ব্রেকিং
ভালোবাসা দিবস (ভ্যালেন্টাইনস ডে)
আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের নীতি–পদ্ধতি পুরোপুরিভাবে অনুসরণ করবে, বিঘতে বিঘতে ও হাতে হাতে, এমনকি তারা যদি গুইসাপের গর্তে প্রবেশ করে থাকে তাহলেও তোমরা তাদের অনুসরণ করবে। আমরা বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! পূর্ববর্তী উম্মত বলতে তো ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানরাই উদ্দেশ্য? তিনি বললেন, তবে আর কারা? (সহীহ মুসলীম, হাদীস নং ২৬৬৯-৩,২৬৬৯-২,২৬৬৯-১)
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৪শাবান ও রমযান মাস ॥ গুরুত্ব ও ফযীলত, করণীয় ও বর্জনীয়
শাবান ও রমযান উভয়টিই গুরুত্ববহ ও ফযীলতপূর্ণ মাস। রমযানের গুরুত্ব তো প্রায় সকলেই বোঝেন। কিন্তু শাবান মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে হয়তো কেউ কেউ যথাযথ ওয়াকিফহাল নন। শাবান মাসকেও নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গুরুত্ব দিতেন। গুরুত্বের সাথে রোযা রাখতেন এবং অন্যান্য আমল করতেন। এ নিবন্ধে শাবান ও রমযান উভয় মাসের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফযীলত নিয়ে আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি করণীয়-বর্জনীয় বিষয়েও কিঞ্চিৎ আলোকপাত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:০৪শবে বরাত: কিছু ভ্রান্তি নিরসন
আলকাউসারের শাবান ১৪২৬ হি. (সেপ্টেম্বর ’০৫ ঈ.) সংখ্যায় ‘বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ির কবলে শাবান ও শবে বরাত’ শিরোনামে, শাবান ১৪২৭ হি. (সেপ্টেম্বর ’০৬ ঈ.) সংখ্যায় ‘উলামায়ে সালাফের উক্তির আলোকে শাবান শবে বরাত’ শিরোনামে এবং রজব ১৪২৮ হি. (আগষ্ট ’০৭ ঈ.) সংখ্যায় ‘অজ্ঞতা ও রসম-রেওয়াজের কবলে শাবান-শবে বরাত : নববী নিদের্শনাই মুক্তির উপায়’ শিরোনামে শাবান ও শবে বরাত সম্পর্কে অনেকগুলো প্রয়োজনীয় কথা পাঠকের সামনে এসে গেছে। ওয়াল হামদু লিল্লাহি তাআলা আলা যালিকা হামদান কাছীরা। এ সংখ্যায় শুধু কিছু ভুল ধারণা চিহ্নিত করে দিতে চাই। কেননা এগুলো সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন এসে থাকে।
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:২৪মহব্বত হতে হবে আল্লাহর জন্য
সৃষ্টিগতভাবেই মানুষকে আল্লাহ তাআলা যেসব গুণ ও স্বভাব দান করেছেন তন্মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি গুণ হল, মহব্বত। এটি নিছক একটি গুণই নয়, এটি জীবন পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ একটি শক্তি। জীবন ও জগতের বহু বিষয়, চিন্তা ও কর্মের বহু ক্ষেত্র এবং ধ্যান ও ভাবনার অসংখ্য শাখা-প্রশাখা এই সহজাত শক্তির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। ব্যক্তির চেতনে-অবচেতনে, ইচ্ছা-অনিচ্ছায় এই গুণ ও স্বভাব তার মাঝে বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ফলে কোনো কোনো পর্যায়ে এটি দুর্দম প্রভাবক শক্তিরূপে প্রকাশ পায়। তখন মানুষ তার সামনে একরকম অসহায় হয়ে পড়ে। ফলে নিজের বিবেক ও বিবেচনা, জ্ঞান ও বুদ্ধি এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিরোধী কাজের প্রতিও উদ্যত হয়ে ওঠে। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন যে কারো কাছেই বিষয়টি স্পষ্ট ও বোধগম্য।
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৬আইয়্যামুল বীযের সওম (রোযা)
