বৃহস্পতিবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ১১ ১৪৩২, ০৫ রজব ১৪৪৭

ব্রেকিং

‘পদত্যাগ করে ভোট করবেন’ অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান শরিকদের আরো আট আসন দিল বিএনপি গাজীপুরে ইটভাটায় জাসাস নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চর দখলে ৫ খুন: ২৪ ঘণ্টায় আটক নেই, হয়নি মামলা আতাউর রহমান বিক্রমপুরী গ্রেপ্তার পোল্যান্ডের কয়লাখনিতে গ্যাস লিক হয়ে নিহত ২ হাদির কবর জিয়ারত করবেন তারেক রহমান খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমলো এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ যোগ দিলেন বিএনপিতে যুক্তরাষ্ট্রে নার্সিং হোমে বিস্ফোরণে নিহত ২, নিখোঁজ ৫ মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে সিরিয়ার মন্ত্রীদের বৈঠক নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী খুলনায় শ্রমিক শক্তির নেতাকে গুলি: মামলায় আসামি যুবশক্তি নেত্রী তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার সেনাপ্রধান নিহত ৩৬ বলে সেঞ্চুরি, ১৫ ছক্কায় ৮৪ বলে ১৯০, অবিশ্বাস্য সুরিয়াভানশি

স্বাস্থ্য

৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত দুই হাজারের বেশি

 আপডেট: ১৭:৪৫, ৩০ জুন ২০২২

৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত দুই হাজারের বেশি

দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।  আগের দিনে এই রোগে কেউ মারা যায়নি। এ সময়ে সংক্রমণ বেড়েছে দশমিক ৪৭ শতাংশ। আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ খবর জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৪৯ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। বুধবার করোনায় শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। আজ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৭০ শতাংশে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৯০৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১৮৩ জন। আগের দিন ১৪ হাজার ৭১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ২৪১ জন।

দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৭৩ হাজার ৭৮৫ জন। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৯০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৭ হাজার ৫০৯ জন। সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ৯৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

এদিকে রাজধানীসহ ঢাকা জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭২৭ জন। শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। আগের দিনে এই হার ছিল ১৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। 

বাংলাদেশে করোনা বেশ কমে গিয়েছিল। গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে একদিনে শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৪ জন। এভাবে রোজ ৫০ এর নিচে থাকতো নতুন রোগীর সংখ্যা। টানা একমাস প্রথম দফায় কোনো মৃত্যু ছিল না কোভিড-১৯ এ। এরপর আবার টানা ২০ দিন ছিল মৃত্যুহীন। 

কিন্তু ১১ সপ্তাহ পর প্রথমে গত ১২ জুন রোজকার রোগী ১০০ ছাড়ায়। এরপর এর ১৫ দিনের মাথায় গতকাল সোমবার তা ২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। টানা চারদিন দুই হাজারের বেশি শনাক্ত পাওয়া গেছে। এবং এখন রোজ ২/৩ জন করে মারা যাওয়ার খবরও আসছে। গত ১১ মার্চের পর শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে সবচেয়ে বেশি। সেদিন ৫ জন মারা গিয়েছিল। 

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশ করোনা মহামারীর চতুর্থ ঢেউয়ে ঢুকেছে। 

দেশে সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকায় সরকার মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা ফের জারি করেছে। স্বাস্থ্যবীধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রেও বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।