এনসিপি নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শাহবাগ অবরোধ

হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচি এনসিপির।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন এনসিপি ও ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আজ বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে তারা শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে শুরু করলে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তারা সড়ক ছেড়ে দেন।
শাহবাগ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ মনসুর প্রথম আলোকে জানান, হঠাৎ করে এনসিপি কর্মীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করলে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
এনসিপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ ছাড়াও রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, শনিরআখড়া, মিরপুর ১০, উত্তরা আজমপুর, হাউজ বিল্ডিংসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় তারা স্লোগান দেন, ‘হইহই রইরই, আওয়ামী লীগ গেলি কই; গোপালগঞ্জে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী দোসররা আবার ধ্বংসলীলায় মেতে উঠেছে। পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করছে, খুনিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’ তিনি হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না করলে ফের অবরোধ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সন্ধ্যার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে নেতা-কর্মীদের অবরোধ তুলে রাস্তার পাশে অবস্থান নিতে বলেন।
এর আগে, মাসব্যাপী জুলাই কর্মসূচির অংশ হিসেবে গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। এনসিপির দাবি, হামলাকারীরা নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের সমর্থক। দুপুর পৌনে দুইটার দিকে প্রথম হামলার পর সমাবেশ শেষে আবার হামলা হয়। এতে দফায় দফায় সংঘর্ষে দুইজন নিহত হন। পুলিশ ও সেনা সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
সকালে গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। হামলার সময় সদর উপজেলার ইউএনও রাকিবুল হাসানের গাড়িতেও হামলা চালানো হয়, এতে গাড়িচালক আহত হন।