ট্রাম্পের শুল্ক নীতিতে এশিয়ার ১০ দেশ পেল স্বস্তি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ছাড় পেল এশিয়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজার অনেক দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানকার শুল্ক হারই নির্ধারণ করে রপ্তানি কতটা লাভজনক হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপের পক্ষপাতী। তবে সাম্প্রতিক এক নির্বাহী আদেশে দেখা গেছে, আলোচনার মাধ্যমে এশিয়ার ১০টি দেশ তুলনামূলক কম শুল্ক পেয়েছে।
চলুন জেনে নিই সেই ১০টি দেশ—
আফগানিস্তান:
দেশটির পণ্যে ১৫% শুল্ক বসিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ৭৬% কমেছে।
জাপান:
গাড়ি খাতে বিশেষ ছাড়সহ ২৫% থেকে কমিয়ে ১৫% শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি বাণিজ্য চুক্তির পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দক্ষিণ কোরিয়া:
প্রথমে ২৫% শুল্কের হুমকি থাকলেও, চুক্তির মাধ্যমে তা কমে ১৫% হয়েছে। গাড়ি ও সেমিকন্ডাক্টর খাত এতে স্বস্তি পেয়েছে।
ইসরায়েল:
শুল্ক হার ১৭% থেকে কমিয়ে ১৫% করা হয়েছে। গত বছর দেশটি যুক্তরাষ্ট্রে ১,৪০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে।
জর্ডান:
২০% থেকে কমিয়ে ১৫% করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে তাদের মোট রপ্তানির ২৫% যায়।
কম্বোডিয়া:
৪৯% শুল্কের হুমকি থাকলেও তা কমিয়ে ১৯% করা হয়। চুক্তির অংশ হিসেবে তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০টি বোয়িং বিমান কিনবে।
মালয়েশিয়া:
প্রস্তাবিত ২৫% শুল্ক কমিয়ে ১৯% করা হয়। দেশটি জানায়, আলোচনায় তারা গুরুত্বপূর্ণ শর্তে অনড় ছিল।
ইন্দোনেশিয়া:
৩২% হুমকির জায়গায় ১৯% শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। চুক্তির আওতায় তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫০টি বিমান ও জ্বালানি পণ্য কিনবে।
পাকিস্তান:
১৯% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর আগে ২৯% শুল্কের হুমকি ছিল। এতে তাদের বস্ত্র খাত উপকৃত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
থাইল্যান্ড:
৩৬% থেকে কমিয়ে ১৯% শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে দেশটি ৬ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে।