নিউইয়র্কের মুসলিম প্রার্থী জোহরান মামদানি কেন হিন্দুত্ববাদীদের টার্গেট

নিউইয়র্কে প্রগতিশীল মুসলিম প্রার্থী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের ঘৃণাভিত্তিক প্রচারণা প্রবাসে কীভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তা নিয়ে বিশ
নিউইয়র্কে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রাইমারিতে ঐতিহাসিক জয় পাওয়া মুসলিম প্রার্থী জোহরান মামদানি ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন। কুইন্স থেকে নির্বাচিত এই সোশ্যালিস্ট নেতার প্রগতিশীল নীতিসমূহ, যেমন বাড়িভাড়া স্থগিতকরণ, সরকারি অর্থায়নে শিশুসেবা ও সস্তা গণপরিবহন চালুর উদ্যোগ, বিশেষ করে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিছু সংগঠনের বিরোধিতার মুখে পড়ে।
গত সপ্তাহে নিউইয়র্কের এক অনুষ্ঠানে হিন্দুত্ববাদী নেতৃ্যত্বাধীন কাজল শিংগালা তাঁকে ‘জিহাদি জম্বি’ বলে অবমাননা করেন এবং নির্বাচিত হলে নিউইয়র্ককে ‘পাকিস্তান’ বানানোর হুমকি দেন। শিংগালা মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ‘লাভ জিহাদ’ তত্ত্ব প্রচার করেন এবং ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার ঘটনাকে জোহরান ‘মুসলিম গণহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করার কারণে তীব্র বিরোধিতা করছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, জোহরানের মুসলিম পরিচয়, ফিলিস্তিনপন্থী মনোভাব এবং হিন্দুত্ববাদবিরোধী বক্তব্যের কারণে তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড লাডেন বলেন, মোদি ও নেতানিয়াহু সরকারের মতো জাতীয়তাবাদী নেতারা ইসলামকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে সহিংসতা ও হিংস্রতাকে বৈধতা দেয়, যা জোহরানের বিরুদ্ধে অভিযোগের পেছনে রয়েছে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনদের একটি অংশও জোহরানের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণায় লিপ্ত রয়েছে। ট্রাম্প-পন্থী গোষ্ঠী ‘ইন্ডিয়ান আমেরিকানস ফর কুমো’ প্রচারণায় হাজার হাজার ডলার খরচ করে জোহরানের বিরুদ্ধে বিরোধিতার আওয়াজ তুলেছে।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মানান আহমেদ বলেন, হিন্দুত্ববাদী ও জায়নিস্ট গোষ্ঠীর মিলিত শক্তি জোহরানের মতো প্রগতিশীল মুসলিম নেতাদের নিশানা করে। তিনি বলেন, “জোহরান স্পষ্ট ফিলিস্তিনপন্থী হওয়ায় এই গোষ্ঠীগুলো তার প্রার্থিতা মেনে নিতে পারে না।”