শনিবার ১০ মে ২০২৫, বৈশাখ ২৭ ১৪৩২, ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তান থেকে ভারতের আকাশে ৪০০ ড্রোন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ

 প্রকাশিত: ২১:২০, ৯ মে ২০২৫

পাকিস্তান থেকে ভারতের আকাশে ৪০০ ড্রোন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ

কর্ণেল সোফিয়া কোরেশি

ভারতের বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন পাঠিয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। শুক্রবার (৯ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ভারতীয় সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কর্ণেল সোফিয়া কোরেশি।

তিনি জানান, ড্রোনগুলো জম্মু ও কাশ্মিরের শ্রীনগর, রাজস্থানের জয়সালমার এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোট অঞ্চলে প্রবেশ করে। এছাড়া লাদাখের কাছে শিয়াচেন গ্ল্যাসিয়ার বেস ক্যাম্প ও গুজরাটের কুচ এলাকার কাছেও পাকিস্তানের ড্রোন দেখা গেছে। কর্ণেল কোরেশি বলেন, এই দুই অঞ্চল পরস্পর থেকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরে, যা এই ড্রোন অভিযানের ব্যাপক বিস্তারের প্রমাণ।

ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করে, আকাশ প্রতিরক্ষা গানের সাহায্যে তারা ৫০টি ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি রেডিও জ্যামিং প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও ২০টি ড্রোন নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ ড্রোনে কোনো ধরনের অস্ত্র ছিল না। ভারতীয় সেনাবাহিনীর মতে, পাকিস্তান সম্ভবত ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কতটা কার্যকর তা পরখ করতেই এসব ড্রোন পাঠিয়েছে।

তবে অনেক ড্রোনে ক্যামেরা সংযুক্ত ছিল, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে সেগুলোর মাধ্যমে ছবি তুলে পাকিস্তানি সেনাদের গ্রাউন্ড স্টেশনে পাঠানো হয়েছে।

ভারতীয় সামরিক সূত্র জানায়, পাকিস্তান এই অভিযানে তুরস্কের তৈরি আসিগার্ড সোনগার (Asisguard Songar) ড্রোন ব্যবহার করেছে। এই ড্রোনগুলো দিনে বা রাতে সামরিক ও নিরাপত্তা অভিযানে ব্যবহারযোগ্য এবং এদের সর্বোচ্চ পরিসীমা ৫ কিলোমিটার।

এই ড্রোন অনুপ্রবেশকে যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন কর্ণেল সোফিয়া কোরেশি। তিনি জানান, এই ঘটনায় ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে এবং তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকার্যকর করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।