রোববার ১১ মে ২০২৫, বৈশাখ ২৮ ১৪৩২, ১৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

স্বাস্থ্য

৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত দুই হাজারের বেশি

 আপডেট: ১৭:৪৫, ৩০ জুন ২০২২

৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত দুই হাজারের বেশি

দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।  আগের দিনে এই রোগে কেউ মারা যায়নি। এ সময়ে সংক্রমণ বেড়েছে দশমিক ৪৭ শতাংশ। আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ খবর জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৪৯ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। বুধবার করোনায় শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। আজ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৭০ শতাংশে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৯০৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১৮৩ জন। আগের দিন ১৪ হাজার ৭১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ২৪১ জন।

দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৭৩ হাজার ৭৮৫ জন। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৯০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৭ হাজার ৫০৯ জন। সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ৯৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

এদিকে রাজধানীসহ ঢাকা জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭২৭ জন। শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। আগের দিনে এই হার ছিল ১৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। 

বাংলাদেশে করোনা বেশ কমে গিয়েছিল। গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে একদিনে শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৪ জন। এভাবে রোজ ৫০ এর নিচে থাকতো নতুন রোগীর সংখ্যা। টানা একমাস প্রথম দফায় কোনো মৃত্যু ছিল না কোভিড-১৯ এ। এরপর আবার টানা ২০ দিন ছিল মৃত্যুহীন। 

কিন্তু ১১ সপ্তাহ পর প্রথমে গত ১২ জুন রোজকার রোগী ১০০ ছাড়ায়। এরপর এর ১৫ দিনের মাথায় গতকাল সোমবার তা ২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। টানা চারদিন দুই হাজারের বেশি শনাক্ত পাওয়া গেছে। এবং এখন রোজ ২/৩ জন করে মারা যাওয়ার খবরও আসছে। গত ১১ মার্চের পর শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে সবচেয়ে বেশি। সেদিন ৫ জন মারা গিয়েছিল। 

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশ করোনা মহামারীর চতুর্থ ঢেউয়ে ঢুকেছে। 

দেশে সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকায় সরকার মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা ফের জারি করেছে। স্বাস্থ্যবীধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রেও বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।