ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের

বৃহস্পতিবার শোক দিবস, ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সাম্যর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ মে) শোক দিবস ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওইদিন বেলা ১টা পর্যন্ত সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।
বুধবার (১৪ মে) ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সাম্যর মৃত্যু ঘিরে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায় দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া এবং ডিএমপি প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা।
বৈঠকে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহ:
১. টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট স্থায়ীভাবে বন্ধ থাকবে।
২. বৃহস্পতিবার থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়মিত তল্লাশি অভিযান চালানো হবে।
৩. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা তদারকিতে একটি সমন্বিত কমিটি গঠন করা হবে, যার নেতৃত্বে থাকবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ডিএমপি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, কালী মন্দির কর্তৃপক্ষ ও বাংলা একাডেমির প্রতিনিধি থাকবেন।
৪. উদ্যানে সিসি ক্যামেরা ও পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিরাপত্তা জোরদারে ডিএমপির পক্ষ থেকে একটি পুলিশ বক্স স্থাপন করা হবে।
৫. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে একটি নিরাপদ পার্ক হিসেবে গড়ে তুলতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
সাম্যর মৃত্যু শুধু এক ব্যক্তির প্রাণহানিই নয়, বরং এটি ক্যাম্পাস নিরাপত্তা ও নগরপরিকল্পনায় বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। প্রশাসনের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে যেন ভবিষ্যতে আর কোনো শিক্ষার্থীকে এমন পরিণতির শিকার হতে না হয় — সেটাই এখন প্রত্যাশা।