বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫, আষাঢ় ২৫ ১৪৩২, ১৩ মুহররম ১৪৪৭

ব্রেকিং

এনবিআর সংস্কার পরিষদের বহু সদস্যের ‘ক্ষমা প্রার্থনা’, মাঠে ফেরার প্রস্তুতি ৭.৭৫ কোটি টাকার স্থাপনা ভেঙে নতুন স্মৃতিস্তম্ভ গড়ার কাজ শুরু ইসরায়েল আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল: ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সংস্কার ছাড়া যেনতেন নির্বাচন চায় না জামায়াত: শফিকুর রহমান আশরাফুল, সাকিবদের পর এবার নতুনদের চিনছে শ্রীলঙ্কা বিচার ও সংস্কারকে নির্বাচনের মুখোমুখি করা যাবে না: সাকি সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায়(পিআর) ‘ভবিষ্যৎ বিভক্তি’র শঙ্কা তারেক রহমানের জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটূক্তি করায় কুষ্টিয়ায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ক্লোজড কলেজ প্যাডে ছাত্রদলের প্রচারণা? অধ্যক্ষের ব্যাখ্যা ঘিরে বিতর্ক মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সংঘাত বিস্তার: বিশ্লেষণ কলম্বিয়ায় পাহাড়ধসে মৃত্যু ১৬, নিখোঁজ অন্তত ৮ “ত্রাণ নিতে এলে গুলি করতাম”—গাজার ঘটনায় মুখ খুললেন ইসরায়েলি সেনারা তেহরানে ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার চলছেই, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৫০ ইরানে বাংলাদেশিদের সহায়তায় হটলাইন চালু উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ: সিলেটে তিনজন কারাগারে ইসরায়েলের টার্গেটে ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার ভবন লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ১৩ জুন তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন: ফখরুল রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হবে কাঁচের মতো স্বচ্ছ ঘর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের ঘোষিত সময় মাথায় রেখে যথাসময়ে রোডম্যাপ দেবে ইসি: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন মণিপুরে আবার উত্তেজনা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের চাপে ঢাকার ৪ থানায় সক্রিয় অর্ধশতাধিক অপরাধী দল জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি: সালাহউদ্দিন আহমদ জুলাই সনদ–ঘোষণাপত্র হলে ঘোষিত সময়ে নির্বাচনে আপত্তি নেই: এনসিপি ২৫ কিলোমিটার যানজট, ২৪ ঘণ্টায় পারাপার ৬৪ হাজার যানবাহন বান্দরবানের রুমা ও থানচি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে প্রত্যাহার গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, জাতিসংঘ নিরাপত্তা গরম মসলার বাজার শীতল: ক্রেতা কমে যাচ্ছে, দাম কিছুটা স্থিতিশীল ঈদে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই-মিষ্টি মজুত, রংপুরে হিমাগারে অভিযান ও দুই লাখ টাকা জরিমানা বান্দরবানের লামায় পাহাড় ধসের শঙ্কায় ৬০ রিসোর্ট বন্ধ নির্বাচন নিয়ে তরুণদের প্রতি অসত্য অভিযোগ ও বাস্তবতা ভারতের মুসলমানদের কেন বারবার দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হয় সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া ফ্যাসিবাদ বিলোপ সম্ভব নয়: এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক একুশের বন্ধুত্বে আগামীর পথচলা: বার্ষিক সম্মেলনে ২১তম বিসিএস প্রশাসন ফোরাম বিজিএমইএ`র নতুন নেতৃত্বে আসছেন বাবু, নিরঙ্কুশ জয়ের ইঙ্গিত জিলহজ মাসের আমল ও কোরবানির তাৎপর্য চট্টগ্রামে নারীকে লাথির ঘটনায় ভাইরাল আকাশ চৌধুরী বহিষ্কৃত, জামায়াতের বিবৃতি সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেই, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিল পবিস