কিউকমের সম্পদ জব্দের দাবি ভুক্তভোগীদের

কিউকমের কাছে পাওনা টাকা ফেরতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ২৮ জুলাই ২০২৫। Ask ChatGPT
ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম ডটকমের প্রধান নির্বাহী মো. রিপন মিয়ার সম্পদ জব্দ করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তাঁদের অভিযোগ, অনলাইনে চমকপ্রদ অফারের মাধ্যমে কিউকম গ্রাহকদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা নিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ কিংবা টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি।
আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগীদের একজন, হাবিব বিন আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ২০২০-২১ সালের দিকে ৩৫-৪৫ শতাংশ ছাড়ের অফার দিয়ে কিউকম গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে। পণ্যের অগ্রিম মূল্য নেওয়া হলেও অধিকাংশ গ্রাহক পণ্য পাননি। অনেক টাকা রিপন মিয়া তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ও কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা নিয়েছেন।
তাঁর দাবি, কিউকম প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার অর্ডার নিয়েছিল। পরবর্তীতে সরকার গেটওয়ের মাধ্যমে টাকা পরিশোধে নিষেধাজ্ঞা দিলে কিউকম সরাসরি টাকা সংগ্রহ শুরু করে। এখনও প্রায় ১৬৫ কোটি টাকা গ্রাহকরা ফেরত পাননি বলে অভিযোগ করা হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর গেটওয়ে থেকে ৩৪৪ কোটি টাকা ছাড় করলেও সেই টাকা গ্রাহকদের পরিশোধ করা হয়নি। কিউকমের ওয়্যারহাউসের ১০০ কোটি টাকার পণ্য গোপনে বিক্রি করে আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, প্রতারণার অভিযোগে রিপন মিয়া ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক মামলা হয়েছে। তাঁর নামে দুটি বিলাসবহুল গাড়ি, তিনটি ফ্ল্যাট, ৩০০ ফিট এলাকায় মেগা প্রকল্পে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ ও ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিটের কথাও উল্লেখ করা হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, টাকা ফেরত চাইলে তাঁদের হামলা-মামলা ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। তাঁরা সরকারের প্রতি রিপন মিয়ার সব সম্পদ জব্দ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. রিপন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যে ৩৮০ কোটি টাকা গ্রাহকদের পরিশোধ করেছি। কিছু টাকা বাকি আছে, ব্যবসা চালু রাখতে দিলে বাকি টাকাও ফেরত দেওয়া সম্ভব। যাঁরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তাঁরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’