ইবাদত-বন্দেগীর মধ্যে দুটি প্রকার রয়েছে : এক. যা অবশ্য পালনীয়, দুই. যা ঐচ্ছিক। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, অবশ্য-পালনীয় ইবাদতসমূহের গুরুত্ব ঐচ্ছিক ইবাদতসমূহের চেয়ে বেশি। হাদীস শরীফে পরিষ্কার বর্ণিত হয়েছে, ‘বান্দা আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে বেশি নৈকট্য অর্জন করে ফরয ইবাদতের মাধ্যমে।’ তবে নফল ও ঐচ্ছিক ইবাদতের ফযীলতও এত বেশি যে, তা মুমিনকে উদ্দীপ্ত ও আগ্রহী করে তোলে। তন্মধ্যে একটি হল প্রতি মাসে আইয়্যামুল বীযের রোযা রাখা। হাদীস শরীফে নফল রোযার অনেক প্রকার ও অনেক ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও নফল রোযা রেখেছেন, উম্মতকেও এর ফযীলত শুনিয়েছেন।
বুধবার, ১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৪একটি হাদীস : জীবন পরিবর্তনকারী চারটি কথা
আজকের এ মজলিসে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি হাদীস সম্পর্কে সংক্ষেপে মুযাকারা করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। হাদীসটি ‘মুস্তাদরাকে হাকেম’সহ হাদীসের অনেক কিতাবে বর্ণিত হয়েছে— عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ أَوْصِنِي وَأَوْجِزْ، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَلَيْكَ بِالْإِيَاسِ مِمَّا فِي أَيْدِي النَّاسِ، وَإِيَّاكَ وَالطَّمَعَ فَإِنَّهُ الْفَقْرُ الْحَاضِرُ، وَصَلِّ صَلَاتَكَ وَأَنْتَ مُوَدِّعٌ، وَإِيَّاكَ وَمَا تَعْتَذِرُ مِنْهُ. সা‘দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রা. বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে এসে বললেন, আল্লাহর রাসূল! আমাকে নসীহত করুন এবং সংক্ষেপে বলুন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন— (১) মানুষের হাতে যা আছে, তা থেকে নিরাশ হয়ে যাও। (২) লোভ করবে না। কারণ লোভই হল নগদ দারিদ্র্য। (৩) তুমি নামায এমনভাবে আদায় করবে, যেন তুমি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে যাচ্ছ! (৪) এমন কথা ও এমন কাজ থেকে বিরত থাকবে, যার জন্য পরে তোমাকে ক্ষমা চাইতে হয়। —মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস ৭৯২৮
সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৪০মুমিনের জীবনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রভাব
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম একটি হলো নামাজ। এটি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। ইবাদতের মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদত। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা (দ্বিনের ওপর) অবিচল থাকো, যদিও তোমরা আয়ত্তে রাখতে পারবে না।
রোববার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:১৩হাউজে কাউছারের পানি থেকে বঞ্চিত হবে যারা
হাউজে কাওসার জান্নাতের একটি বিশেষ ঝর্ণা। এর পানি হবে সবচেয়ে বেশি মিষ্টি ও তৃপ্তিকর। হাউজে কাওসার সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সা. এর বাণি বর্ণিত আছে। কেয়ামতের দিন মানুষ ভয়াবহ পরিবেশে তৃষ্ণার্ত থাকবে। তারপর আল্লাহ তাআলা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দায়িত্ব দেবেন, তার প্রিয় উম্মতকে তৃষ্ণা নিবারণের।
রোববার, ১২ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:০৬বদনজর থেকে মুক্তির উপায়
এখানে দুইটি বিষয়। একটি হলো বদনজর যেন না লাগে সে লক্ষ্যে আগে থেকেই নিজেকে রক্ষা করা। এর জন্য হাদীস শরীফের দোয়া শেখানো হয়েছে। যে দোয়াটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর দুই প্রিয় নাতি হযরত হাসান ও হযরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমা উভয়কে লক্ষ্য করে পড়তেন। দোয়া পড়ে তাদের দুজনকে ঝাড়ফুঁক করে দিতেন।
সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৩৯যে ৮টি পথ ও পদ্ধতি অবলম্বনে ধৈর্যশীল হওয়া যায়
ধৈর্য সৌভাগ্যের প্রতীক। ধৈর্য জন্মগত কিংবা পৈতৃকসূত্রে পাওয়া কোনো কিছু নয়। কেউ যদি নিজেকে ধৈর্যশীল বান্দা হিসেবে গড়ে তুলতে চায় তাহলে তার জন্য সম্ভব।
সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:০৪দৃষ্টি অবনত রাখার ১০টি উপকারিতা
চোখ আল্লাহ তাআলার বিশাল নিয়ামত। এই নিয়ামতের অপব্যবহার হলে ইহকাল ও পরকাল উভয়জগতে আছে বহু ক্ষতি। কুদৃষ্টি মানবহৃদয়ে প্রবৃত্তির বীজ বপন করে। চোখের যত্রতত্র ব্যবহার গুনাহের দ্বার উন্মোচিত করে দেয়। চোখকে বলা হয় অন্তরের আয়না। চোখ অবনত থাকলে অন্তর অবনত থাকবে। নিম্নে দৃষ্টি অবনত রাখার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো—
সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০৯নামাজে মনোযোগ বাড়ানোর ৮টি উপায়
১. একাগ্রতা নামাজে একাগ্রতা বা হুজুরে দিল এর বিকল্প নেই। তাই অজুর শুরুতেই স্থির মনোভাব ও নিয়ত পোষণ করতে হবে। মহাবিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহ তাআলার দরবারর হাজিরা দেয়ার জন্যই অজু করছেন। শুধু নামাজের সময় এ চিন্তা-চেতনায় দিল তৈরি হবে যে, মহান আল্লাহ সবাইকে দেখছেন। হাদিসে এসেছে-
শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:০৬জুমার দিনের ফযীলত ও বিশেষ আমল
জুমার দিন এই উম্মতের প্রতি বিশেষ দান আল্লাহ তাআলা পূর্বের জাতিবর্গকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তোমরা সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতম দিনে আমার জন্য বিশেষ একটি ইবাদত কর। কিন্তু তারা সেই শ্রেষ্ঠতর দিনটি নির্ণয় করতে ভুল করেছে। চিন্তা-ভাবনা করে ইহুদীরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য শনিবারকে নির্বাচন করেছে আর নাসারারা নির্ধারণ করেছে রবিবারকে। অথচ সবচেয়ে সম্মানিত দিন হল জুমাবার। এ দিনের অনেক ফযীলত, অনেক বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা মেহেরবানী করে সে দিনটি উম্মতে মুহাম্মদীকে দান করেছেন। আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:০০আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সহজ উপায়
বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২০তাহাজ্জুদ নামাযের গুরুত্ব ও ফজিলত
তাহাজ্জুদের মর্যাদা অপরিসীম। ফরজ নামাজের পরে উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ। হাদিস শরীফে রাসূল (স.) এরশাদ করেছেন, ‘রমজানের পর উত্তম রোজা হলো মুহাররম মাসের রোজা এবং ফরজ নামাযের পর উত্তম নামাজ হলো রাতের নামাজ’ (তাহাজ্জুদের নামাজ)। তাহাজ্জুদগুজার বান্দাহ্দের অগ্রগতির স্বীকৃতি আল্লাহপাক স্বয়ং নিজেই দিয়েছেন যথা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সেজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে এবাদত করে, পরকালের আশঙ্কা রাখে এবং তার পালন কর্তার রহমত প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান? যে এরূপ করে না’ (সূরা জুমার, আয়াত নং-৯)। বেহেশতবাসী পরহেজগার মুমিন বান্দাদের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা রাত্রির শেষাংশে জাগ্রত থেকে নামাজ পড়ে ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ তা’আলা তাদের বর্ণনা দিয়েছেন যে, ‘তারা (খোদাভীরুরা) রাত্রির সামান্য অংশেই নিদ্রা যেত এবং রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করত।’ (সূরা আজ-জারিয়াত, আয়াত-১৭-১৮)।
রোববার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৪৯যে ১০টি উপায়ে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার যায়
যে গুণ মানুষকে সম্মানিত করে, যে অভ্যাসগুলো মানুষের ব্যক্তিত্বকে গঠন করে, যে বৈশিষ্ট্যের কারণে মানুষ গুনাহমুক্ত জীবন গড়তে পারে, যেসব বৈশিষ্ট্যের কারণে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার যায় —তা নিয়ে নিজে আলোচনা করা হলো:
শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৩