চট্টগ্রামে নারীকে লাথির ঘটনায় ভাইরাল আকাশ চৌধুরী বহিষ্কৃত, জামায়াতের বিবৃতি

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এলাকায় গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মানববন্ধনে এক নারীকে লাথি মেরে ভাইরাল হওয়া যুবক আকাশ চৌধুরীকে সংগঠনের কর্মী হিসেবে স্বীকার করে তাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামী।
শুক্রবার (৩০ মে) এক বিবৃতিতে জামায়াত জানায়, ঘটনার দিন আকাশ চৌধুরী সংগঠনের অনুমতি ছাড়া সেখানে গিয়েছিলেন এবং তার কর্মকাণ্ড ‘চরমভাবে নিন্দনীয়’। চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহর স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, “২৮ মে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে দুটি সংগঠনের কর্মসূচিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ও ঘৃণিত দৃশ্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। জামায়াতের পক্ষ থেকে সেখানে কাউকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়নি, এবং জামায়াত এই ঘটনার কোনও দায়ভার বহন করবে না।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “বিশেষ করে আকাশ চৌধুরী নামের আমাদের একজন কর্মী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই সেখানে উপস্থিত হয়ে যে কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সংগঠন হিসেবে আমরা শৃঙ্খলা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী। সে কারণে কেন্দ্রীয় দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে আকাশ চৌধুরীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
মহানগর জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, “সংগঠনের সিদ্ধান্তক্রমে আকাশ চৌধুরীকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (২৮ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচির বিপরীতে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মানববন্ধন চলছিল। এ সময় জামায়াতপন্থী সংগঠন 'শাহবাগবিরোধী ঐক্য' মানববন্ধনে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। হামলার সময় একজন নারীকে লাথি মারার ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, যা দ্রুত ভাইরাল হয়।
পরবর্তীতে জানা যায়, লাথি মারা ওই যুবকের নাম আকাশ চৌধুরী। তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌর এলাকার নেছার আহদের ছেলে। আকাশ চৌধুরী শিবিরের চট্টগ্রাম মহানগরের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা। এর আগে নগরীর মুরাদপুরে সুন্নি মুসলিমদের একটি কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগেও তার নাম উঠে এসেছিল।