হংকং, ইউএই, তুরস্কের কোম্পানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থা

ইরানের তেল বিক্রিতে সহায়তা করায় হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও তুরস্কভিত্তিক ২২টি কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের এক বিবৃতিতে বুধবার (৯ জুলাই) এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়া হয়।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের দাবি, ইরানের প্রভাবশালী আধা-সামরিক বাহিনী ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের অভিজাত শাখা কুদস ফোর্স এসব কোম্পানির মাধ্যমে তেল বিক্রি করে বিপুল অর্থ উপার্জন করছে। এই কুদস ফোর্সকে যুক্তরাষ্ট্র ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের বাইরে থাকা কোম্পানিগুলোর সহায়তায় অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে শত শত মিলিয়ন ডলারের তেলের রাজস্ব স্থানান্তর করছে কুদস ফোর্স। নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ‘ছায়া ব্যাংকিং ব্যবস্থার’ মাধ্যমে এসব কোম্পানির মাধ্যমে এই লেনদেন পরিচালনা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এসব অর্থ ইরানের অবৈধ পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় ব্যবহৃত হচ্ছে। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ আরও জানিয়েছে, অতীতেও এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে ইরান ও ইরান-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান একাধিকবার নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, “ইরানি সরকার জনগণের কল্যাণে নয়, বরং তাদের অস্থিতিশীল পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে অর্থায়নের জন্যই ব্যাপকভাবে ছায়া ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল।”
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র এই ধরনের অর্থায়ন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা রক্ষায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এমন নিষেধাজ্ঞা নতুন নয়। দেশটির পরমাণু কর্মসূচি, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন এবং মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গত এক দশকে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। তবে ইরান এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে এবং বলছে, তাদের কার্যক্রম আত্মরক্ষামূলক এবং আন্তর্জাতিক আইনসিদ্ধ।