শ্রমিকরা আনচেলত্তির স্বপ্ন - রিয়াল মাদ্রিদের মতো করে খেলাবেন ব্রাজিলকে ডিমের দাম এখনো চড়া, ডজন ১৩০–১৪০ টাকায় বিক্রি বৈরী আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের সঙ্গে সারাদেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ হারের পর লিটনের মনোভাব - এখনো দুই ম্যাচ বাকি কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব জুয়েলারি দোকান বন্ধ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করবে ডিএনএ টেস্ট করে নামফলক ও মর্যাদা চায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা বেতন না পেয়ে ডাকাতি, জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ তিনজন আটক “বাংলাদেশে কৌশলগত স্বার্থ নেই দক্ষিণ কোরিয়ার”—রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক “শাপলার হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই”—হেফাজতের বিবৃতি মির্জা আব্বাস: “করিডর আর স্টারলিংক আনা হচ্ছে আরাকান আর্মির জন্য” জিলহজ মাসের চাঁদ দেখে যে দোয়া পড়বেন নির্বাচনের আগে যতটুকু দরকার, ততটুকুই সংস্কার করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ‘চিন্তার স্বাধীনতাও হারাচ্ছি?’— নারী কমিশন বিতর্কে গীতিআরার উদ্বেগ ইউক্রেনে রাশিয়ার টানা হামলায় নিহত ১২, কঠোর চাপের আহ্বান জানালেন জেলেনস্কি সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন – তিনটি কঠিন দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আমরা জুলাই অভ্যুত্থান ক্ষমতার পালাবদল নয়, এটি মৌলিক সংস্কার: নাহিদ হলুদ সাংবাদিকতা’ বিরোধী স্লোগানে উত্তাল শিক্ষক মিছিল ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আখাউড়া বন্দর দিয়ে রপ্তানি কমেছে ৪০% বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলছে, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি জাতীয় স্বার্থে অভিমান ভুলে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান : জামায়াত আমির আন্দোলনের পর অবশেষে নিয়োগ পেলেন ৪৩তম বিসিএসের বাদ পড়া ১৬২ জন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে ইসির সামনে এনসিপির বিক্ষোভ কাল বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা, স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের নতুন যুগ শুরু নরওয়ের দৃঢ় সমর্থন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিগত সরকারের সময় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, এমন অবস্থা ছিল যে খতিবকেও পালাতে হয়েছিল: বাণিজ্য উপদেষ্টা গায়ের জোরে নগর ভবন দখল করে আন্দোলন চালাচ্ছে বিএনপি আবারও রাজপথে নামার ইঙ্গিত আসিফের, সতর্ক করলেন হাসনাত গোপন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন স্থগিত, ২০ মে আলোচনায় বসবে ঐক্য পরিষদ ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞা সীমান্ত বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে ভারতের নতুন সিদ্ধান্তে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি বন্ধ গত ৯ মাসে জুলাই-যোদ্ধাদের ওপর ৩৮টি হামলা জবি’র ৪ দফা দাবি মেনে নেওয়ায় আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা ডিবি থেকে মুক্তির পর আন্দোলনে উল্লাস জবি শিক্ষার্থীর গাজা দখলে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করলেন ট্রাম্প শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডে বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার উপদেষ্টা আসিফের সোনার দাম ভরিতে কমল ৩ হাজার ৪৫২ টাকা, নতুন দর কার্যকর শুক্রবার থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

