শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, বৈশাখ ২৬ ১৪৩২, ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

আইভীর বাড়িতে পুলিশ, অনুসারীদের জটলা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী ধাপের আলোচনার কর্মপরিকল্পনা দ্রুত চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাফল্য চাই: মির্জা ফখরুল তথ্যযুদ্ধ: কতটা সত্যি বলছে ভারত ও পাকিস্তান? ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে এরপর কী? পাকিস্তান ভারত সীমান্তে উত্তেজনার নতুন অধ্যায়: ক্ষেপণাস্ত্র, হামলা ও তথ্যযুদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে: আসিফ মাহমুদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে নেতৃত্ব পরিবর্তন: স্নিগ্ধর পদত্যাগ আবদুল হামিদের দেশত্যাগে জড়িতদের ধরা হবে, না হলে আমিই চলে যাব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকার সংবাদপত্রের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চায় : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা প্রথম আমেরিকান পোপ হলেন রবার্ট প্রিভোস্ট ২০২৫: টেকনোলজির ঝড় উঠছে! ভারত-পাকিস্তানে যুদ্ধের দামামা: বাংলাদেশে কী প্রভাব, করণীয় কী রক্তের প্রতিটি ফোঁটার বদলা নেব: শেহবাজ শরিফ

আন্তর্জাতিক

ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে এরপর কী?

 প্রকাশিত: ০২:০১, ৯ মে ২০২৫

ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে এরপর কী?

কয়েক দশকের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ দেখার পর দুই দেশের সীমান্তবর্তী কোটি কোটি মানুষের মত অনেকেরই মনে এখন একটা প্রশ্ন বেশি ঘুরপাক খাচ্ছে– এরপর কী ঘটতে পারে?

এমন ‘জিজ্ঞাসার’ বিষয়ে বিশ্লেষকদের পর্যবেক্ষণ বলছে, এরপর কী ঘটবে, তার ‘বেশির ভাগটাই’ নির্ভর করছে ইসলামাবাদের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভারতের হামলার পর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিলেও পাকিস্তান সীমান্তে গোলা বর্ষণ ছাড়া এখন পর্যন্ত বড় ধরনের সামরিক পদক্ষেপ নেয়নি। তবে বৃহস্পতিবার রাতে ভারত দাবি করেছে, কাশ্মীরের জম্মু ও উদামপুরে এবং পাঞ্জাবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ও ড্রোন পাঠিয়ে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।

সংঘর্ষের পর দুপক্ষই নিজেদের বিভিন্ন পদক্ষেপের ভিত্তিতে বিজয়ী দাবি করেছে। তবে বৈরিতা বাড়ছেই।

দুই দেশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয় গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে। যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠার মত পরিস্থিতি তৈরি হয় পাকিস্তানে ভারতের আক্রমণে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নয় স্থানে সুনির্দিষ্ট ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানায়’ ভারতের হামলার পর দেশটির বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি তোলে পাকিস্তান।

হামলার দুই দিন পর পাকিস্তানের দাবি, তারা ভারতের ২৫টি সামরিক ড্রোনও ভূপাতিত করেছে। তারা এসব ড্রোনকে আখ্যা দিয়েছে ভারতের ‘বিপজ্জনক উসকানি’ হিসেবে।

সার্বিক পরিস্থিতিতে, এখন সবাই একটা ভয়ই পাচ্ছেন। সেটা হলো- নতুন করে কোনো ধরনের সংঘর্ষ হলে তা দুই দেশকে সর্বাত্মক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতি নিয়ে কাজ করা মার্কিন বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলছেন, “সবার চোখ এখন পাকিস্তানের দিকে।

“যদি তারা মুখ রক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ভারতের বিমান ধ্বংস করার ঘটনায় নিজেদের বিজয়ী দাবির মাধ্যমে এখানেই ইতি টানে, তবে উত্তেজনা প্রশমনের একটা সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।”

তবে সতর্ক করে দিয়ে এই বিশ্লেষক বলেন, “যদি পাকিস্তান পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে সব সম্ভাবনাই নস্যাৎ হয়ে যাবে।”

 

 

সিএনএন বলছে, বুধবারের হামলার পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম উচ্ছ্বসিত ছিল।

ভারতের শীর্ষস্থানীয় একটি ইংরেজি দৈনিক তাদের সম্পাদকীয়তে ভারতের হামলাকে "ন্যায়বিচারের আঘাত" হিসেবে অভিহিত করে।

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর ‘বদলা’ নিতে চালানো এ হামলাকে ‘তীক্ষ্ণ’ ও ‘দৃঢ়’ প্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রশংসাও করে পত্রিকাটি।

একই ধরনের শিরোনাম করে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসও। পত্রিকাটি তাদের প্রথম পৃষ্ঠাজুড়ে লিখেছে, ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত’।

অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জনসমক্ষে যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, সেটাও ‘আক্রমণাত্মক’।

ভারতের হামলায় ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে তিনি ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। তবে ভারতের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করেন তিনি।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, “শত্রুকে মাথা নত করাতে মাত্র কয়েক ঘণ্টা লেগেছে।”

ভারত বলছে, তারা ইসলামপন্থি দুটি গোষ্ঠী– লস্কর-ই-তইয়েবা ও জইশ-ই-মুহাম্মদের অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে। গোষ্ঠী দুটির বিরুদ্ধে ভারতে প্রাণঘাতী কিছু জঙ্গি হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

নয়া দিল্লির দাবি, মঙ্গলবার রাতের হামলায় পাকিস্তানের কোনো সামরিক অবকাঠামো নিশানা করা হয়নি এবং কোনো বেসমারিক লোকের মৃত্যু হয়নি। সেদিন রাতে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের একটি লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানে ভারত। দুই দেশের ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর এটি ছিল পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি ভেতরে হামলার ঘটনা।

 

পাকিস্তানে বিমান হামলার খবরের মধ্যেই ভারতের একাধিক রাজ্যে চলছে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা মহড়া।

পাকিস্তানে বিমান হামলার খবরের মধ্যেই ভারতের একাধিক রাজ্যে চলছে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা মহড়া।

হারানোর আশঙ্কা আছে দুপক্ষেই

বেশির ভাগ বিশ্লেষক মনে করেন, পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র আরেকটি সর্বাত্মক যুদ্ধের ভার বইতে পারবে না।

এরই মধ্যে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দারের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, দুই দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে।

দুই দেশের মহাপরিচালকদের মধ্যে একটি হটলাইন চালু হওয়ার তথ্যও দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান এরইমধ্যে তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। আরেকটি যুদ্ধ ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

সাত দশক আগে ভারত ভাগের মধ্য দিয়ে জন্ম নেওয়া পাকিস্তান নানা সংকটে রয়েছে। প্রায় ২৩ কোটি মানুষের দেশটি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে শুরু করে জঙ্গি উত্থান ও অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার মত নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে।

সামরিক কিংবা অর্থনৈতিক দিক ভারতকে তুলনামূলক বেশি শক্তিশালী ধরা হয়। তবে যুদ্ধে জড়ালে ভারতকেও ‘কিছু না কিছু’ হারাতে হতে পারে বলে মনে করেন ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের ফরেন পলিসি প্রোগ্রামের জ্যেষ্ঠ গবেষক তানভি মদন।

“আগের ঘটনাগুলোর আলোকে এটা বলা যায়, শেষমেশ দুই দেশই যুক্তিবাদী, যারা সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়াতে চায় না।”

আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের ভাবমূর্তি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বদ্ধপরিকর, যিনি ভারতে অলিম্পিক আয়োজনের চেষ্টা চালিয়েছে যাচ্ছেন এবং চীনকে টপকে উৎপাদনের বৈশ্বিক কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছাতে যান।

আরেকটি বিষয় হল, ভারত বর্তমানে একাধিক সীমান্তে, বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়ে হুমকির মধ্যে রয়েছে।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দুই দেশ সর্বাত্মক যুদ্ধে না জড়ালে তাতে ‘অবাক হওয়ার’ কিছু দেখছেন না বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সাবেক চেয়ারম্যান মুন্সি ফয়েজ।

সাবেক এ রাষ্ট্রদূত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বুধবার বলেন, “ভারত বলেছে যে, তারা পাকিস্তানি কোনো সামরিক ঘাঁটি বা সামরিক স্থাপনায় আক্রমণ করে নাই। তারা আক্রমণ করেছে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী স্থাপনাগুলোতে। তারা ‘উচিত শিক্ষা দিয়েছে’- এমন একটা কথা বলছে।

“আর পাকিস্তানের দিক থেকে হল, তারা ভারতের কয়েকটি বিমান ভূপাতিত করেছে বলে আমরা খবর পাচ্ছি, দেখছি। সুতরাং দুপক্ষই কিছু বলার সুযোগ পাচ্ছে তাদের দেশের মানুষকে। একজন বলল, আমরা উচিত শিক্ষা দিয়ে দিয়েছি, আরেকপক্ষও বলছে, আমরা উচিত জবাব দিয়ে দিয়েছি।”

এখন দুপক্ষ এখান থেকে যুদ্ধের দিকে পা না বাড়িয়ে সরে এলে ‘আশ্চর্য হব না’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তারপরও তারা যদি মনে করে যে, পানি বন্ধ করে দেওয়া, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়া, আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়ার পর এতটুকুতে হবে না, আরেকটু মারধর করা দরকার। তাহলে দুপক্ষ আরও দুয়েকটা ঘটনা ঘটায়া হয়ত বা বড় যুদ্ধ না লাগায়া সরে আসতেও পারে।”

 

পাকিস্তানি সেনাদের গোলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বারামুল্লার সালামাবাদের একটি বাড়ি। ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানি সেনাদের গোলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বারামুল্লার সালামাবাদের একটি বাড়ি। ছবি: রয়টার্স

 

উত্তেজনা কমবে, না কি বাড়বে?

মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানে হামলার পর ভারত তাৎক্ষণিক একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করে। সেটা হল- তারা পেহেলগাম হত্যার প্রতিশোধ নিতেই হামলাটি চালিয়েছে। তারা হামলায় ‘সংযম’ দেখিয়েছে এবং কোনো উত্তেজনা তৈরি করেনি।

 

দিল্লির শীর্ষ কর্মকর্তারাও যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্য ও রাশিয়াসহ বেশ কিছু দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক সাক্ষাৎ করেন।

এশিয়া গ্রুপের সিনিয়র উপদেষ্টা নিশা বিসওয়াল বলেন, “উত্তেজনা যেন না বাড়ে, সম্ভবত সে বিষয়ে ইসলামাবাদের ওপর চাপ তৈরি করতে চেয়েছে নয়া দিল্লি।”

তবে পাকিস্তানের প্রভাবশালী সেনাপ্রধান আসিম মুনির ঘোষণা দিয়েছেন, ভারতের যেকোনো আগ্রাসনের সমুচিত জবাব তারা দেবে।

মোদীর কট্টর হিন্দু জাতীয়তাবাদী অবস্থানের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত মুনির।

অন্যদিকে মোদীর হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বহু বছর ধরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘বড় ধরনের আঘাত হানার’ দাবি জানিয়ে আসছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রাখার সুযোগ দেখছেন কুগেলম্যান।

“অতীতে এ ধরনের সংকটে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে মধ্যস্থতা করেছে, এবারও তারা ভূমিকা রাখতে পারে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এ ক্ষেত্রে কতটা আগ্রহী, সেটা এখনো স্পষ্ট নয়।”

তিনি বলেন, “চীন উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানালেও ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্কটা জটিল। এ কারণে তারা কার্যকর মধ্যস্থতাকারী হতে পারবে না।

“মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আছে আরব উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো, বিশেষ করে কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। কারণ উভয় দেশের সঙ্গেই তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।”

 

 

এখন পর্যন্ত যা যা হল

>> কাশ্মীরে ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। হামলার দায় স্বীকার করে নেয় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)।

>> এ ঘটনায় পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে চরম অবনতি ঘটে।

>> গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্থগিতের পাশাপাশি একে অপরের পণ্য আমদানি বন্ধ করে দেয় দুই দেশ। এক অপরকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া থেকেও বিরত থাকে।

>> হামলার প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের অন্তত ছয়টি স্থানে হামলা চালায় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’।

>> ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানের অন্তত ৩১ জন এবং ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পাকিস্তানের গোলায় ১৫ জন নিহত হন। ভারতের কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি তোলে পাকিস্তান।

>> নিজেদের সশস্ত্র বাহিনীকে ‘সমুচিত জবাব’ দেওয়ার অনুমতি দেয় পাকিস্তান সরকার।

>> বৃহস্পতিবার ভারতের ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি তোলে পাকিস্তান। অন্যদিকে নয়া দিল্লি দাবি করে, তারা পাকিস্তানের ছোড়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিস্ক্রিয় করেছে।

>> ‘যেকোনো মূল্যে’ আঞ্চলিক অখণ্ডতা ধরে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

>> নিরাপত্তার স্বার্থে রাউলপিণ্ডি স্টেডিয়ামের পিএসএল ম্যাচ স্থগিত হয়ে যায়।

>> হিমাচলে ধারামশালায় খেলা চলাকালীন সময়ে হামলার আশঙ্কায় ফ্লাডলাইট বন্ধে করে নিরাপত্তাজনিত কারণে আইপিএল খেলা বন্ধ রাখা হয়। স্টেডিয়াম খালি করতে বলে কর্তৃপক্ষ। ওই সময় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের খেলা চলছিল।

>> আগামী রোববার এ মাঠে অনুষ্ঠিতব্য মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও পাঞ্জাব কিংসের খেলা আহমেদাবাদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

>> ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মু ও উদামপুরে এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোটে নিজেদের তিনটি সামরিক স্থাপনায় পাকিস্তানের হামলা করার দাবি তোলে ভারতের সামরিক বাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ও ড্রোন পাঠিয়ে এ হামলা চালানোর দাবি করা হয়। এ তিন শহরে সতর্ক করতে বিপদ সংকেত হিসেবে সাইরেনও বাজানো হয়।

>> জম্মুতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে ‘ব্ল্যাক আউট’ এর তথ্য দিয়েছেন স্থানীয়রা।