মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫, বৈশাখ ২৩ ১৪৩২, ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গাজায় ত্রাণ লুটের দায়ে কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো হামাস

 প্রকাশিত: ০০:০২, ৬ মে ২০২৫

গাজায় ত্রাণ লুটের দায়ে কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো হামাস

গাজায় খাদ্য সংকট চরমে। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলি অবরোধে চরম খাদ্য সংকটে থাকা গাজা উপত্যকায় ত্রাণ লুটের ঘটনায় কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ও তা কার্যকর করেছে হামাস। ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স হামাসঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

হামাসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত কিছু লুটেরা ইসরায়েলের সহায়তায় কাজ করেছে। তারা শুধু খাবার নয়, রাস্তায় সাধারণ মানুষকে থামিয়ে অর্থ ও মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নিচ্ছিল বলে অভিযোগ। গাজার এক বাসিন্দা আহমেদ বলেন, "এই সশস্ত্র দলগুলো আমাদের অভুক্ত রেখে দখলদারদের সহায়তা করছে।"

হামাসের তথ্য দফতরের পরিচালক ইসমাইল আল-সাওয়াবতা বলেন, কিছু লুটেরা গোত্রভিত্তিক এবং কিছু সংঘবদ্ধ গ্যাং হিসেবে সক্রিয় ছিল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ইসরায়েলের কাছ থেকে সরাসরি সহায়তাও পেয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তার ভাষায়, "চিহ্নিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিপ্লবী মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।"

হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা সিটিতে এক অভিযানের সময় অভিযুক্তদের ধাওয়া করতে গিয়ে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত ও কয়েকজন আহত হন।

এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, "এই বিশ্বাসঘাতকদের বিরুদ্ধে আমরা লৌহমুষ্টিতে আঘাত করব। গাজার নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে আমরা কাউকে সুযোগ দেব না।"

হামাসঘনিষ্ঠ বার্তা সংস্থা সাফা জানিয়েছে, লুটেরা ও সশস্ত্র গ্যাং দমনে ৫ হাজার সদস্য নিয়ে নতুন একটি বাহিনী গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে ইসরায়েলি ড্রোন হামলার কারণে এই বাহিনীর কার্যক্রমে বারবার বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।

এর আগে জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতির সময় গাজাজুড়ে হাজার হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছিল হামাস। তবে মার্চে ইসরায়েলের হামলা পুনরায় শুরু হলে এই উপস্থিতি অনেকটাই হ্রাস পায়।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জন জিম্মি হয়েছিল। এর পর শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫২ হাজার ৫০০-র বেশি ফিলিস্তিনি।