যুবলীগ-ছাত্রলীগের ২৮২ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ২৯

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর গোপালগঞ্জে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২৮২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোরশেদ আলম জানান, মঙ্গলবার রাতে টুঙ্গিপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই এনসিপির সমাবেশকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে টুঙ্গিপাড়ার (পিরোজপুর-ঢাকা) মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টাও করা হয়।
আসামিদের মধ্যে যাদের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে, তারা হলেন— টুঙ্গিপাড়া পৌর যুবলীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইফতি জামান পল্লব, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাবুল হাসান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন বিশ্বাস কালু, কুশলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির মোল্লা, ডুমুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মমিন মর্তুজা, এবং বর্নি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রোমান মোল্লা।
ওসি খোরশেদ আলম জানান, “১৬ জুলাইয়ের ঘটনার পর থেকে এজাহারভুক্ত ২৩ জনসহ মোট ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে মঙ্গলবার রাতে হওয়া মামলায় নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পুলিশের অভিযান চলবে।”
এদিকে, এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট চারটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ৩৫৮ জন নেতাকর্মীসহ ৩ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৬৫০ জন ‘অজ্ঞাত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ২৭৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সবগুলো মামলাই পুলিশ দায়ের করেছে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।