‘জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ না করলে আওয়ামী লীগ তেমনই রূপে ফিরবে’ — গণ অধিকার পরিষদ

নির্বাচন কমিশনে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, “জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ না করে যদি আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির রূপেই ফিরে আসবে।” তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী দল অংশ নিতে পারবে না।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে দলের আয়–ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খাঁন বলেন, জনগণের মধ্যে সংশয় রয়েছে—আওয়ামী লীগের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন যে, আওয়ামী লীগের কোনো পদে থাকা কেউ স্বতন্ত্রভাবেও নির্বাচন করতে পারবেন না।
তবে গণ অধিকার পরিষদ জানতে চেয়েছে—২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত এমন ব্যক্তিরা, যারা বর্তমানে আওয়ামী লীগের পদে নেই কিন্তু ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকে কায়েমে ভূমিকা রেখেছেন, তারা কি পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন? এ বিষয়ে সিইসি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান রাশেদ খাঁন।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের মতো জোটগুলোও গণতন্ত্রবিরোধী ব্যবস্থার প্রধান সহযোগী ছিল। সে অনুযায়ী, কেন তাদের নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল করা হবে না, সেটিও তাঁরা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছেন।
গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২৪ অর্থবছরে দলের আয় ছিল ৪৬ লাখ ৯ হাজার ৩০০ টাকা, এবং ব্যয় ছিল ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮ টাকা।
দলের আয়–ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার সময় রাশেদ খাঁনের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ এবং সদস্য মাহবুব জনি।