ইসলাম

যে সকল আমল দ্বারা গোনাহ মাফ হয়

মুহাম্মাদ ফজলুল বারী

 প্রকাশিত: ০৯:১৩, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

যে সকল আমল দ্বারা গোনাহ মাফ হয়

৭৯. গোনাহ হয়ে গেলে দুই রাকাত নামায পড়ে ইসতিগফার করা...

মুমিন চেষ্টা করে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকতে। কিন্তু কখনো শয়তানের ধোঁকায় পড়ে গোনাহ হয়ে যায়। তখন মুমিনের আফসোস ও আক্ষেপের শেষ থাকে না; কেন গোনাহে জড়ালাম, কেন গোনাহের পথে পা বাড়ালাম, কীভাবে পরিত্রাণ পাব এ গোনাহ থেকে। কৃত গোনাহ তাকে কষ্টে নিপতিত করে। আর এটিই মুমিনের পরিচয়। এটিই তার ঈমানের প্রমাণ। আবু উমামা রা. বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করল, ঈমান কী আল্লাহর রাসূল! (আমি কীভাবে বুঝব আমার মাঝে ঈমান আছে?)

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-

إِذَا سَرَّتْكَ حَسَنَتُكَ، وَسَاءَتْكَ سَيِّئَتُكَ فَأَنْتَ مُؤْمِنٌ.

যখন তোমার নেক আমল তোমাকে আনন্দিত করবে এবং তোমার গোনাহ তোমাকে কষ্টে নিপতিত করবে (গোনাহের কারণে তুমি কষ্ট পেতে থাকবে)- তাহলে (বুঝবে) তুমি মুমিন। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২২১৬৬; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৩৩

হাঁ, মুমিনের এ কষ্ট হল গোনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ব্যাকুলতার কষ্ট। এ কষ্ট থেকেই মুমিন আল্লাহর দুয়ারে ক্ষমার ভিখারী হয়ে ধরনা দেয়। উত্তমরূপে ওযু করে এবং নামাযে দাঁড়িয়ে যায়। ইসতিগফারের অশ্রুতে সিক্ত হয়।

আর তখনই রাহমানুর রাহীমের ক্ষমার দরিয়ায় মৌজ ওঠে। বান্দার সব গোনাহ ধুয়ে সাফ করে দেয়। সিদ্দীকে আকবর আবু বকর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

مَا مِنْ مُسْلِمٍ يُذْنِبُ ذَنْبًا ثُمَّ يَتَوَضَّأُ فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ يَسْتَغْفِرُ اللهَ لِذَلِكَ الذَّنْبِ، إِلاَّ غَفَرَ لَهُ وَقَرَأَ هَاتَيْنِ الْآيَتَيْنِ: وَ مَنْ یَّعْمَلْ سُوْٓءًا اَوْ یَظْلِمْ نَفْسَهٗ ثُمَّ یَسْتَغْفِرِ اللهَ یَجِدِ اللهَ غَفُوْرًا رَّحِیْمًا.

وَ الَّذِیْنَ اِذَا فَعَلُوْا فَاحِشَةً اَوْ ظَلَمُوْۤا اَنْفُسَهُمْ...

মুসলিম যখন কোনো গোনাহ করে ফেলে অতঃপর ওযু করে দুই রাকাত নামায আদায় করে এবং উক্ত পাপের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় তখন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন।

এরপর নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দুটি আয়াত তিলাওয়াত করেন,

وَ مَنْ یَّعْمَلْ سُوْٓءًا اَوْ یَظْلِمْ نَفْسَهٗ ثُمَّ یَسْتَغْفِرِ اللهَ یَجِدِ اللهَ غَفُوْرًا رَّحِیْمًا.

[যে ব্যক্তি কোনো মন্দ কাজ করে ফেলে বা নিজের প্রতি জুলুম করে বসে, তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, সে অবশ্যই আল্লাহকে অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালুই পাবে। -সূরা নিসা (৪) : ১১০]

وَ الَّذِیْنَ اِذَا فَعَلُوْا فَاحِشَةً اَوْ ظَلَمُوْۤا اَنْفُسَهُمْ...

[এবং তারা সেই সকল লোক, যারা কখনও কোনো অশ্লীল কাজ করে ফেললে বা (অন্য কোনোভাবে) নিজেদের প্রতি জুলুম করলে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার ফলশ্রুতিতে নিজেদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে...। -সূরা আলে ইমরান (৩) : ১৩৫]

-মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৪৭; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৬২৩; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস ১৩

৮০. চল্লিশ থেকে একশ মুসলিম যার জানাযা পড়ে তাকে মাফ করে দেওয়া হয়

কোনো মুসলিম ইন্তেকাল করলে অপর মুসলিমদের উপর তার হক- জানাযায় শরীক হওয়া; তার জন্য ইসতিগফার করা, দুআ করা। কুরআনে কারীমে মুমিনদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে- তারা পরলোকগত মুমিনদের জন্য মাগফিরাত কামনা করে।

