মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ২০২৫, চৈত্র ১১ ১৪৩১, ২৫ রমজান ১৪৪৬

ব্রেকিং

জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রসচিব সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করার চেষ্টা হচ্ছে: তারেক রহমান আ. লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি নাহিদের ৪৭তম বিসিএস: প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২৭ জুন রাজশাহী ডিবির পাঁচ সদস্য বগুড়ায় অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে আটক যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২৭ মিনিট বন্ধ ছিল মেট্রোরেল ঈদের পরপরই ঢাকায় চালু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম সন্দ্বীপের কলঙ্ক থেকে আজ মুক্ত হলাম: ইউনূস জ্ঞান ফিরেছে তামিমের, কথা বলছেন পরিবারের সঙ্গে ১৫ লাখ রিটার্নের ১০ লাখই শূন্য: এনবিআর চেয়ারম্যান সাকিব আল হাসানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ তামিমের হার্টে ব্লক, পরানো হলো রিং প্রথমবারের মত সমুদ্রপথে ফেরি চলাচল শুরু ঈদের ছুটিতে ব্যাংকও বন্ধ ৯ দিন ঈদযাত্রা: ট্রেনের ফিরতি টিকেট বিক্রি শুরু প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে প্রাধান্য পাচ্ছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ইসরায়েলি হামলায় ‘গাজার নতুন প্রধানমন্ত্রী’ হাসপাতালে নিহত গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের শুরু থেকে নিহত ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে ‘আমি শহীদ হতে যাই’: মাকে ফোনে বলেছিলেন শহীদ শাকিল

শিশু

কাজী নজরুল ইসলামের শৈশবের গল্প

 প্রকাশিত: ১১:০৭, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কাজী নজরুল ইসলামের শৈশবের গল্প

কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালের ২৪ মে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা কাজী ফকির আহমদ ছিলেন মসজিদের ইমাম ও দরগার খাদেম। ছোটবেলা থেকেই নজরুল ছিলেন দুরন্ত ও কৌতূহলী স্বভাবের।

শৈশবে নজরুলের পরিবার আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ছিল না। মাত্র নয় বছর বয়সে তিনি বাবাকে হারান, ফলে পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর কাঁধে। সংসারের অভাব-অনটন দূর করতে তিনি স্থানীয় মক্তবে পড়াশোনার পাশাপাশি মসজিদের মুয়াজ্জিনের কাজ করতেন। কিন্তু এর মধ্যেও তাঁর জ্ঞানার্জনের আগ্রহ ছিল অগাধ।

গ্রামের মক্তবে আরবি, ফারসি ও ইসলামি শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি নজরুল স্থানীয় লেটোর দলে যোগ দেন। এই লেটো দলে গান গাওয়া, নাটক লেখা ও অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর সাহিত্য ও সঙ্গীতের প্রতি প্রবল আকর্ষণ তৈরি হয়। তিনি খুব দ্রুত কবিতা ও গান রচনায় দক্ষ হয়ে ওঠেন। তাঁর প্রতিভা দেখে দলের সবাই অবাক হতেন।

কিছুদিন পর তিনি গ্রামের স্কুল ছেড়ে আসানসোলের রানীগঞ্জ সিয়ারসোল রাজ স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু সংসারের চাপে পড়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি স্কুল ছেড়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ৪৯ নম্বর বেঙ্গল রেজিমেন্টে কাজ করেন। তবে তাঁর শৈশবের সেই দুঃসাহসী ও কৌতূহলী মনোভাব সেনাবাহিনীতেও স্পষ্ট ছিল।

শৈশব থেকেই নজরুল ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী। একবার গ্রামের এক জমিদার গরিব চাষিদের ওপর অন্যায় করছিলেন। ছোট্ট নজরুল সে ঘটনা দেখেই প্রতিবাদ করেন এবং চাষিদের পক্ষ নেন। তাঁর সাহস দেখে গ্রামের মানুষ বিস্মিত হন।

শৈশবের অভাব, কষ্ট ও সংগ্রামই ভবিষ্যতে তাঁকে বিদ্রোহী করে তোলে। পরে তিনিই হন বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি, যিনি তাঁর লেখনীর মাধ্যমে শোষিত মানুষের কণ্ঠস্বর তুলে ধরেন।

নজরুলের শৈশব কেবল দুঃখ-দুর্দশার গল্প নয়, বরং তা এক অসাধারণ প্রতিভার উত্থানের গল্প। ছোটবেলার সেই সংগ্রামই তাঁকে বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব করে তুলেছিল।