শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, বৈশাখ ২৬ ১৪৩২, ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

আইভীর বাড়িতে পুলিশ, অনুসারীদের জটলা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী ধাপের আলোচনার কর্মপরিকল্পনা দ্রুত চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাফল্য চাই: মির্জা ফখরুল তথ্যযুদ্ধ: কতটা সত্যি বলছে ভারত ও পাকিস্তান? ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে এরপর কী? পাকিস্তান ভারত সীমান্তে উত্তেজনার নতুন অধ্যায়: ক্ষেপণাস্ত্র, হামলা ও তথ্যযুদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে: আসিফ মাহমুদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে নেতৃত্ব পরিবর্তন: স্নিগ্ধর পদত্যাগ আবদুল হামিদের দেশত্যাগে জড়িতদের ধরা হবে, না হলে আমিই চলে যাব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকার সংবাদপত্রের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চায় : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা প্রথম আমেরিকান পোপ হলেন রবার্ট প্রিভোস্ট ২০২৫: টেকনোলজির ঝড় উঠছে! ভারত-পাকিস্তানে যুদ্ধের দামামা: বাংলাদেশে কী প্রভাব, করণীয় কী রক্তের প্রতিটি ফোঁটার বদলা নেব: শেহবাজ শরিফ

আন্তর্জাতিক

হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্প প্রশাসনের

 প্রকাশিত: ১৫:১৩, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্প প্রশাসনের

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়

মার্কিন সরকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়েছে। এর কারণ বিশ্ববিদ্যালয়টি ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ১৬ এপ্রিল, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম হার্ভার্ডকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ইহুদি-বিদ্বেষের কাছে মাথা নত করছে। তিনি বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা সংক্রান্ত নথিপত্র এবং তাদের কথিত ‘অবৈধ ও সহিংস কার্যক্রমের’ তথ্যও দাবি করেন।

হোয়াইট হাউজের মতে, হার্ভার্ডকে তার নিয়োগ, ভর্তি এবং শিক্ষাদান নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে হবে, যা ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবেলায় সহায়ক হবে। বর্তমানে হার্ভার্ডে ২৭ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী বিদেশি, যারা এই হুমকির ফলে বিপদের মুখে পড়তে পারেন।

বিশ্ববিদ্যালয় এখনও ক্রিস্টি নোমের সাম্প্রতিক দাবির বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেনি। তবে হার্ভার্ড প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় তার স্বাধীনতা ত্যাগ করবে না কিংবা তার সাংবিধানিক অধিকার ছাড়বে না।'

এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দ ২.২ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল বন্ধ করে দিয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি ট্যাক্স ছাড় বাতিলের হুমকি দিয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিকভাবে বিশাল ক্ষতির কারণ হতে পারে।

ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে হার্ভার্ডকে ‘একটি তামাশা’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, হার্ভার্ডকে আর সম্মানজনক কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ধরা উচিত নয়। একে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত।

এই ঘটনাপ্রবাহ ট্রাম্প প্রশাসনের শিক্ষা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর প্রভাব বিস্তারকারী অবস্থানকে স্পষ্ট করে তুলেছে, বিশেষ করে ফিলিস্তিনপন্থি প্রতিবাদে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি। ইতোমধ্যে ‘অ্যান্টিসেমিটিজম টাস্ক ফোর্স’ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অন্তত ৬০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে পর্যালোচনার জন্য চিহ্নিত করেছে।