শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, বৈশাখ ২৬ ১৪৩২, ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

আইভীর বাড়িতে পুলিশ, অনুসারীদের জটলা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী ধাপের আলোচনার কর্মপরিকল্পনা দ্রুত চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাফল্য চাই: মির্জা ফখরুল তথ্যযুদ্ধ: কতটা সত্যি বলছে ভারত ও পাকিস্তান? ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে এরপর কী? পাকিস্তান ভারত সীমান্তে উত্তেজনার নতুন অধ্যায়: ক্ষেপণাস্ত্র, হামলা ও তথ্যযুদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে: আসিফ মাহমুদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে নেতৃত্ব পরিবর্তন: স্নিগ্ধর পদত্যাগ আবদুল হামিদের দেশত্যাগে জড়িতদের ধরা হবে, না হলে আমিই চলে যাব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকার সংবাদপত্রের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চায় : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা প্রথম আমেরিকান পোপ হলেন রবার্ট প্রিভোস্ট ২০২৫: টেকনোলজির ঝড় উঠছে! ভারত-পাকিস্তানে যুদ্ধের দামামা: বাংলাদেশে কী প্রভাব, করণীয় কী রক্তের প্রতিটি ফোঁটার বদলা নেব: শেহবাজ শরিফ

আন্তর্জাতিক

আলোচনায় বসবো না, যা ইচ্ছা করুন: ট্রাম্পকে ইরানের প্রেসিডেন্ট

 আপডেট: ১৬:৫৯, ১২ মার্চ ২০২৫

আলোচনায় বসবো না, যা ইচ্ছা করুন: ট্রাম্পকে ইরানের প্রেসিডেন্ট

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজিশকিয়ান বলেছেন, আপনার যা ইচ্ছা করতে পারেন, কিন্তু হুমকির মুখে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না।

“তারা আমাদেরকে আদেশ দেয়, হুমকি দেয়, এটা আমাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। আমি এমনকী আপনার সঙ্গে আলোচনায়ও বসবো না। যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারেন,” পেজিশকিয়ান এমনটাই বলেছেন বলে মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

এর আগে শনিবার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছিলেন, হুমকি-ধামকি দিয়ে তেহরানকে আলোচনার টেবিলে বসানো যাবে না।

নতুন একটি পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসতে ইরানকে চিঠি পাঠানো হয়েছে- ট্রাম্প এটা বলার একদিন পর খামেনি এ মন্তব্য করেছিলেন, বলেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

চুক্তি নিয়ে আলোচনায় তেহরানকে প্রকাশ্যে আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে দেশটিকে বিচ্ছিন্ন করতে ও তাদের তেল রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনতে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদের মতোই ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতিও পুনর্বহাল করেছেন।

গত সপ্তাহে ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, “ইরানকে সামলানোর দুটি পথ আছে। একটি সামরিক, অন্যটি হচ্ছে তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্রধর হওয়া ঠেকাতে চুক্তি করা।”

ইরান বলছে, তাদের পরমাণু অস্ত্রধর হওয়ার আকাঙ্ক্ষা নেই। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বাড়িয়ে অস্ত্র নির্মাণের উপযোগী মাত্রার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)।

২০১৭ থেকে ২০২১ সালের প্রথম মেয়াদে ট্রাম্পই যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান পারমাণবিক চুক্তি নামে খ্যাত জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) থেকে বের করে আনেন। ওই চুক্তিতে নিষেধাজ্ঞায় ছাড় দেওয়ার বিনিময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর নানান বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল।

ট্রাম্প ২০১৮ সালে ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসে তেহরানের ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন; পরে ইরানও চুক্তির শর্ত ভেঙ্গে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বাড়াতে শুরু করে।