নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের জন্য বাসা খোঁজা হচ্ছ

নির্বাচনের আগেই রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের জন্য বাসা খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।
আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজধানীতে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের আবাসনের জন্য বাসা খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সম্ভাব্য নিরাপত্তা, সুযোগ-সুবিধা ও কাঠামোগত দিক বিবেচনায় হেয়ার রোডকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
৭ জুলাই মন্ত্রণালয় গঠিত ছয় সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি রাজধানীর বেশ কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন শেষে ২০ জুলাই তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এখন সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।
কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা ও তার পাশের ২৪ ও ২৫ নম্বর বাংলোবাড়ি সমন্বিতভাবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের জন্য বিবেচনায় আনা যেতে পারে। যমুনা বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রতিবেদনে শেরেবাংলা নগরের পুরোনো বাণিজ্য মেলার জায়গাটিও সরেজমিন পরিদর্শন করা হলেও, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং লুই আই কানের নকশার কারণে সেখানে বাসভবন নির্মাণের সুপারিশ করা হয়নি।
এদিকে, মন্ত্রীদের জন্যও নতুন আবাসনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্ট ও সরকারি বাংলো মিলিয়ে মোট ৪৬ জন মন্ত্রীর থাকার ব্যবস্থা থাকলেও অনেক ফ্ল্যাট বর্তমানে বিচারপতি ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দখলে। যদিও আইনগতভাবে এটি বৈধ, তবে এতে ভবিষ্যৎ মন্ত্রীদের বাসস্থান সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ভবিষ্যতের বিব্রত পরিস্থিতি এড়াতে আগেভাগেই বিকল্প আবাসনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মিন্টো রোড ও বেইলি রোডের কয়েকটি পুরোনো বাংলোবাড়ি ভেঙে বহুতল ভবন নির্মাণের সুপারিশও প্রতিবেদনে এসেছে। তবে এসব বাংলোর ঐতিহাসিক গুরুত্ব থাকায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া গুলশান ও ধানমন্ডির দুটি পরিত্যক্ত বাড়িতেও মন্ত্রীদের জন্য নতুন আবাসন নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কমিটির প্রধান ফারুক আহম্মেদ বলেন, “নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের আবাসনের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।”