জানাযার নামাযে মূলত আমরা মায়্যেতের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। তার জন্য ইসতিগফার ও দুআর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সুপারিশ করি- আল্লাহ তাকে মাফ করে দিন। তাকে গোনাহ থেকে পবিত্র করুন। তাকে কবরের আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন। তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান।

মায়্যেতের জন্য আমাদের এ ইসতিগফারের অনেক মূল্য। এর মাধ্যমে আমরা তো সওয়াব লাভ করবই; কিন্তু এর চাইতে বড় কথা- আমাদের ইসতিগফারের কারণে আল্লাহ মায়্যেতকে মাফ করে দেবেন। এজন্য গুরুত্বের সাথে জানাযায় শরীক হওয়া উচিত। কারণ, যত বেশি মানুষ মায়্যেতের জন্য ইসতিগফার করবে, ক্ষমা লাভ তত সহজ হবে। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

مَنْ صَلّى عَلَيْهِ مِائَةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ غُفِرَ لَهُ.

একশ মুসলিম যার জানাযা পড়ে, আল্লাহ তাকে মাফ করে দেন। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৪৮৮; শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস ৮৮১৫

আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত আরেক বর্ণনায় বিষয়টি এসেছে এ ভাষায়-

مَا مِنْ مَيِّتٍ تُصَلِّي عَلَيْهِ أُمّةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَبْلُغُونَ مِائَةً، كُلّهُمْ يَشْفَعُونَ لَهُ، إِلّا شُفِّعُوا فِيهِ.

যে মায়্যেতের উপর একটি জামাত জানাযা আদায় করে, যাদের সংখ্যা এক শ’তে পৌঁছে আর তারা তার জন্য সুপারিশ করে (দুআ-ইসতিগফার করে) তাদের সুপারিশ কবুল করা হয় (অর্থাৎ তাকে মাফ করে দেওয়া হয়)। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৯৪৭; জামে তিরমিযী, হাদীস ১০২৯; সুনানে নাসায়ী, হাদীস ১৯৯১

উপরের বর্ণনায় এক শ মুসলিম জানাযা আদায়ের কথা বলা হয়েছে। আবার ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত এক হাদীসে চল্লিশজনের কথা বলা হয়েছে-

ইবনে আব্বাস রা.-এর আযাদকৃত গোলাম কুরাইব বর্ণনা করেন, একবার ‘কুদাইদ’ বা ‘উসফান’ নামক স্থানে ইবনে আব্বাস রা.-এর এক সন্তান ইন্তেকাল করেন। তখন জানাযা পড়ার আগে ইবনে আব্বাস রা. বললেন, দেখ জানাযায় উপস্থিতি কতজন? উপস্থিতির বিষয়ে খবর দিতে গেলে তিনি বললেন, কী বল, উপস্থিতি কি চল্লিশজন হবে? খবরদাতা হাঁ-সূচক উত্তর দিলে বললেন, এবার তাকে জানাযার জন্য বের করা যায়; আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি-

مَا مِنْ رَجُلٍ مُسْلِمٍ يَمُوتُ، فَيَقُومُ عَلَى جَنَازَتِهِ أَرْبَعُونَ رَجُلًا، لَا يُشْرِكُونَ بِاللهِ شَيْئًا، إِلّا شَفّعَهُمُ اللهُ فِيهِ.

কোনো মুসলিম মৃত্যুবরণ করলে তার জানাযায় যদি এমন চল্লিশজন উপস্থিত হয়, যারা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে না, আল্লাহ তার ব্যাপারে তাদের সুপারিশ (দুআ-ইসতিগফার) কবুল করেন (অর্থাৎ তাকে মাফ করে দেন)। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৯৪৮; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩১৭০; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৩০৮২; সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস ৫৬২১

আর মালেক ইবনে হুবায়রা রা.-এর বর্ণনায় তিন কাতারের কথা এসেছে। মারছাদ ইবনে আব্দুল্লাহ রাহ. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, মালেক ইবনে হুবায়রা রা. যদি কোনো জানাযায় শরীক হতেন আর সেখানে উপস্থিতি কম হত তাহলে তিনি মুসল্লিদের তিন কাতারে ভাগ করে দিতেন আর বলতেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

مَنْ صَلّى عَلَيْهِ ثَلَاثَةُ صُفُوفٍ فَقَدْ أَوْجَبَ.

