ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ

শওকত আলী চৌধুরী
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সোমবার (৩০ জুন) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়।
শওকত আলী চৌধুরীর পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী—ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান তাসমিয়া আম্বারীন, মেয়ে ও ইস্টার্ন ব্যাংকের পরিচালক জারা নামরীন এবং ছেলে মো. জারান আলী চৌধুরীর ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়েছে।
বিএফআইইউ’র একটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন, জব্দকৃত হিসাবগুলোতে আগামী ৩০ দিন পর্যন্ত কোনো ধরনের লেনদেন করা যাবে না। তবে প্রয়োজনে এ সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে। ব্যক্তি হিসাবের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মালিকানাধীন ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টগুলোর লেনদেনও এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে।
নির্দেশনায় ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে, এসব ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠান-সংক্রান্ত হিসাব খোলার আবেদনপত্র, পরিচিতি সংক্রান্ত (KYC) নথি এবং লেনদেন বিবরণী আগামী ২ জুলাইয়ের মধ্যে বিএফআইইউতে জমা দিতে হবে।
একটি সূত্র জানায়, শওকত আলী চৌধুরীর সঙ্গে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফতের সঙ্গে সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের তথ্য উঠে এসেছে। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করেই তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনস্থ এ গোয়েন্দা ইউনিট সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতাদের ব্যাংক লেনদেন খতিয়ে দেখতে শুরু করে। ইতোমধ্যে বহু নেতার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম গতিশীল করতে বিএফআইইউ ১১টি যৌথ তদন্ত দলও গঠন করেছে।