শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, বৈশাখ ২৬ ১৪৩২, ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

আইভীর বাড়িতে পুলিশ, অনুসারীদের জটলা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী ধাপের আলোচনার কর্মপরিকল্পনা দ্রুত চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাফল্য চাই: মির্জা ফখরুল তথ্যযুদ্ধ: কতটা সত্যি বলছে ভারত ও পাকিস্তান? ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে এরপর কী? পাকিস্তান ভারত সীমান্তে উত্তেজনার নতুন অধ্যায়: ক্ষেপণাস্ত্র, হামলা ও তথ্যযুদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে: আসিফ মাহমুদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে নেতৃত্ব পরিবর্তন: স্নিগ্ধর পদত্যাগ আবদুল হামিদের দেশত্যাগে জড়িতদের ধরা হবে, না হলে আমিই চলে যাব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকার সংবাদপত্রের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চায় : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা প্রথম আমেরিকান পোপ হলেন রবার্ট প্রিভোস্ট ২০২৫: টেকনোলজির ঝড় উঠছে! ভারত-পাকিস্তানে যুদ্ধের দামামা: বাংলাদেশে কী প্রভাব, করণীয় কী রক্তের প্রতিটি ফোঁটার বদলা নেব: শেহবাজ শরিফ

জাতীয়

৫৭ দিন পর ছাত্র আন্দোলনে আহত ফেনীর শিক্ষার্থী সাইফুলের মৃত্যু

 প্রকাশিত: ১৮:২৫, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

৫৭ দিন পর ছাত্র আন্দোলনে আহত ফেনীর শিক্ষার্থী সাইফুলের মৃত্যু

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ফেনীর এক মাদরাসা শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫৭ দিন পর মারা গেছেন।

সোমবার সকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) সাইফুল ইসলাম আরিফ নামের ওই শিক্ষার্থী মারা যান বলে জানিয়েছেন তার বাবা আলতাফ হোসেন।

সাইফুল (১৬) ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের মধ্যম কৌশল্যা গ্রামের বাসিন্দা এবং দাগনভূঞা উপজেলার দরবেশহাট ফাজিল মাদ্রাসার দাখিল শ্রেণির ছাত্র ছিল।

তিনি ৪ অগাস্ট চট্টগ্রামের সিআরবিতে হামলায় মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন।

সাইফুলের ফুপাতো ভাই মোহাম্মদ মনির সাংবাদিকদের বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৪ অগাস্ট চট্টগ্রাম সিআরবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয় সাইফুল। ওই দিন স্বৈরাচারী সরকারের কর্মীদের হামলায় মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। বিক্ষোভ দমনকারীরা হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করলে সাইফুলের মাথা ফেটে যায়।

“সাইফুলকে ওইদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ৮ সেপ্টেম্বর তাকে ঢাকার সিএমএইচে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে।”


মোহাম্মদ মনির বলেন, সাইফুল শিক্ষার্থী হিসেবে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলো। সাইফুল পরিবারের বড় ছেলে। তার তিনটি ছোট বোন রয়েছে।

ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

সাইফুলের বাবা আলতাফ হোসেন বিকালে ছেলের মরদেহ নেওয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে অবস্থান করছিলেন। তিনি জানান, ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়ার পর ছেলের মরদেহ দাফনের জন্য বাড়ি নিয়ে যাবেন।

দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিবেদিতা চাকমা বলেন, “সাইফুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে লাশ নিয়ে আসা হলে থানার ওসিকে নিয়ে আমি তার বাড়িতে যাব।”

ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন বলেন, সাইফুল ইসলাম ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন।

জুলাই ও আগস্ট মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফেনীতে নয় জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ঢাকায় অবস্থান করা ফেনীর দুজন ও চট্টগ্রামে অবস্থান করা আরও দুজন নিহত হয়েছে।