قال الترمذي : حَدِيثُ مَالِكِ بْنِ هُبَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ.

তিন কাতার মুসলিম যার জানাযা আদায় করবে, তার জন্য জান্নাত অবধারিত। -জামে তিরমিযী, হাদীস ১০২৮; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৪৯০; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩১৬৬

এখানে কোনো বর্ণনায় দেখা যাচ্ছে একশ, কোনো বর্ণনায় চল্লিশ। আবার কোনো বর্ণনায় বলা হয়েছে তিন কাতারের কথা। এসবের মধ্যে আসলে কোনো বৈপরীত্য নেই। কারণ, এসব ক্ষেত্রে সাধারণত বেশি সংখ্যা আগে বলা হয় আর কম সংখ্যা পরে বলা হয়। আর হতে পারে সংখ্যা এখানে উদ্দেশ্য নয়, উদ্দেশ্য হল, আধিক্য বোঝানো। অর্থাৎ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুমিন যদি কোনো মুসলিমের জানাযা আদায় করে তাহলে এদের দুআ-ইস্তিগফারের ওসিলায় আল্লাহ মায়্যেতকে মাফ করে দেন।  (মিরকাতুল মাফাতীহ, হাদীস ১৬৬১-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)

আমার জানাযায় শরীক হয়ে অধিকসংখ্যক মানুষ আমার জন্য ইস্তিগফার করলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আমাকে মাফ করে দেবেন; এক্ষেত্রে আমার করণীয় কী? আমার জানাযায় হাজির হওয়া-না হওয়া- এটা তো অন্যদের বিষয়; এক্ষেত্রে আমার কি কোনো করণীয় আছে?

হাঁ, আমার করণীয় আছে। আমার করণীয় হল, মানুষের সাথে ভালো আচরণ করা, মানুষের বিপদে-আপদে সাহায্যের হাত বাড়ানো, তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকা। তাহলেই তো আমি ইন্তিকাল করলে মানুষ আমার পাশে থাকবে, আমার জানাযায় শরীক হবে, আমার জন্য দুআ-ইস্তিগফার করবে। সুতরাং এ ফযীলত ও ক্ষমা লাভ করতে চাইলে জীবদ্দশায় সকলের সাথে ভালো আচরণ করতে হবে, সুখে-দুঃখে সকলের পাশে থাকতে হবে। 

৮১. মৃতের পক্ষে প্রতিবেশীদের নেক সাক্ষ্য...

এক হল মায়্যেতের জন্য মুমিনদের দুআ-ইস্তিগফার করা; যার দ্বারা মায়্যেত ক্ষমা লাভ করে। আরেক হল, মানুষ মৃতের প্রশংসা করা। ভালো মানুষ হিসেবে সাক্ষ্য দেয়া; এর মাধ্যমেও আল্লাহ বান্দাকে মাফ করেন, জান্নাত দান করেন। আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মানুষের পাশ দিয়ে একজন মুমিনের জানাযা নিয়ে যাওয়া হল। মানুষ তার প্রশংসা করল। এ দেখে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-

وَجَبَتْ

(অবধারিত হয়ে গেছে।)

আরেকজনের জানাযা নিয়ে যাওয়া হল। লোকেরা তার বিষয়ে মন্দ বলল। এ শুনেও নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-

وَجَبَتْ

(অবধারিত হয়ে গেছে।)

তখন ওমর রা. প্রশ্ন করলেন-

مَا وَجَبَتْ؟

কী অবধারিত হয়ে গেল, (আল্লাহর রাসূল!)

(একজনের উত্তম প্রশংসা করা হল, তাকে ভালো বলা হল তখন আপনি বললেন, ‘অবধারিত হয়ে গেছে।’ আবার আরেকজনের বিষয়ে মন্দ বলা হল তখনও বললেন, ‘অবধারিত হয়ে গেছে।’- এর অর্থ কী?)

