যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কমাতে চার কৌশল নিয়েছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক চাপ কমাতে আগামী ৩ ও ৪ জুলাই ওয়াশিংটনে আবারও বৈঠকে বসছে দুই দেশের প্রতিনিধিদল। গত ৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র ৩৭ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ে। যদিও ৯ জুলাই পর্যন্ত এই শুল্ক প্রয়োগ স্থগিত রাখা হয়েছে, বাংলাদেশ শুল্ক কমানোর জন্য চারটি কৌশল গ্রহণ করেছে।
সরকারের সূত্র জানায়, শুল্ক কমানোর প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ মূলত নিচের চারটি কৌশলকে প্রাধান্য দিচ্ছে:
১. মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক হার কমানো, বিশেষ করে যেসব পণ্যের ওপর শুল্ক বেশি রয়েছে;
২. আমদানির ক্ষেত্রে অশুল্ক বাধা দূর করা, যেমন তুলার আমদানিতে ফুমিগেশনগত জটিলতা সমাধান;
৩. বেসরকারি খাতকে আমদানিতে উৎসাহিত করা;
৪. সরকারি খাতেও আমদানি বৃদ্ধি করা, বিশেষত গম, এলএনজি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা কৃষিপণ্যের শুল্ক হার ইতিমধ্যে কম এবং বাকি পণ্যের ক্ষেত্রে কমানোর চেষ্টা চলছে। বেসরকারি খাতের পাশাপাশি সরকারি আমদানির ক্ষেত্রেও সম্প্রসারণ আনা হবে।
বাংলাদেশ ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৮৩৬ কোটি ডলারের রফতানি করেছে এবং আমদানি করেছে ২২১ কোটি ডলারের পণ্য। এখন দুই দেশের বৈঠকে এই শুল্ক নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে এবং শুল্ক কমানোর বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।