আইনজীবী হত্যা: ভিডিও দেখে গ্রেপ্তার এক ব্যক্তির নাম প্রকাশ
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যায় জড়িত সন্দেহে ভিডিও দেখে একজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
রাজীব ভট্টাচার্য্য নামের ওই ব্যক্তির বয়স ৩৭ বছর। তার বিস্তারিত পরিচয় বা তাকে কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেসব তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ রোববার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাজীবকে ছবি ও ভিডিও দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। আরও কয়েক জনের সাথে তিনিও হামলায় জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।”
ভিডিও দেখে সন্দেহভাজন মোট ছয়জনকে আটকের কথা এর আগে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল। তবে বাকি পাঁচজনের বিষয়ে চট্টগ্রামের পুলিশ কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
এদিন দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ফেইসবুক পোস্টে বলা হয়েছিল, মঙ্গলবার সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২১ জনকে আটক করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। আর বন্দরনগরীতে দেশীয় ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভসহ (ককটেল) আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন।
আড়াই ঘণ্টা বিক্ষোভের পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা সে সময় আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে।
এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। এ সময় উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবীকে হত্যা করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা তারেক আজিজ জানান, মঙ্গলবারের সহিংসতার ঘটনায় তিনটি মামলা করেছে পুলিশ।
আদালত প্রাঙ্গণ, রঙ্গম সিনেমা হল ও কোতয়ালি মোড়ে তিন জায়গায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলাগুলো করা হয়েছে। এসব মামলায় মোট ২৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তারেক আজিজ বলেন, “গ্রেপ্তার ২৮ জনের মধ্যে আট জন আইনজীবী খুনের সাথে সন্দেহভাজন আসামি। এ বিষয়ে আলাদা মামলা হবে, তারা হত্যা মামলাতেও আসামি হবে।”