প্রধানমন্ত্রীর দলীয় প্রধান হওয়া না–হওয়া অভ্যন্তরীণ বিষয় - সালাহউদ্দিন আহমদ

“প্রধানমন্ত্রীর দলীয় প্রধান হওয়া বাধ্যতামূলক নয়—জাতীয় ঐকমত্য আলোচনায় বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
প্রধানমন্ত্রী তাঁর রাজনৈতিক দলের প্রধান হবেন কি না, তা নির্ধারণ করা উচিত সংশ্লিষ্ট দলের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে—মনে করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাইরের বিধিনিষেধ আরোপ ব্যক্তি-স্বাধীনতার পরিপন্থী।
মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৭তম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংসদীয় নেতা হবেন—এ বিষয়ে প্রায় সব রাজনৈতিক দল একমত। তবে পার্টির প্রধান হলেই যে প্রধানমন্ত্রী হতে হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। গণতান্ত্রিক চর্চায় কেউ প্রধানমন্ত্রী হলেও কিছুদিন পর তিনি দলীয় প্রধান না-ও থাকতে পারেন। এটি দল বা জোটের সিদ্ধান্তের বিষয়।’
বিএনপির অবস্থান ব্যাখ্যা করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এই বিষয়টি খোলা রাখা ভালো। শুধু পার্টির প্রধান হওয়ার কারণে কাউকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া থেকে বিরত রাখা উচিত নয়।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কমিশন র্যাঙ্কড চয়েস পদ্ধতির প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এতে জটিলতা তৈরি হতে পারে—সে ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে আমরা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে সার্চ কমিটি বা নিয়োগ কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ভালো। কিন্তু যদি ঐকমত্যে পৌঁছানো না যায়, তবে সংবিধান অনুযায়ী আগের ব্যবস্থাই কার্যকর হতে পারে।’
দিনের আলোচনায় বিএনপি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ নিয়ে আলোচনা অংশ নেয়নি। এ বিষয়ে পরবর্তী আলোচনায় দলের অবস্থান জানানো হবে বলে জানান তিনি।
এদিনের আলোচনায় অংশ নেয় জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। উপস্থিত ছিলেন সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়াসহ অন্যান্যরা। সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।