‘বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তি’ তালিকায় মুহাম্মদ ইউনূস

যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা সাময়িকী টাইম–এর প্রকাশিত ২০২৫ সালের বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বুধবার প্রকাশিত ‘টাইম ১০০’ তালিকায় তাঁকে ‘লিডার’ বা ‘নেতা’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মোট ছয়টি বিভাগে বিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে নিয়ে তৈরি করা হয় এ তালিকা। ‘নেতা’ ক্যাটাগরিতে ইউনূসের পাশাপাশি রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউম, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো এবং প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কসহ আরও ২১ জন।
তালিকায় স্থান পাওয়া প্রতিটি ব্যক্তির জন্য টাইম একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতি প্রকাশ করেছে। অধ্যাপক ইউনূস সম্পর্কে লেখাটি লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
হিলারি লেখেন, “গত বছর বাংলাদেশে ছাত্রদের নেতৃত্বে এক অভ্যুত্থানে কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। এরপর দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা পুনরুদ্ধারে এগিয়ে আসেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস।"
তিনি আরও লেখেন, “কয়েক দশক আগে ইউনূস ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারীদের ক্ষমতায়ন করতে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষ পরিবার গড়ে তুলতে, ব্যবসা দাঁড় করাতে এবং মর্যাদা ফিরে পেতে সক্ষম হন।”
হিলারি ক্লিনটনের স্মৃতিচারণায় উঠে আসে ইউনূসের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের কথা। “আমার ও বিল ক্লিনটনের সঙ্গে ইউনূসের প্রথম দেখা হয়েছিল আরকানসাসে, যখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি চালুর বিষয়ে সহায়তা করেছিলেন। এরপর আমি বিশ্বের বহু প্রান্তে গিয়ে তাঁর কাজের দৃষ্টান্ত দেখেছি। তাঁর কাজ শুধু মানুষকে সাহায্য করে না, বরং সমাজে স্থায়ী পরিবর্তন আনে।”
বর্তমানে অধ্যাপক ইউনূসের ভূমিকার প্রসঙ্গে হিলারি বলেন, “তিনি আবারও তাঁর দেশের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। নিপীড়নের ছায়া থেকে বাংলাদেশকে বের করে এনে তিনি মানবাধিকার, জবাবদিহি এবং একটি ন্যায্য ও মুক্ত সমাজের ভিত্তি গড়ে তুলছেন।”