আন্দোলনের পর অবশেষে নিয়োগ পেলেন ৪৩তম বিসিএসের বাদ পড়া ১৬২ জন

দীর্ঘ পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলা আন্দোলন ও আমরণ অনশনের পর ৪৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়েও বাদ পড়া ১৬২ জন প্রার্থী অবশেষে সরকারি চাকরি পেয়েছেন। মঙ্গলবার (২০ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাদের নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
তবে একই ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়া বাকি ৬৫ জন এখনও নিয়োগের বাইরে রয়ে গেছেন।
এর আগে, ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফা নিয়োগের প্রজ্ঞাপন থেকে ৪৩তম বিসিএসের ২২৭ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়া হয়। পরে ওই প্রজ্ঞাপনে ২,১৬৩ জনের মধ্য থেকে ১,৮৯৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাদ পড়াদের বিষয়ে জানানো হয়, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তারা “সাময়িক অনুপযুক্ত” হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। তবে তাদের আবেদনপত্র পুনর্বিবেচনার সুযোগও রাখা হয়েছিল।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বাদ পড়া প্রার্থীরা ভেরিফিকেশনের ভিত্তিতে নিয়োগ চেয়ে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে কয়েকজন গত ২৯ এপ্রিল থেকে আমরণ অনশনেও বসেন।
৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর পিএসসি ২,১৬৩ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। পরে প্রথম দফায় ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর ২,০৬৪ জনকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তবে ডিসেম্বরের শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে নতুন করে ১,৮৯৬ জনকে নিয়োগ দিয়ে দ্বিতীয় দফা প্রজ্ঞাপন জারি করে। বাদ পড়ে যান ২২৭ জন, যাদের মধ্যে ১৬২ জনের নিয়োগ অবশেষে কার্যকর হলো।
এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি আংশিক পূরণ হলো। তবে বাদ পড়া ৬৫ জনের নিয়োগ নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ভেরিফিকেশন ও অন্যান্য প্রক্রিয়া বিবেচনায় বাকি প্রার্থীদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।