মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫, আষাঢ় ৩০ ১৪৩২, ১৯ মুহররম ১৪৪৭

ব্রেকিং

এনবিআর সংস্কার পরিষদের বহু সদস্যের ‘ক্ষমা প্রার্থনা’, মাঠে ফেরার প্রস্তুতি ৭.৭৫ কোটি টাকার স্থাপনা ভেঙে নতুন স্মৃতিস্তম্ভ গড়ার কাজ শুরু ইসরায়েল আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল: ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সংস্কার ছাড়া যেনতেন নির্বাচন চায় না জামায়াত: শফিকুর রহমান আশরাফুল, সাকিবদের পর এবার নতুনদের চিনছে শ্রীলঙ্কা বিচার ও সংস্কারকে নির্বাচনের মুখোমুখি করা যাবে না: সাকি সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায়(পিআর) ‘ভবিষ্যৎ বিভক্তি’র শঙ্কা তারেক রহমানের জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটূক্তি করায় কুষ্টিয়ায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ক্লোজড কলেজ প্যাডে ছাত্রদলের প্রচারণা? অধ্যক্ষের ব্যাখ্যা ঘিরে বিতর্ক মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সংঘাত বিস্তার: বিশ্লেষণ কলম্বিয়ায় পাহাড়ধসে মৃত্যু ১৬, নিখোঁজ অন্তত ৮ “ত্রাণ নিতে এলে গুলি করতাম”—গাজার ঘটনায় মুখ খুললেন ইসরায়েলি সেনারা তেহরানে ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার চলছেই, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৫০ ইরানে বাংলাদেশিদের সহায়তায় হটলাইন চালু উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ: সিলেটে তিনজন কারাগারে ইসরায়েলের টার্গেটে ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার ভবন লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ১৩ জুন তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন: ফখরুল রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হবে কাঁচের মতো স্বচ্ছ ঘর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের ঘোষিত সময় মাথায় রেখে যথাসময়ে রোডম্যাপ দেবে ইসি: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন মণিপুরে আবার উত্তেজনা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের চাপে ঢাকার ৪ থানায় সক্রিয় অর্ধশতাধিক অপরাধী দল জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি: সালাহউদ্দিন আহমদ জুলাই সনদ–ঘোষণাপত্র হলে ঘোষিত সময়ে নির্বাচনে আপত্তি নেই: এনসিপি ২৫ কিলোমিটার যানজট, ২৪ ঘণ্টায় পারাপার ৬৪ হাজার যানবাহন বান্দরবানের রুমা ও থানচি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে প্রত্যাহার গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, জাতিসংঘ নিরাপত্তা গরম মসলার বাজার শীতল: ক্রেতা কমে যাচ্ছে, দাম কিছুটা স্থিতিশীল ঈদে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই-মিষ্টি মজুত, রংপুরে হিমাগারে অভিযান ও দুই লাখ টাকা জরিমানা বান্দরবানের লামায় পাহাড় ধসের শঙ্কায় ৬০ রিসোর্ট বন্ধ নির্বাচন নিয়ে তরুণদের প্রতি অসত্য অভিযোগ ও বাস্তবতা ভারতের মুসলমানদের কেন বারবার দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হয় সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া ফ্যাসিবাদ বিলোপ সম্ভব নয়: এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক একুশের বন্ধুত্বে আগামীর পথচলা: বার্ষিক সম্মেলনে ২১তম বিসিএস প্রশাসন ফোরাম বিজিএমইএ`র নতুন নেতৃত্বে আসছেন বাবু, নিরঙ্কুশ জয়ের ইঙ্গিত জিলহজ মাসের আমল ও কোরবানির তাৎপর্য চট্টগ্রামে নারীকে লাথির ঘটনায় ভাইরাল আকাশ চৌধুরী বহিষ্কৃত, জামায়াতের বিবৃতি সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেই, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিল পবিস শ্রমিকরা আনচেলত্তির স্বপ্ন - রিয়াল মাদ্রিদের মতো করে খেলাবেন ব্রাজিলকে ডিমের দাম এখনো চড়া, ডজন ১৩০–১৪০ টাকায় বিক্রি বৈরী আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের সঙ্গে সারাদেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ হারের পর লিটনের মনোভাব - এখনো দুই ম্যাচ বাকি কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব জুয়েলারি দোকান বন্ধ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করবে ডিএনএ টেস্ট করে নামফলক ও মর্যাদা চায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা বেতন না পেয়ে ডাকাতি, জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ তিনজন আটক “বাংলাদেশে কৌশলগত স্বার্থ নেই দক্ষিণ কোরিয়ার”—রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক “শাপলার হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই”—হেফাজতের বিবৃতি মির্জা আব্বাস: “করিডর আর স্টারলিংক আনা হচ্ছে আরাকান আর্মির জন্য” জিলহজ মাসের চাঁদ দেখে যে দোয়া পড়বেন নির্বাচনের আগে যতটুকু দরকার, ততটুকুই সংস্কার করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ‘চিন্তার স্বাধীনতাও হারাচ্ছি?’— নারী কমিশন বিতর্কে গীতিআরার উদ্বেগ ইউক্রেনে রাশিয়ার টানা হামলায় নিহত ১২, কঠোর চাপের আহ্বান জানালেন জেলেনস্কি সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন – তিনটি কঠিন দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আমরা জুলাই অভ্যুত্থান ক্ষমতার পালাবদল নয়, এটি মৌলিক সংস্কার: নাহিদ হলুদ সাংবাদিকতা’ বিরোধী স্লোগানে উত্তাল শিক্ষক মিছিল ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আখাউড়া বন্দর দিয়ে রপ্তানি কমেছে ৪০% বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলছে, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি জাতীয় স্বার্থে অভিমান ভুলে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান : জামায়াত আমির আন্দোলনের পর অবশেষে নিয়োগ পেলেন ৪৩তম বিসিএসের বাদ পড়া ১৬২ জন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে ইসির সামনে এনসিপির বিক্ষোভ কাল বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা, স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের নতুন যুগ শুরু নরওয়ের দৃঢ় সমর্থন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিগত সরকারের সময় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, এমন অবস্থা ছিল যে খতিবকেও পালাতে হয়েছিল: বাণিজ্য উপদেষ্টা গায়ের জোরে নগর ভবন দখল করে আন্দোলন চালাচ্ছে বিএনপি আবারও রাজপথে নামার ইঙ্গিত আসিফের, সতর্ক করলেন হাসনাত গোপন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন স্থগিত, ২০ মে আলোচনায় বসবে ঐক্য পরিষদ ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞা সীমান্ত বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে ভারতের নতুন সিদ্ধান্তে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি বন্ধ গত ৯ মাসে জুলাই-যোদ্ধাদের ওপর ৩৮টি হামলা জবি’র ৪ দফা দাবি মেনে নেওয়ায় আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা ডিবি থেকে মুক্তির পর আন্দোলনে উল্লাস জবি শিক্ষার্থীর গাজা দখলে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করলেন ট্রাম্প শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডে বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার উপদেষ্টা আসিফের সোনার দাম ভরিতে কমল ৩ হাজার ৪৫২ টাকা, নতুন দর কার্যকর শুক্রবার থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

