শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, বৈশাখ ২৬ ১৪৩২, ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

আইভীর বাড়িতে পুলিশ, অনুসারীদের জটলা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী ধাপের আলোচনার কর্মপরিকল্পনা দ্রুত চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাফল্য চাই: মির্জা ফখরুল তথ্যযুদ্ধ: কতটা সত্যি বলছে ভারত ও পাকিস্তান? ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে এরপর কী? পাকিস্তান ভারত সীমান্তে উত্তেজনার নতুন অধ্যায়: ক্ষেপণাস্ত্র, হামলা ও তথ্যযুদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে: আসিফ মাহমুদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে নেতৃত্ব পরিবর্তন: স্নিগ্ধর পদত্যাগ আবদুল হামিদের দেশত্যাগে জড়িতদের ধরা হবে, না হলে আমিই চলে যাব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকার সংবাদপত্রের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চায় : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা প্রথম আমেরিকান পোপ হলেন রবার্ট প্রিভোস্ট ২০২৫: টেকনোলজির ঝড় উঠছে! ভারত-পাকিস্তানে যুদ্ধের দামামা: বাংলাদেশে কী প্রভাব, করণীয় কী রক্তের প্রতিটি ফোঁটার বদলা নেব: শেহবাজ শরিফ

রাজনীতি

গণপরিষদের মাধ্যমে সংস্কার না হলে টিকবে না: নাহিদ

 প্রকাশিত: ১৯:৪৭, ১৫ মার্চ ২০২৫

গণপরিষদের মাধ্যমে সংস্কার না হলে টিকবে না: নাহিদ

রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে শনিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টালে রাজনীতিকসহ অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

রাষ্ট্রের সংস্কার গণপরিষদের মাধ্যমে না হলে তা ‘টেকসই হবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

শনিবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর নাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, “মৌলিক সংস্কারের ভিত্তি এই সরকারের সময়েই তৈরি করতে হবে এবং সব রাজনৈতিক দল মিলে একটি ঐকমত্য পোষণ করতে হবে জুলাই সনদে স্বাক্ষরের মাধ্যমে।

“জনগণের কাছে আমাদের সংস্কারের যে কমিটমেন্ট, সংস্কারের যে ধারাবাহিকতা, সেটা বাস্তবায়নের জন্য জুলাই সনদের দ্রুত বাস্তবায়নের কথা বলেছি।”

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের এ বৈঠকে সাতটি রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। একাধিক উপদেষ্টার পাশাপাশি ছিলেন সংস্কার কমিশন প্রধানরাও।

তিনি বলেন, “৫ অগাস্ট পরবর্তী বাংলাদেশের গণতন্ত্র যে একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেটাই আলোকপাত করা হয়েছে। সংস্কার কমিশনের প্রধানরা তাদের স্ব স্ব সংস্কার রিপোর্টের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেছিলেন। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা তাদের দলীয় অবস্থান সংস্কার বিষয়ে তুলে ধরেছেন।

“জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষে আমাদের সংস্কার বিষয়ে যে অবস্থান, আমরা মনে করি, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যে সরকার গঠিত হয়েছে, বিচার ও সংস্কার জনগণের কাছে তাদের অন্যতম কমিটমেন্ট।”

সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে কোনো আলোচনা করেছেন কিনা জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, “এখানে বিস্তারিত আলাপের সুযোগ ছিল না। আমরা সংস্কার বিষয়ে ওভারঅল আলোচনা করেছি।

“গণপরিষদের মাধ্যমেই সংস্কার করতে হবে, অন্যথায় সংসদের সংবিধান সংস্কার টেকসই হবে না; বাংলাদেশের ইতিহাস থেকেও এটাই দেখতে পাই। সেই জায়গা থেকে আমরা গণপরিষদ নির্বাচন চাচ্ছি। সামনের যে জাতীয় নির্বাচন সেটা একই সঙ্গে আইনপরিষদ ও গণপরিষদ নির্বাচন হউক। পাশাপাশি আমরা বিচারের বিষয়টা বলেছি।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ বলেন, “আমরা আমাদের এই দলীয় অবস্থান সংক্ষেপে বলেছি। জাতিসংঘ মহাসচিব ও তার জায়গা থেকে বলেছেন, তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো ও সরকার, তারা যেন নিজেরাই সমঝোতায় আসে।

“একটা ঐকমত্যে আসে। গণতন্ত্রের ট্রু এসেন্স, সেটাকে মাথায় রেখেই যেন আমরা একসাথে কাজ করি, একটি ঐকমত্যে আসতে পারি সেটাই তিনি তার জায়গা থেকে বলেছেন।”

নির্বাচন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা মনে করি এবং আমরা এটাই বলেছি যে, নির্বাচন কিন্তু আমরা সংস্কারের একটা প্রক্রিয়া হিসেবে দেখি, সংস্কারের ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখি। কোনো রকম সংস্কার ছাড়া বা সংস্কারবিহীন নির্বাচন কোনো কাজে দেবে না।

“অন্য সকল রাজনৈতিক দলও এটার সাথে একমত পোষণ করে। এখানে মতপার্থক্যগুলো হচ্ছে, কোন সংস্কার কখন হবে, নির্বাচনের আগে কতটুকু হবে নির্বাচনের পরে কতটুকু হবে- এটা নিয়ে। সেটা আমরা মনে করি যে, জুলাই সনদের মধ্যে সেটা বাস্তবায়ন হলে মতপার্থক্যগুলো কেটে যাবে এবং আমরা একটা ঐক্যমতে আসতে পারব।”

দুপুর ১টায় বৈঠক শুরু হয়। সেখানে ছিলেন অন্তবর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মুনির হায়দার।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ছিল বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

জাতিসংঘ ঢাকা কার্যালয় আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।

সেখানে ছিলেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার বিষয়ক কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।