শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫, বৈশাখ ১৩ ১৪৩২, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

ব্রেকিং

অন্তিম শয়ানের আগে ফ্রান্সিসকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভ্যাটিকানে লাখো মানুষ পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন যারা ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের আগে আ.লীগের বিচার হতে হবে, সমাবেশে শহীদদের স্বজনরা কেউ যাতে নিপীড়নের মুখে না পড়ে এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই: আলী রীয়াজ দেশের কিছু স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রাঙামাটিতে অটোরিকশা ও পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ৫ মে-জুনের গরমে কতটা আরাম দেবে বিদ্যুৎ? মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের ২ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল দুজনের বর্ণিল আয়োজনে চট্টগ্রামে চলছে স্যানমার ঈদ ফেস্টিভ্যাল সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত, কতটা ক্ষতি হবে পাকিস্তানের? ‘নিজেরাই সামলে নেবে’, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে ট্রাম্প ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের ফের গোলাগুলি চুক্তির ‘খুব কাছে’ রাশিয়া-ইউক্রেইন, বললেন ট্রাম্প পহেলগাঁও কাণ্ড : আসামে গ্রেপ্তার করা হলো ৬ মুসলিমকে চীনকে অবশ্যই এআই চিপ চ্যালেঞ্জ ‘কাটিয়ে উঠতে’ হবে : শি জিনপিং `দেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু ছেলে ফিরেনি` - শহীদ আরাফাতের মায়ের আক্ষেপ

ইসলাম

মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই : ধর্ম উপদেষ্টা

 প্রকাশিত: ০৮:১৬, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই : ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়ে গেছেন। মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই।

আজ বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় যাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও ইসলামিক ঐক্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইরান দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর সৈয়দ রেজা মীর মোহাম্মাদী। 
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসূর চাভোশি। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে  আরও বক্তব্য রাখেন  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাঈল মিয়া, বাংলাদেশ ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা লুৎফর রহমান প্রমূখ ।

ধর্ম উপদেষ্টা খালিদ হোসেন আরো বলেন, মুসলিম উম্মাহ যদি একত্রিত হতে পারে তাহলে নতুন পৃথিবী উপহার দিতে পারবে। ইসরায়েলের আগ্রাসন থেকে আল-আকসা উদ্ধার করতে সমর্থ হবে। মুসলিম বিশ্বে আমাদের সম্পদের প্রাচুর্য রয়েছে। আমরা যদি এই সমস্ত সম্পদ বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে মুসলিম বিশ্ব নতুন শক্তি নিয়ে জেগে উঠবে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন আল্লাহ রহমতস্বরূপ। তিনি ছিলেন মানবতা ও সমগ্র বিশ্বের নবী।  তিনিই প্রথম মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার প্রায় এক হাজার ৪০০ বছর পূর্বেই তিনি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর আগমনের পূর্বে পৃথিবীতে মানুষের অধিকার বলতে কিছু ছিলো না। মহানবী (সা.) সর্বপ্রথম ঘোষণা করেন, আরবের ওপর অনারবের কিংবা অনারবের ওপর আরবের, সাদার ওপর কালোর কিংবা কালোর ওপর সাদার বিশেষ কোন মর্যাদা নেই। পৃথিবীর সব মানুষ সমান এবং  আল্লাহ ভীতিই একমাত্র শ্রেষ্ঠত্বের মানদন্ড। 

ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, মহানবী (সা.) এর আগমনের পূর্বে নারীদের  কোন সম্মান ও মর্যাদা ছিলো না, বরং তাদেরকে সকল অনিষ্টের মূল হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু রাসূল (সা.) ঘোষণা করলেন, মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। তাঁর এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিশ্বে নারীর  মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া, নবী করিম (সা.) পৃথিবীতে  প্রথম যুদ্ধনীতি ঘোষণা করে বলেন যুদ্ধের ময়দানে নারী ও শিশুদেরকে হত্যা করা যাবে না এবং মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাতে ধর্মযাজকদেরক হত্যা করা যাবে না। 

উপদেষ্টা বলেন, মহানবী (সা.) যেটা বলেছেন সেটা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। এর ব্যতিক্রম কখনো ঘটেনি। তিনি সমগ্র জীবনে তত্ত্বকে বাস্তবে রূপায়ণ করেছেন। আমরা যদি রাসূল (সা.) এর আদর্শ অনুসরণের করতে পারি তাহলে আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন আলোকিত ও মহিমান্বিত হবে। 

ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসূর চাভোশি বলেন, মহান আল্লাহ পাক হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে সারাবিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। মহানবী (সা.) সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। তাঁর চারিত্রিক মাধুর্যে মূর্তি পূজারিরাও আকৃষ্ট হয়েছে এবং তিনি বিধর্মী কাফের, মুশরিক ও মুর্তিপূজারীদেরকে ইসলামের পতাকাতলে আবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। 

রাষ্ট্রদূত মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থে মতভেদ ভুলে মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান  জানান।