প্রযুক্তি

ইন্টারনেট ও আমাদের সমাজ

মাওলানা তাওহীদুল ইসলাম তায়্যিব

 আপডেট: ০৬:৫৬, ২৫ অক্টোবর ২০২২

ইন্টারনেট ও আমাদের সমাজ

(নিকট অতীতের অত্যন্ত বুযুর্গ আলেমেদ্বীন হযরত মাওলানা আশেক এলাহী বুলন্দশহরী রাহ.-এর একটি কিতাব কিছুদিন আগে অনূদিত হয়ে প্রকাশিত হয়েছে। কিতাবটির বাংলা নাম ‘তালীমুন নিসা’। তাতে মহিলাদের জন্য জরুরী দ্বীন শিক্ষা ও আবশ্যকীয় দ্বীনী বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষতিকর বিষয়েও রয়েছে দরদভরা সতর্ক বার্তা। সেই প্রসঙ্গে নভেল-উপন্যাস, রেডিও ও গ্রামোফোনের ক্ষতি সম্পর্কেও আলোচনা রয়েছে। ঠিক সেখানে বাংলা অনুবাদে একটি জরুরী টিকা যুক্ত করা হয়েছে। টিকাটি লিখেছেন মুহাম্মাদ তাওহীদুল ইসলাম তায়্যিব। প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনা করে সেটি আলাদাভাবে এখানে তুলে ধরা হলো।-উপস্থাপক)

আজ থেকে প্রায় সত্তর বছর আগে তাঁর সময়ের অবস্থা ও পরিবেশ হিসাবে নভেল-উপন্যাস, রেডিও ও গ্রামোফোন ইত্যাদি সম্পর্কে লিখেছেন এবং দরদভরা কষ্ট প্রকাশ করেছেন। কিন্তু বর্তমানে আমাদের সমাজ নভেল উপন্যাস আর রেডিও গ্রামোফোনের সেই ক্ষতি ছাড়িয়ে ভয়াবহ এক ক্ষতির শিকার হয়ে গেছে। ব্যাক্তি, পরিবার, সমাজ, দেশ এবং পুরো বিশ্ব এখন এই ক্ষতির তীব্র ধাক্কায় বেসামাল। উত্তরহীন অধঃপতনে মুমূর্ষ। এ ক্ষতির ছদ্মনাম ইন্টারনেট।

