মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, মাঘ ১ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬

ব্রেকিং

৫ আগস্ট ‘সার্বক্ষণিক যোগাযোগে’ ছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধান প্রতিবেশীদের মধ্যে বিদ্বেষ কারো জন্যই ভালো না: ভারতের সেনাপ্রধান প্রতিবেশীদের মধ্যে বিদ্বেষ কারো জন্যই ভালো না: ভারতের সেনাপ্রধান ২৫ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল শহিদ আবু সাঈদের পরিবারের গণহত্যা: হাসিনাসহ জড়িতদের কলরেকর্ডের ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ রেহানা ও ছেলেমেয়ের প্লটে অনিয়ম: দুদকের ৩ মামলায় হাসিনাও আসামি পুলিশের ৭৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বদলি এবার বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করল ভারত ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন খণ্ডন সিএ প্রেস উইংয়ের ‘ভালো বন্ধু’ টিউলিপকে বরখাস্ত করার মত কঠোর হতে পারবেন স্টারমার? একের পর এক চালের জাহাজ আসছে বন্দরে

জাতীয়

ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পঞ্চগড়, স্থবির জনজীবন

 প্রকাশিত: ১৪:৪০, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পঞ্চগড়, স্থবির জনজীবন

পঞ্চগড়ে রাতভর কুয়াশা ঝরছে বৃষ্টির মত। এর সঙ্গে কনকনে হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়ছে হিমালয়ের কাছাকাছি এ জেলার মানুষ। তীব্র শীতে স্থবিরতা এসেছে জনজীবনে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্রনাথ রায়।

তিনি জানান, কিছুদিন ধরে এ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা একটু বেশি। সূর্যের দেখে মিললেও তেজ নেই তেমন। এর আগে, বুধবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে, জেলায় বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত কোনো সূর্যের আলোর দেখা মেলেনি। কুয়াশার চাদরে ঢাকা রয়েছে আকাশ মেঘলা।

কনকনে শীত আর হিমেল বাতাস সহজেই কাবু করছে এখানকার জনজীবন। দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের। তারা সময়মত কাজে যেতে পারছেন না।

ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে পথঘাটে বিপাকে যানবাহন চালকরাও। তাদেরকে হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে।

জেলার বোদা উপজেলার বোদা সদর ইউনিয়নের আব্দুল লতিফ বলেন, “আমি অটোরিকশা চালাই। কিন্তু কনকনে ঠান্ডায় যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। দিনে ঠান্ডা কম হলেও রাতে হাত-পা বাইরে রাখাই মুশকিল হয়ে পড়ে।”

অপরদিকে সাকোয়া ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক মনজু মিয়া জানান, “চারা তৈরির জন্য জমিতে ধান ছিটাচ্ছি। কিন্তু এতো ঠান্ডা যে, কাদা পানিতে পা রাখা যাচ্ছে না। ঠান্ডার কারণে ঠিকমত কাজ করতে পারছি না। শীতের কাপড় কম থাকায় রাতে বউ-বাচ্চাসহ কষ্টে ভুগছি।”

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, জেলায় তাপমাত্রা ওঠা-নামায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। একইসঙ্গে আকাশে মেঘ থাকায় কুয়াশার পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদ আরও কমে আসছে। সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে রাতে ও সকালে।

আগামীতে ঠান্ডা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।