ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন চান ফখরুল

বিএনপির গণ-আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে উত্তরা সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি—এমনটি জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরার রবীন্দ্র সরণিতে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।
২০২৪ সালের গণ-আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত ওই সমাবেশে ফখরুল বলেন, "আমরা চাই, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণামতো আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন হোক। দেশের মানুষ একটি নির্বাচিত সংসদ ও সরকার চায়। এখন আমার কোনো সমস্যা হলে আমি কারো কাছে যেতে পারি না, কারণ সংসদে আমার কোনো প্রতিনিধি নেই।"
তিনি বলেন, দেশের জনগণ ভয়ংকর এক স্বৈরশাসনের হাত থেকে আপাত মুক্তি পেয়েছে। তবে তা চূড়ান্ত হবে তখনই, যখন দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা গোষ্ঠীকে রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে।
হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগ বারবার ক্ষমতায় এসে ব্যাংক লুট, ভোট ডাকাতি আর রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে। এগুলো আর মেনে নেওয়া যায় না।"
অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে বিএনপি নেতা বলেন, "তারা শহীদদের তালিকা ঠিকমতো করতে পারেনি, তবে চেষ্টা করছে। সংস্কারের কাজও এগোচ্ছে।"
মির্জা ফখরুল আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে।
বক্তব্যে তিনি দলের নেতাকর্মীদের শহীদদের ত্যাগ ভুলে না যেতে এবং গভীর অনুভব থেকে দেশকে বদলানোর আহ্বান জানান। "শুধু স্লোগান বা পোস্টার লাগালে হবে না, স্বৈরাচারকে ঘৃণা করতে হবে,"—বলেন তিনি।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারে কিছু ‘আলবদর চরিত্র’ ঢুকে ফ্যাসিবাদকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তফা জামান, মীর মুগ্ধের বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান এবং শহীদ জাফরের মা।
সমাবেশ চলাকালে উত্তরা রবীন্দ্র সরণির একাংশ ও পাশের ক্রিসেন্ট হাসপাতালের সামনের এলাকা জনসমাগমে বন্ধ হয়ে যায়। এতে রোগী ও স্বজনদের ভোগান্তি হয়।