সমাজ বিজ্ঞানীরা বলেন, কোনো সমাজে রাজনৈতিক আগ্রাসনের চেয়ে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ভয়াবহ। কারণ রাজনৈতিক আগ্রাসনের ফলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, বিবাদ-বিসংবাদ বাড়ে কিংবা হতাহতের ঘটনা ঘটে। আর সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফলে একেকটি জাতি ধ্বংস হয়ে যায়।

বর্তমান সময়ে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট। এর ক্ষতি বহুমুখী এবং বহু বিস্তৃত। সেগুলোকে তালিকাবদ্ধ করতে গেলে উল্লেখযোগ্য শিরোনামে আসবে-সময়ের অপচয়, অর্থের অপচয়, চোখের গোনাহ, দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি, শারীরিক-মানসিক চাপ, চরিত্র ও চিন্তা -চেতনার বিপর্যয় এবং ঈমানের ভয়াবহ অধঃপতন। এছাড়া কত ঘর-সংসার যে এর মাধ্যমে টুকরো টুকরো হয়েছে, কত জীবন যে বিপন্ন হয়েছে, কত মা- বাবা সন্তান হারিয়েছেন, কত সন্তান হারিয়েছে তার ভবিষ্যৎ এবং কতভাবে কত মানুষ কত ভয়ংকর জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে- সেই ফিরিস্তি শেষ হবার নয়।

দেখা যায়- অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট প্রয়োজনীয় কাজের চেয়ে অপ্রয়োজনীয় কাজেই বেশি ব্যবহৃত হয়। এমনকি যারা কঠিনভাবে নিয়ম মেনে চলেন, মজবুত রুটিন অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করেন, তারাও এখানে সময় বাঁচাতে ব্যর্থ হন। ব্যর্থ হন প্রয়োজনীয় কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে। না চাইলেও এতে সময়ের অপচয় হয়, লক্ষ্যমুখী কাজে বিঘ্ন ঘটে। এটা তো হল সময়- সচেতন ও লক্ষ্যে অবিচল মানুষের ক্ষেত্রে। আর যারা অসচেতন এবং অসতর্ক- তারা যে কত রকমের ক্ষতির শিকার হয়, হিসাব করে বের করা যাবে না।

প্রয়োজনীয় জিনিসের সাথে অপ্রয়োজনীয় জিনিসের যে আশ্চর্য মিশ্রণ ঘটেছে ইন্টারনেটে, সত্যিই তা নজিরবিহীন।

ইন্টারনেটের সবচেয়ে বড় ক্ষতিগুলোর একটি হলো, চোখের গোনাহ। নেট ব্যবহার করেও এই গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে এমন মানুষ বোধহয় হাজারে একজন পাওয়া দুষ্কর হবে। কারণ এখানে সর্বব্যাপী আয়োজনটাই এমন যে, এই গুনাহমুক্ত হয়ে থাকা সম্ভব নয়। ফলে বার বার গুনাহটি করতে করতে এক সময় খুব সহজ হয়ে যায়। এবং এটাকে খুব স্বাভাবিক ধরে নেওয়া হয়। অথচ হাদীস শরীফে কত কঠিন কথা বলা হয়েছে এ প্রসঙ্গে-
زنا العين النظر
‘দৃষ্টি নিক্ষেপ হলো চোখের যিনা’-(সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬২৪৩)
চোখের গোনাহের যে সকল ক্ষতিকর প্রভাব মানুষের মনোজগতে পড়ে, এখানেও তা পুরোমাত্রায় বিদ্যমান।

খুব তিক্ত হলেও সত্য যে, এর দ্বারা সীমাহীন ক্ষতির শিকার হয়েছে আমাদের পর্দানশীন পরিবারগুলো। ধর্মীয় মূল্যবোধ নিয়ে, দ্বীনি পরিবেশে বেড়ে উঠা পর্দানশীন নারীরা আগে অন্তত এই গুনাহে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ পেত না। বাবা, স্বামী, ভাই এবং মা ও সংসারের অন্য অভিভাবকদের তত্ত্বাবধানেই তাদের জীবন পরিচালিত হতো। সম্পূর্ণ ঘরোয়াভাবে থাকার কারণে গায়রে মাহরাম কোনো পুরুষকে দেখা তাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব ছিল। কিন্তু এই মোবাইল ইন্টারনেটের কারণে এখন আর কোনো তত্ত্বাবধান, নিয়ন্ত্রণ কিংবা কোনো নজরদারি তাদের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারছে না

এ ক্ষেত্রে মোবাইলের প্রয়োজনীয়তা সংক্রান্ত অজুহাত সবচে বড় ভূমিকা পালন করে। আর ভূমিকা পালন করে “ইসলামিক ভিডিও” ও “ইসলামী সংগীত” দেখার অজুহাত। ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন এইসব অজুহাত কতটা অনর্থ! এইসব অজুহাতের নামে শয়তান আমাদেরকে কত মারাত্মক ধোঁকায় ফেলছে!


