উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: দগ্ধ ২৮ জন বার্ন ইউনিটে ভর্তি, চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান।
বিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনায় এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের উপর বিধ্বস্ত হয়। আইএসপিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বেলা ১টা ১৮ মিনিটে দুর্ঘটনার খবর আসে ফায়ার সার্ভিসে। মাত্র চার মিনিট পর, ১টা ২২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট। উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও অংশ নেন।
ঘটনার পরপরই দগ্ধ ব্যক্তিদের একে একে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়। আহত আরও চারজনকে হেলিকপ্টারে করে নেওয়া হয়েছে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ২৮ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এদের মধ্যে আছেন: শামীম ইউসুফ (১৪), মাহিন (১৫), আবিদ (১৭), রফি বড়ুয়া (২১), সায়েম (১২), সায়েম ইউসুফ (১৪), মুনতাহা (১১), মেহেরিন (১২), আয়মান (১০), জায়েনা (১৩), ইমন (১৭), রোহান (১৪), আবিদ (৯), আশরাফ (৩৭), ইউশা (১১), পায়েল (১২), আলবেরা (১০), তাসমিয়া (১৫), অয়ন (১৪), ফয়াজ (১৪), মাসুমা (৩৮), মাহাতা (১৪), জাকির (৫৫), নিলয় (১৪), সামিয়া এবং আরও কয়েকজন।
ঘটনাস্থলে থাকা অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন অবস্থায় সন্তানদের খোঁজ করছেন। কেউ কেউ তাদের এক সন্তানকে বের করতে পারলেও অন্যজন এখনও ভেতরে আটকে আছে বলে জানান।
ঘটনার পরপরই আগুন ধরে যায় বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে, যার ফলে অনেকেই আগুনে দগ্ধ হন। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে দুই প্লাটুন বিজিবি।