শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, চৈত্র ১৫ ১৪৩০, ১৯ রমজান ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

বুচা নিয়ে নিন্দার মুখে রাশিয়া 

 আপডেট: ১০:৪৭, ৪ এপ্রিল ২০২২

বুচা নিয়ে নিন্দার মুখে রাশিয়া 

এতদিন কিয়েভ ও এর আশপাশের বেশ কিছু শহর ছিল অবরুদ্ধ। রুশে সেনারা ঘিরে রেখেছিল বলে ওসব শহরের খবর মেলা ছিল ভার। এবার রুশ সৈন্যরা সরে গেলে কিয়েভের পাশের শহর বুচা থেকে বেরিয়ে এল মর্মান্তিক খবর। সেখানে ৪১০টি বেসামরিক মানুষের মৃতদেহের সন্ধান পেয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। 

রাশিয়ার সম্ভাব্র যুদ্ধাপরাধ নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে এইসব সন্ধানে মিলল। কিন্তু এ নিয়ে নাকি প্রত্যক্ষদর্শীরা কথা বলতে পারছেন না। কারণ, তারা খুব মর্মাহত অবস্থায় আছেন। 

বিভিন্ন বার্তা সংস্থা কিয়েভ ও এর আশপাশের এলাকা থেকে খবর করছে। এখন তাই সেসব শহরের অবস্থা সম্পর্কে কিছুটা জানা যাচ্ছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেন হামলা করার পর বেশ কয়েকটি বড় শহরের পতন ঘটে। রাজধানী কিয়েভ ঘিরে ফেলে রাশিয়ান সেনারা। তারপর থেকে খবরাখবরের দিক দিয়ে এই অঞ্চল পিছিয়ে পড়েছিল।

গত শনিবার কিয়েভের আশপাশের এলাকা থেকে রাশিয়া তাদের সেনা সরিয়ে নেয়। তারপরই সুযোগ মেলে শহরগুলোর অবস্থা দেখে খবর প্রকাশ করার। সেটাই চলছে  এখন।  

কিয়েভের পাশের শহর বুচার মেয়র জানিয়েছেন, রাশিয়ান বাহিনীর হাতে এই শহরের ৩০০ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। 

কিন্তু দখলকৃত এলাকা ছেড়ে যাওয়া রাশিয়া এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কি বলছে? মস্কো থেকে কিয়েভ ও এর আশপাশের শহরগুলোতে বিশেষ করে বুচায় কোনো বেসামরিক মানুষ হত্যার অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে তারা। কিয়েভ সুযোগ নিচ্ছে। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমকে তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ তুলেছে মস্কো। 

কিয়েভের কাছে বুচা, হস্তমেল এবং ইরপিন শহর থেকে যেসব চিত্র পাওয়া যাচ্ছে তা কেমন? বিশ্ব মিডিয়ায় এর মধ্যে তা ‘হৃদয়বিদারক’ বলে উল্লেখিত। ইউক্রেন বাহিনী এসব শহরে গণকবর খুঁজে পেয়েছে। সেখানে লাশগুলোর হাত-পা বাঁধা ছিল। তাদেরকে পিঠে, মাথায় গুলি করে মারা হয়েছে।

রুশ বাহিনী যতোই অস্বীকার করুক না কেন যুদ্ধাপরাধী হতে তাদের বাকি থাকছে না। জার্মানি যুদ্ধাপরাধের নিন্দা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে কথা বলছে না। ফ্রান্সও তাই। 

এদিকে নেটোর মহাসচিব জেনারেল ইয়েন্স স্টলটেনবার্গও বুচায় বেসামরিক নাগরিক হত্যা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে সিএনএনকে বলেছেন, ‘ইউরোপে আমরা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে এমন বর্বরতা অনেক দশক ধরে দেখিনি। এ ঘটনাই যুদ্ধ বন্ধের প্রয়োজনীয়তা সামনে নিয়ে এসেছে।’ 

মন্তব্য করুন: