জুলাই অভ্যুত্থান বর্ষপূর্তিতে এবি পার্টির কফিন রোডমার্চ

হেয় করে উস্কানিমূলক কথা বলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে এবি পার্টি।
জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রতীকী কফিন রোডমার্চে অংশ নিয়ে এবি পার্টি আহ্বান জানিয়েছে—অভ্যুত্থানের অংশীদার রাজনৈতিক দল, সংগঠক ও অ্যাক্টিভিস্টদের মধ্যে হেয়প্রতিপন্ন ও উস্কানিমূলক বক্তব্য পরিহার করতে হবে।
শুক্রবার, জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পথসভা এবং রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এই প্রতীকী কফিন মার্চ শুরু হয় বিজয়-৭১ চত্বর থেকে, যা যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, উত্তরা হয়ে মীরপুর ১০ নম্বর চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, "দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে যারা রাজপথে রক্ত ও জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন, তাদের প্রতি একে অপরের হিংসাত্মক আচরণ শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি অসম্মান।"
পথসভায় দলটির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, "গণঅভ্যুত্থানের সময় যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, উত্তরাসহ দেশের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে লাখে লাখে ছাত্র-জনতা স্লোগান তুলেছিল ‘লাখো শহীদের রক্তে কেনা দেশটা কারও বাপের না’। এই স্লোগানের মর্ম যেন আমরা কেউ না ভুলে যাই। শহীদরা দিল্লির আধিপত্যের বিরুদ্ধে জীবন দিয়েছেন, এই সত্য সবসময় স্মরণ রাখতে হবে।"
রোডমার্চ ও পথসভায় বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি, আলতাফ হোসাইনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। সঞ্চালনায় ছিলেন এবি যুব পার্টির সদস্যসচিব হাদিউজ্জামান খোকন।
এছাড়াও কর্মসূচিতে অংশ নেন এবি পার্টির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শাহ আব্দুর রহমান, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার ফারুক, আব্দুল হালিম খোকন, উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, যুব পার্টির দপ্তর সম্পাদক আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, ছাত্রপক্ষের সাধারণ সম্পাদক রাফিউর রহমান ফাত্তাহ, গণপরিবহন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, সহকারী নারী বিষয়ক সম্পাদক শাহীনুর আক্তার শীলা, আমেনা বেগম, সহকারী প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম, সহকারী স্বেচ্ছাসেবা সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, কেফায়েত হোসেন তানভীর, সহকারী অর্থ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, পল্টন থানা আহ্বায়ক মুন্সি আব্দুল কাদের, যাত্রাবাড়ী থানা আহ্বায়ক আরিফ সুলতান, সদস্যসচিব নাসিমুল ইসলাম অন্তর, মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ কবির, যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুর রব জামিলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এ সময় নেতারা অভিযোগ করেন, গোপালগঞ্জে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের গণতন্ত্রবিরোধী কর্মসূচি এবং সরকারের ব্যর্থতা নানা অবয়বে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের চেষ্টা মাত্র।