কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সব শাখার কার্যক্রম স্থগিত করল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ।
চাঁদাবাজির অভিযোগে সংগঠনের কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার পর কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব শাখা কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদ।
সংবাদ সম্মেলনে রিফাত রশিদ বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে আমরা লক্ষ্য করছি—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে নানা অপকর্মের চেষ্টা হচ্ছে। কেউ কেউ রাজনৈতিক আশ্রয়ে কিংবা বিভ্রান্ত হয়ে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। এটি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।”
তিনি আরও জানান, আজকের পর থেকে সংগঠনের নাম ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে এক সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতা এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের এক নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ তাঁদের আদালতে হাজির করা হলে চারজনকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন (মুন্না), সদস্য সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবদুর রাজ্জাক ওরফে রিয়াদ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, ১৭ জুলাই সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে অভিযুক্তরা ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে গ্রেপ্তারের ভয় দেখান। একপর্যায়ে শাম্মীর স্বামী তাঁদের ১০ লাখ টাকা দেন। পরবর্তীতে গতকাল তাঁরা আবারও চাঁদার বাকি অর্থ আদায়ের জন্য ওই বাসায় গেলে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গঠিত হয় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যেখানে আবদুর রাজ্জাক ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক।