গুমানী নদীতে ভেসে উঠলো আত্রাই নদী থেকে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ

নাটোরের সিংড়া থেকে নিখোঁজ হওয়া চার বছর বয়সী শিশু কেয়া খাতুনের লাশ তিন দিন পর উদ্ধার করেছে পাবনার চাটমোহর থানা পুলিশ। শিশুটির পরনের কাপড় দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কেয়া খাতুন নাটোরের সিংড়া উপজেলার আগতিরাইল গ্রামের কাউছার আলীর মেয়ে। সে স্থানীয় একটি ব্র্যাক স্কুলের শিশু শ্রেণিতে পড়ালেখা করতো। গত ৫ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেয়া তার নানার বাড়ি, সিংড়া পৌরসভার শোলাকুড়া মহল্লার আত্রাই নদীর পাড়ে প্রতিবেশী তিন শিশুর সঙ্গে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোনো সন্ধান না পেয়ে শিশুটির মা আঁখি খাতুন ৬ জুলাই সিংড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
তিন দিন পর, অর্থাৎ ৮ জুলাই (মঙ্গলবার) বিকেলে চাটমোহর উপজেলার কাটেঙ্গা এলাকার গুমানী নদীতে একটি অজ্ঞাত শিশুর লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন দেন। পরে চাটমোহর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। চাটমোহর থানার ওসি মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, লাশটি অনেকটাই পচে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল এবং শরীরের কিছু অংশ মাছ খেয়ে ফেলেছে। এরপর বিভিন্ন থানায় শিশুটির পোশাকের বিবরণ পাঠানো হয়। এতে সিংড়া থানার নিখোঁজ ডায়েরির ভিত্তিতে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা লাশ শনাক্ত করেন।
শিশুটির খালা আছিয়া খাতুন মুঠোফোনে বলেন, “কেয়া খাতুন নিখোঁজ হওয়ার পর এলাকায় মাইকিং করা হয় এবং থানায় জিডি করা হয়। এত দূরে গিয়ে লাশ কিভাবে পাওয়া গেল তা নিয়ে আমরা সন্দেহে আছি।”
সিংড়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, “নিখোঁজের পর থেকেই আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। চাটমোহর থেকে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করছি।”
লাশের ময়নাতদন্ত ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে চাটমোহর থানা পুলিশ। তবে এটি নিছক নদীতে পড়ে ভেসে আসা দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে কোনো রহস্য আছে, তা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।