পলাতক নেতাকে আশ্রয়, তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার

বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত—নিজ বাড়িতে আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে তাঁতী দল থেকে বহিষ্কৃত হন।
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়ার জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।
ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতেই জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মোহাম্মদ সৈকতের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে একাধিক পরিবার বসবাস করে। আমি ব্যবসার কাজে বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, সেটা আমি জানি না। তাঁর শ্বশুরদের ঘর আমাদের ঘর থেকে অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’
এ নিয়ে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, ‘পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আত্মগোপনে সহায়তা করার প্রমাণ পাওয়ায় সৈকতকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে দক্ষিণ অঞ্চলের কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।’