ফুলপরীর ক্ষোভ - এই ক্যাম্পাসে জীবনের কোনো দাম নাই

ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতা ও প্রশাসনের অনীহা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ফুলপরী খাতুন।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পুকুরে শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন। শুক্রবার বিকেলে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘এই ক্যাম্পাসে ছেলেমেয়েদের জীবনের কোনো দাম নাই।’
ফুলপরীর ভাষ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে ভেসে থাকা সাজিদের নিথর দেহ দেখে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। লেখেন, ‘আমি জীবনে প্রথম দেখলাম, একটা মানুষ তাঁর নিথর দেহ শক্ত হয়ে ভেসে উঠেছে মাঝপুকুরে। আর সেই প্রাণহীন দেহটা বড় বাঁশ দিয়ে যেমন মরা মাছ তোলা হয়, সেইভাবে তুলছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘এই সমাজ কতটা নির্মম! প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের প্রতি অনীহার কারণেই এসব ঘটছে। যাঁরা ১৫ বছর চুপ ছিল, এখন দায়িত্ব পেয়ে কোনো দায়িত্বই নিচ্ছে না।’
সাজিদের মৃত্যুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ফুলপরী। বলেন, ‘নামে শুধু নিরাপত্তা আছে। আড়াই বছরে চোখে দেখিনি কোনো কার্যকর নিরাপত্তা।’ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে লেখেন, ‘আজ সাজিদ, কাল হয়তো আমি, আমার বন্ধুরা বা ভাই–বোনদের লাশ থাকবে।’
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার ইবি ক্যাম্পাসের একটি পুকুর থেকে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পাশে থাকা আবাসিক ভবনে থাকতেন।
এর আগে ২০২৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের একটি কক্ষে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ফুলপরী খাতুন। ওই ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রীসহ পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়।