যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ইস্যুতে ২৯ জুলাই অনলাইন বৈঠক

বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে প্রস্তুত সরকার, সশরীর আলোচনার চেষ্টা চলছে
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কার্যকরের আগে বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে অনলাইন বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ জুলাই। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ বৈঠক চলবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে দেওয়া এক বক্তব্যে বাণিজ্যসচিব বলেন, "যেহেতু এটি দর-কষাকষির বিষয়, তাই আমরা এখনো চেষ্টা করছি, বৈঠকটি সশরীরে করার জন্য।"
এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত পাল্টা শুল্ক কমানোর বিষয়ে অবশেষে বৈঠকের দিন ঠিক হয়েছে এবং তা ২৬ জুলাই অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তবে সন্ধ্যায় তা পিছিয়ে ২৯ জুলাই নির্ধারিত হয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, "গত ২২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) কাছে একটি পত্র দিয়েছি। এখন আমন্ত্রণের অপেক্ষায় আছি। আমন্ত্রণ পেলে দর-কষাকষির দল সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আলোচনায় বসবে।"
তিনি আরও বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে অনলাইন বৈঠকের সম্ভাব্য সময় পেয়েছি। বৈঠকটি হবে কিনা, তা নিশ্চিত করে জানানো হবে। সেই বৈঠকে পরবর্তী করণীয় নির্ধারিত হবে।”
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার আর কোনো সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “অবশ্যই আলোচনা চলতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো স্থবিরতা নেই, বরং কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে।”
বাংলাদেশের অবস্থান ও প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা আমাদের সক্ষমতার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি। এখন অপেক্ষা শুধু তাদের প্রতিক্রিয়ার।”
দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে—বিভিন্ন মহলের এমন অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, "আমি নিজেও একজন বাংলাদেশি। দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে আমরা কোনো কাজ করব না। তা হলে এত মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় এবং এত পরিশ্রমের দরকার হতো না।"
লবিস্ট নিয়োগ সংক্রান্ত প্রশ্নে তিনি জানান, “এটি ব্যবসায়ীদের এখতিয়ার। সরকার কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ন্যাশনাল ইমার্জেন্সির কাঠামোয় কাজ করছে, যেখানে লবিস্টদের প্রভাব সীমিত।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের যেসব কাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন, তা বোঝার জন্য অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক ও আইনি প্রক্রিয়ার জ্ঞান দরকার, যা বাইরের কাউকে বোঝানো কঠিন।”
শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আমাদের হয়তো ভালো কিছু হবে।”