফলের রস, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, প্লাস্টিক সামগ্রী এবং তৈরি পোশাকসহ (আরএমজি) বিভিন্ন বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যে অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা আরোপ করা হয়েছে, তা রপ্তানিকারকদের জন্য জটিলতা সৃষ্টি করবে এবং দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বাণিজ্যের বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।”
সেলিম রায়হান বলেন, “যদিও নিয়ন্ত্রণমূলক তদারকি একটি দেশের সার্বভৌম অধিকার, তবে হঠাৎ করে এবং নির্দিষ্ট কিছু স্থলবন্দরে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ বাণিজ্যে খরচ বাড়ায় এবং অনিশ্চয়তা তৈরি করে।” তিনি উল্লেখ করেন, এতে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তারা।
তিনি আরও বলেন, “ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের পণ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। এই অঞ্চলে প্রবেশাধিকার সীমিত করা হলে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নির্ভরশীল ব্যবসাগুলোর প্রতিযোগিতা ও দক্ষতা হ্রাস পাবে।”
বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এই খাতের পণ্য এখন শুধুমাত্র কলকাতা ও নাহাভা শেভা সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারবে। ফলে রপ্তানিতে বিলম্ব ও অতিরিক্ত খরচের মুখে পড়তে হবে। এতে দুই দেশের জন্যই লাভজনক সম্ভাবনাময় বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হবে এবং স্থাপিত সরবরাহ শৃঙ্খলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”