কিছু উপদেষ্টা ও ছাত্ররা ভুল বোঝায়, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন দিতে চান - হাফিজ উদ্দিন

তজুমদ্দিনে উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে বক্তব্য দেন হাফিজ উদ্দিন আহমদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, দলের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন দিতে আগ্রহী, কিন্তু কিছু উপদেষ্টা ও ছাত্রদের কারণে তিনি মাঝে মাঝে ভুল সিদ্ধান্তে প্রভাবিত হন। রোববার দুপুরে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘প্রথমে প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচন দেওয়ার আগ্রহ ছিল না, কিন্তু লন্ডনে আমাদের নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি রাজি হয়েছেন। তবে কিছু উপদেষ্টা আবার তাঁকে ভুল বোঝায়, আর ছাত্ররাও বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলছে।’
ছাত্র ও উপদেষ্টাদের গড়া ছোট দলগুলোকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এরা খালি ভাষণ দেয়, সংস্কারের কথা বলে। কেউ হাজবেন্ড-ওয়াইফ পার্টি, কেউবা সিএনজিপার্টি—তিনজন মিলে এক দল।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখনো এসব দলের রেজিস্ট্রেশন হয়নি, কমিটি গঠিত হয়নি, তবু তারা ক্ষমতায় যাওয়ার কথা বলে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি প্রসঙ্গে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘এরা আমাদের নাতির বয়সী। দল গঠন করুক, রাজনীতি শিখুক—একসময় সাবালক হলে সরকার গঠনের সুযোগ পাবে। তবে এখনই বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সমালোচনা করা উচিত নয়।’
আওয়ামী লীগের সমালোচনায় হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে তাদের পতন হয়েছিল, সেই পটভূমি বিএনপিই তৈরি করেছিল। গত ১৬ বছর ধরে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।’
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা। সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্যসচিব ওমর আসাদ। এতে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমত উল্যাহ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী (আলমগীর), সদস্যসচিব রাইসুল আলম, ওলামা দলের সভাপতি কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কণ্ঠভোটে গোলাম মোস্তফাকে সভাপতি ও ওমর আসাদকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। নতুন কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা কেন্দ্রীয় দফতরে পাঠাতে বলা হয়। উল্লেখ্য, তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপির সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়েছিল ১৩ বছর আগে।