নবীজী উত্তরে বললেন-

هَذَا أَثْنَيْتُمْ عَلَيْهِ خَيْرًا، فَوَجَبَتْ لَهُ الجَنّةُ، وَهَذَا أَثْنَيْتُمْ عَلَيْهِ شَرّا، فَوَجَبَتْ لَهُ النّارُ، أَنْتُمْ شُهَدَاءُ اللهِ فِي الأَرْضِ.

তোমরা যার প্রশংসা করেছ তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে গেছে আর তোমরা যাকে মন্দ বলেছ তার জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়ে গেছে। তোমরা হলে পৃথিবীতে আল্লাহর সাক্ষী। অর্থাৎ তোমরা পৃথিবীতে ব্যক্তির ভালো-মন্দের সাক্ষী। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৩৬৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৯৪৯

আরেক হাদীসে বিষয়টি একটু অন্যভাবে এসেছে। সেখানে মৃতের পক্ষে প্রতিবেশীর উত্তম সাক্ষ্যের কারণে তাকে মাফ করে দেওয়ার কথা এসেছে। আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَمُوتُ فَيَشْهَدُ لَهُ أَرْبَعَةُ أَهْلِ أَبْيَاتٍ مِنْ جِيرَتِهِ الْأَدْنَيْنَ أَنّهُمْ لَا يَعْلَمُونَ إِلّا خَيْرًا إِلّا قَالَ اللهُ جَلّ وَعَلَا قَدْ قَبِلْتُ عِلْمَكُمْ فِيهِ وَغَفَرْتُ لَهُ ما لا تعلمون.

কোনো মুসলিম মৃত্যুবরণ করলে তার নিকট প্রতিবেশীদের চার পরিবার যদি সাক্ষ্য দেয়- তারা তাকে ভালোই জানে; তখন আল্লাহ তাআলা বলেন-

قَدْ قَبِلْتُ عِلْمَكُمْ فِيهِ وَغَفَرْتُ لَهُ ما لا تعلمون.

তার ব্যাপারে তোমাদের উত্তম ধারণা আমি গ্রহণ করলাম আর তোমরা তার বিষয়ে যা জানো না তা (অর্থাৎ তার পাপ) আমি ক্ষমা করে দিলাম। -সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৩০২৬; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৩৫৪১; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ১৩৯৮; শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস ৯১২১; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস ৩৪৮১; আলআহাদীসুল মুখতারা, যিয়া আলমাকদীসী, হাদীস ১৬৬০; মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস ৩৯৬০

এক্ষেত্রে আমাকে যে কথাটি মনে রাখতে হবে তা হল, প্রতিবেশীর উত্তম প্রশংসা কিন্তু এমনিতেই লাভ হয় না; প্রতিবেশীর সাথে উত্তম আচরণের মাধ্যমেই তা হাসিল হয়। সুতরাং এ ফযীলত লাভ করতে হলে প্রতিবেশী ও অন্যদের সাথে সদাচরণ করতে হবে। এর মাধ্যমেই মুত্যুর পর তাদের উত্তম প্রশংসা ও আল্লাহর ক্ষমা লাভ হবে।

আরেকটি বিষয়, এখান থেকেই হয়ত কোনো কোনো সমাজে একটি প্রচলন দেখা যায়- জানাযা সামনে রেখে সকলকে জিজ্ঞেস করা হয়- লোকটি কেমন ছিলেন? সকলে সমস্বরে উত্তর দেয়- ভালো ছিলেন।

আসলে এই যে মানুষের উত্তম প্রশংসা- এটা স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বপ্রণোদিত প্রশংসা। প্রশ্নের মুখে চক্ষুলজ্জায় করা প্রশংসা নয়। তাই তো হাদীসের ভাষা হল, ‘তার প্রশংসা করা হল’ বা ‘লোকেরা তার প্রশংসা করল’।

যাইহোক, এ প্রশংসা মৃত্যুর পর অর্জন করার বিষয় নয়; তা অর্জনের সময় জীবনব্যাপী। মানুষের জীবনব্যাপী কর্ম ও আচরণই এ প্রশংসা এনে দেয়।