ইউক্রেনে রাশিয়ার টানা হামলায় নিহত ১২, কঠোর চাপের আহ্বান জানালেন জেলেনস্কি

রুশ হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের সামনে কিয়েভের এক বাসিন্দা দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
টানা দ্বিতীয় রাতের মতো বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায়। শনিবার দিবাগত রাতে এসব হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে। ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা বিভাগ রাতটিকে "ভয়ংকর" বলে উল্লেখ করেছে।
রুশ হামলার শিকার হয়েছে রাজধানী কিয়েভ, খমেলনিতস্কি, মাইকোলাইভ ও ঝিতোমির অঞ্চল। শুধুমাত্র কিয়েভেই মারা গেছে ৪ জন, আহত হয়েছে অন্তত ১৬ জন, যাদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার ছোড়া ৪৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ২৬৬টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। শুক্রবার রাতেও রাশিয়া ইউক্রেনে ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ২৫০টি ড্রোন ছুড়েছিল।
এমন সময়ে এ হামলা হলো, যখন কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে বন্দী বিনিময়ের আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। শনিবার এক ঘোষণায় জানানো হয়, ৩০৭ জন রুশ বন্দীর বিনিময়ে একই সংখ্যক ইউক্রেনীয় সেনাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর আগে শুক্রবার ৩৯০ জন বন্দী বিনিময় হয়।
রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা মস্কোর আকাশে ১২টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে। রাজধানীর চারটি বিমানবন্দরে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় বলেন, "রুশ নেতৃত্বের ওপর সত্যিকারের ও কঠোর চাপ না থাকলে এই নির্মমতা থামানো সম্ভব নয়।" তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা ও চাপ আরও বাড়ায়।
জেলেনস্কি আশা প্রকাশ করেন, ১৬ মে ইস্তাম্বুলে শুরু হওয়া বন্দী বিনিময়ের প্রক্রিয়া সফলভাবে এগিয়ে যাবে এবং যুদ্ধ থামাতে আন্তর্জাতিক প্রয়াস জোরদার হবে।