আর ইসলামী সংগীত দেখার ক্ষতিও কি কম হচ্ছে? সঙ্গীত শিল্পীদের সাজ-সজ্জা ও অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে দুঃখজনক বহু ঘটনার সংবাদও তো পাওয়া যায়। তাছাড়া নিজের স্বামী, ভাই ও সন্তানকে হুবহু সেই বেশভূষায় সজ্জিত হওয়ার উৎসাহ দিতেও শোনা যায়। এমনকি সেই পোশাক-সজ্জা ছাড়া তাদের ‘স্বপ্ন-পুরুষ’ হওয়া সম্ভবই নয়- এ অভিযোগও আসে অনেকের পক্ষ থেকে। তাহলে এর ভালো দিকটা কোথায়? একটু দরদের সাথে, পর্দানশীন নারীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অভিভাবকগণ কি বিষয়টি ভেবে দেখবেন?

ইন্টারনেটের ক্ষতিকে আরো বাড়িয়ে দেয় তার সহজলভ্যতা ও অভিভাবকদের সহজ দৃষ্টি।


হাতের নাগালে স্মার্টফোন থাকার কারণে ছোট বড় যে- কেউ যে- কোনো সময় তা ব্যবহার করতে পারে। যে-কোনো সুযোগে লিপ্ত হয়ে যেতে পারে তার ক্ষতির দিকসমূহে। পরিবারের ছোট থেকে ছোট কোনো সদস্যও ইমু, মেসেঞ্জার কিংবা ইউটিউবের ছুঁতোয় নেটে প্রবেশ করতে পারে। অভিভাবকগণও এটাকে সহজভাবে নেন, স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখেন।
অথচ এর মাধ্যমেই কত বড় বড় ক্ষতির শিকার হয়ে যায় তারা।

ইদানীং দ্বীনদার অনেক মা-বাবার মুখেও শোনা যায়, শিশুরা নাকি ইউটিউবে মজার ভিডিও আর কার্টুন না দেখে খাবারই খেতে চায় না! ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

অনেক পরিবারে মা-বাবা দুইজনই চাকরি করেন। সন্তানকে তেমন সময় দিতে পারেন না। তাই সন্তানরা যেন লেখাপড়ার সময় বাদে বাকি সময়টাও আনন্দে কাটাতে পারে, কিংবা বাড়তি কিছু শিখতে পারে (!) সেজন্য তাদের হাতে ইন্টারনেট সংযোগসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস তুলে দেন। এসবের পরিনাম যে কত ভয়াবহ আকারে প্রকাশ পায়, তা বোধহয় আলোচনার অপেক্ষা রাখে না।

শুধু এক ইন্টারনেটের মাধ্যমেই দ্বীনি-বদদ্বীনি কত পরিবারের কত সদস্যের চারিত্রিক অবক্ষয় ঘটেছে, তা কি হিসাব‌ করে বের করা সম্ভব? শারীরিক ক্ষতি আর নৈতিক ক্ষতির হিসাব তো আরও বড়।


এজন্য প্রথম কাজ ‌হলো, যথাসম্ভব ঘরকে ইন্টারনেট মুক্ত রাখা। অন্তত সন্তানের সামনে মা-বাবার নেট ব্যবহার বন্ধ রাখার চেষ্টা করা।
মনে রাখতে হবে, ইন্টারনেট এক বিষধর সাপ। এর এক ছোবলে যে কারও প্রাণনাশ হতে পারে। সাপের বিষকে কাজে লাগানো তো সবার সাধ্যের বিষয় নয়!

হে আল্লাহ! এই উম্মতকে আপনি হেফাজত করুন। যমানার এই ভয়াবহ ফেতনা থেকে রক্ষা করুন। প্রাণনাশক এই সাপের ছোবল থেকে পরিবার ও সমাজকে আপনি মুক্ত রাখুন। আপনি ছাড়া আর কারও পক্ষে এই ফিতনা রোধ করা সম্ভব নয়। হে আল্লাহ! আমরা আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি। আমাদের পরিবার গুলোকে আপনার হাওয়ালা করছি।